মুহাইমিন গাবতলী বাস টার্মিনালে দাঁড়িয়ে আছে। রাত তখন প্রায় সাড়ে দশ টা। রাত পোহালে ঈদুল ফিতর। বাস কাউন্টারে এসে সে জানতে পারে গাড়ি সব ছেড়ে গেছে। রাত দুইটায় একটা গাড়ি ছাড়বে ঢাকা টু বেনাপোল। সেই গাড়ি মাঝ পথে কোথায়ও থামে না। আপনার দিকে তাকিয়ে এইটুকু সাহায্য করতে পারি; ডবল ভাড়া দিলে যাওয়ার পথে নড়াইলে নামাই দিবে। যদি যেতে চান অপেক্ষা করতে হবে। সে কাউন্টারের টিকিট মাস্টার কে বলিল ঠিক আছে,যদি যায় ফিরে আসবো। সে হাঁটতে হাঁটতে এক চায়ের দোকানে এসে বসিল। চা খেতে খেতে ভাবে কার বাসা আছে আশ-পাশে থাকার মত। খুঁজতে খুঁজতে তার অফিসের এক সহকর্মী বড় আপার ফোন নম্বর খুঁজে পেল। তাকে ফোন দিয়ে সমস্যার কথা বলিল। তিনি বলিল তোমার দোলা ভাই বাসায় নেই। বাসায় বাহিরের ছেলেদের আসা নিষিদ্ধ। তুমি একটা হোটেলে থাকো। সে কোন উপায় না পেয়ে হোটেলে থাকার উদ্দেশ্যে যায়। হোটেলের ম্যানেজার পরিষ্কার বলে দিল, হোটেলে থাকতে হলে এনআইডি কার্ড দিতে হবে। এনআইডি কার্ড না থাকায়, হোটেল ভাড়া ডবল দিতে চাইল কিন্তু তাতে ও কোন ফল হল না। ছেলেটি বড্ড নিরুপায়। কাছে আছে একটা স্মার্ট ফোন,নগদ হাজার দশেক টাকাও আছে। ঐ বাসে যাবে নাকি বাস টার্মিনাল থাকবে ভাবতে ভাবতে দিশাহারা। তার বড্ড ক্ষুধা ও লেগেছে। হাঁটতে হাঁটতে দেখে একটি ছোট খাবার হোটেল। সেখানে গিয়ে দেখে ভাত সব শেষ। শুধু রুটি, তরকারি, ডাউল, ডিম, ভাজি, আছে। রুটি ডাউল ডিম দিয়ে খেতে শুরু করে। সে বাহিরের দিকে তাকিয়ে দেখে, দশ থেকে বারো বছরের একটি মেয়ে। যেন মনে হয় সদ্য ফুটন্ত গোলাপ। তার কোলে একটি দুই আড়াই বছরের ফুটফুটে বাচ্ছা। তাকে কোলে নিয়ে দোকান দারের কাছে কি যেন একটা আবদার করছে। দোকানদার তাকে বিষম ধমকিয়ে তাড়িয়ে দিল। সে কাঁদতে কাঁদতে হাঁটতে লাগল অন্য কোথায়ও। তার মনে মেয়েটিকে নিয়ে খুব খারাপ খারাপ চিন্তা আসতে লাগলো। পথের ছেলে-মেয়েদের মা বাবার ঠিক নেই। নিজে খেতে পারে না আবার নষ্টামি করে; এই বয়সে আবার মা হয়েছে ! এদের কিছু না দেওয়ায় উচিত। মানুষ এদের সাহায্য সহযোগিতা করে বলে এই অপকর্মের ফল পেটে ধরে। এদের সাহায্য সহযোগিতা না করলে আর অহরহ জারজ পেটে ধরত না। ভাবতে ভাবতে তার খাওয়া শেষ। হাঁটতে হাঁটতে পুরানো টার্মিনালের দিকে এলো। সেখানে সে দেখে শত-শত পথ শিশু, মিসকিন, ভ্যান গাড়ির চালক, রিকসা চালক, পাগল, ভবঘুরে; প্রকৃতির মানুষ; সেখানে কেউ ঘুমাচ্ছে মনের সুখে,কেউ মদ পান করছে, কেউ ইয়াবা ট্যাবলেট খাচ্ছে,কেউ ফেনসিডিল পান করছে কেউ গাঁজা টানছে,কেউ বিড়ি সিগারেট টানছে। পুলিশ ওদের খাওয়া চেয়ে চেয়ে দেখছে; কি অবাক কাণ্ড! পুলিশ কিছু বলছে না। ওদের দেখে সে প্রগাঢ় ভাবতে লাগলো। এরা তো মানুষ! কি এদের জন্ম পরিচয়? কি এদের জীবন? এদের ভবিষ্যৎ কি? ভবিষ্যৎতে এদের পরিমাণ বাড়বে না কমবে? এদের পরিমাণ বাড়লে দেশের ভবিষ্যৎ কি হবে? ভাবতে ভাবতে হঠাৎ সেই মেয়েটি কে কিছু দূরে দেখতে পেল। ধীরে ধীরে তার দিকে যেতে আরম্ভ করলো। হঠাৎ এক বৃদ্ধা লোক ডেকে বলিল বাবু কোথায় যাচ্ছ? ঐ মেয়ের কাছে? সাবধান কিন্তু! ঐ খানে খারাপ পোলাপান আছে। যদি দেখতে পারে তোমাকে মেরে সব কেড়ে নিবে। কাকু আমার ঐ মেয়ের সাথে দেখা করা খুব প্রয়োজন। যদি যেতে চাও তোমার কাছে যা যা আছে আমার কাছে রেখে যাও। আমি এখানে থাকি। বাবু তুমি এই রাতে কোথায় থাকবে? জানি না কাকা। ঠিক আছে এই গরীবের কাছে এসে থেকো। লোকটির কাছে মালামাল সব রেখে, তার কাছে যেতে লাগলো। প্রায় বিশ হাত দূরে দাঁড়িয়ে, মেয়েটিকে দেখছে ;আর ভাবছে তার ভাবনার সাথে মেলে কি না? হঠাৎ তার কানে ভেসে আসছে, যেন একটা বাচ্ছা বলছে আপা, আপা, আমাকে খেতে দে। আমাকে খেতে দে। আমি বিশ্বাস করতে পারছি না। ওর বাচ্ছা হলে ওকে আপা বলবে কেন? আমি কি ভুল শুনছি? আবার ও বলছে, আপা আমার ক্ষুধা পেয়েছে,আমাকে ভাত দে। সোনা ভাই আমার! একটু ধৈর্য ধরে ঘুমাও; আমি একটা ব্যবস্থা করবো। রাত তখন বারো টার কাছা-কাছি। খাবার হোটেল প্রায় সব বন্ধের পথে। সে তাকে মিথ্যা সান্তনা দিয়ে ঘুমাতে বৃথা চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছে, এতে কোন সন্দেহ নেই। তখন হঠাৎ করে তার বাবার কথা মনে পড়ে যায়। তিনি সব সময় বলতেন বাবা মুহাইমিন পেটে ভাত না থাকলে জোয়ারের ঘুমে নাগাল পায় না। বাচ্চা টার পেটে খাবার না থাকলে,ঘুম কি সহজে ধরে ? এর মধ্যে একটি ছেলে হাঁটতে হাঁটতে মেয়েটির কাছে এলো। ছেলেটির বয়স ১৫- ১৬ বছর হবে। সে এসে বলিল আমি তোকে অনেক ভালোবাসি! তোর সব দায়িত্ব নিতে পারবো কিন্তু তোর ভাইয়ের দায়িত্ব নিতে পারবো না। তাহলে আমার ভাই কে কি করবো? এক নার্স আপার সাথে কথা বলছি। তিনি বলছে একটা বাচ্চা দিলে দুই লক্ষ টাকা দিবে। তিনি একে নিয়ে কি করবে? তা তো জানি না। এখন বলো দিবে কি না? আমার ভাই কে দিব না। কেন দিবে না? এ যে আমার এক মাত্র রক্ত। এই ভাই ছাড়া আমার আপন বলতে এই পৃথিবীতে কেউ নেই। আমার মা-বাবা এবং বড় ভাই,ছোট ভাই সহ খুলনা থেকে বাগেরহাট যাচ্ছিলাম মামার বাড়িতে। যাওয়ার পথে গাড়ি দুর্ঘটনায় বাবা আর বড় ভাই মারা যায়। মা ছোট ভাই আর আমি বেঁচে থাকি। মা গুরুতর আহত হওয়ায়, পথচারী মা কে নিয়ে খুলনা আড়াইশো বেডে ভর্তি করে। দীর্ঘ দিন ভুগে মৃত্যুর দ্বার প্রান্তে দাঁড়িয়ে বলে ছিল মা! ওকে যেন সারা জীবন ধরে রাখি। আমি মার মৃত্যুর সময় কথা দিছিলাম। মার মৃত্যু হল! কাফন দাফন সমাপ্ত হল। সুখ দুঃখের মধ্য দিয়ে বেশ চলছিল। দীর্ঘদিন ধরে কাকা আমাদের সমস্ত দেখা শোনা করেন। একদিন হঠাৎ করে কাকি মা খাবার দেওয়া বন্ধ করে দিল। সারা দিন না খাওয়া। সন্ধায় কাকা বাড়ি এলো। কাকা কে সব খুলে বললে কাকা বলিল আজুড়ে গরুর ভাত কে দিবে মা বল? কেন কাকা? আমার বাবার জমি জমা ঘর বাড়ি রয়েছে না? কাকা বলিল তোমার বাবার কিছু নেই; এই সম্পত্তি যা দেখছির সব আমার নামে। সেটা কি করে সম্ভব? তোর বাবা লেখে দিছে। আপনি ভুল বলছেন। এত কথা বলতে পারছি না। এই বাড়ির সীমানায় যেন তোদের না দেখি। কি করবো? ভেবে কোন কুল পাচ্ছি না। গ্রামের এক উকিল কাকার কাছে গিয়ে সম্পত্তির কথা জানতে চাইলে, তিনি কাগজ দেখে বলিল সব সম্পত্তি তার নামে। মেয়েটি বলিল কাকা এটা কি ভাবে সম্ভব? খুব সম্ভব জাল দলিল করে নিছে অথবা তোমার বাবা কে মিথ্যা কিছু বলে লেখে নিছে। এই কথা শুনে মেয়েটি ভীষণ চিন্তায় পড়ে গেল! কি করবে এখন? এক মহিলা বলিল, মা তুমি ঢাকা চলে যাও। ঢাকা গিলে এক ব্যবস্থা হবে। আর এখানে থাকলে না খেয়ে মরবে! মহিলার কথা শুনে ঢাকা চলে এলাম। কোন কাজ করতে পারি না। অবশেষে ক্ষুধা মেটাতে মানুষের দ্বারে দ্বারে হাত পাততে লাগলাম। ভিক্ষা করে করে এক বছর বেশ ভালো চলছিল। কোন সমস্যা হচ্ছে না; হঠাৎ করে এক ছেলে পিছে ধরলো। তার সাথে খারাপ কাজ করতে হবে। তা না হলে অবস্থা খারাপ হবে বলে হুমকি দেয়। তার পরিচয় নিয়ে দেখি সে হারামজাদা। হারাম জাদাদের কোন মানবতা,ধর্ম কর্ম কিছু নেই।অতীত বর্তমান ভবিষ্যৎ শীতলক্ষ্যা নদীর পানির মত। বাঁচা মরার কোন ভয় ডর নেই,হিংস্র পশুর চেয়ে ভয়ংকর তাদের চরিত্র। তার ভয়ে সেই এলাকা ছেড়ে এই খানে এসে আস্তানা করি। এখানে এসে তোমার সাথে পরিচয়। প্রথম থেকে তোমাকে আমার ভাল মনে হয়েছে। এখন সেই ধারণা ভ্রান্ত করে বোঝালে রাস্তার মানুষ মুখোশ ধারী শয়তান। মানুষ রূপে শয়তান ধীরে ধীরে হায়েনা শিয়ালের মত হিংস্র হয়ে উঠে। আরে পেটে আগুন নীতি কথা বাদ দে। আমি তোকে ভালবাসি তাই তোর এত কথা শুনছি; তা না হলে বুঝতে আমি কি জিনিস? আমি তোর জীবন থেকে চলে গেলে তোকে কে দেখবে? একবার ভাব ছির? বড্ড তাচ্ছিল্যের ছলে হেসে বলিল হ্যাঁ! ভাবছি; আমাদের মহান সৃষ্টি কর্তা দেখবে। যদি এই খানে কেউ তোকে শিয়াল কুত্তা চিল শকুনের মত ছিঁড়ে ছিঁড়ে খায় তখন কি করবে? আমি যদি জলে না নামি আমাকে কেউ ভিজাতে পারবে না কথাটা মনে রেখো। আমি যদি এখানে থাকতে না দি। এখান থেকেও চলে যাবো দূর অজানায়। যেথায় যাবে সেখানেও যদি এমন হয়? ওখান থেকে ও চলে যাবো দূর থেকে বহুদূর। তোদের হামলা থেকে নিজেকে লুকাতে লুকাতে আমার ভাই প্রকাশে আনবে আমায়। সেই দিন আর তোদের এই দিন এক রবে না। হায়েনার এক হাত ভেঙে আর এক হাতে ধরিয়ে দিবে। আমি বলছি এই সুবর্ণ স্বপ্নের দিন অতীতে কারুর আসেনি তোদের জীবনেও আসবে না। সেটা আমি বুঝবো। আজ থেকে আমাকে নিয়ে তোমার এত চিন্তা করতে হবে না। কাজটা কিন্তু ঠিক করলি না। ভবিষ্যৎ কিন্তু তোর শত ভাগ ঘন কালো মেঘে ঢাকে গেল। এটা বাস্তবায়নের জন্য সৃষ্টি কর্তা আছে। তোমাকে রাখেনি। এই কথা শুনে ছেলেটি রাগান্বিত হয়ে চলে গেল। ছেলেটি চলে গেলে মুহাইমিন তার কাছে গিয়ে বলিল আপু তোমার নামটা কি জানতে পারি? আপনি আবার কোথা থেকে কোন মতলব নিয়ে এসেছেন ? আপু আমাকে নিয়ে তোমার কোন আশঙ্কা করবার কিছু নেই। তোমাদের করুণ কাহিনী সব আড়ালে দাঁড়িয়ে শুনেছি। দয়া করে নামটা যদি বলতেন? মা রেখেছিল মাধুরী। আমি সেটা পালটিয়ে জীবনের উলটো স্রোতের আঘাতে রেখেছি শেওয়া। তোমার ভাইয়ের নামটা কি ? মা-বাবা রেখেছিল স্বাধীন। আমি ঢাকা এসে নাম রেখেছি সাগর। অসম্ভব সুন্দর! তুমি শুধু দায়িত্বশীল ব্যক্তি নও ;অত্যধিক মেধাবী ও বটে। তোমাদের দুঃখ দেখে আমার ও খুব কষ্ট হচ্ছে। আমি কিন্তু তোমাদের মত গ্রামের মানুষ। আমরা ও খুব গরীব ছিলাম। আজ হয় তো বা ধনী হয়েছি। গরীবদের দুঃখ দেখলে স্থির থাকতে পারিনা। তোমার ভালবাসা এবং দায়িত্ববোধ দেখে আমি মহা খুশি। তোমার দায়িত্ববোধের কাছে নিজেকে তুচ্ছ মনে হচ্ছে। আজ থেকে আর তোমাদের না খেয়ে থাকতে হবে না। সাথে সাথে বৃদ্ধের নিকট গিয়ে মালামাল বুঝে নেয়। মুহাইমিন পাঁচ হাজার টাকা ওদের হাতে দেয় এবং সাথে ফোন নম্বর। সে চারদিন পর বাড়ি থেকে ঢাকা ফিরবে। চারদিন পর তার সাথে ফোনে কথা বলতে বলে। তার বাসায় ওদের থাকার ব্যবস্থা করে দিবে বলে আশ্বাস দেয়। শেওলা এই কথা শুনে আল্লাহর শুকরিয়া আদায় করে বলিল স্যার আপনাকে কি বলে ধন্যবাদ দিব, এই ভাষা আমার জানা নেই। সে বলিল ঠিক আছে আপু; আমার জন্য দোয়া করো। দোয়া চেয়ে শেওলার নিকট থেকে বিদায় নিল। কাউন্টারে এসে টিকিট সংগ্রহ করে। অনেক দিন পর দেশের বাড়িতে এলে ভাল লাগবে, এটাই তো স্বাভাবিক। মুহাইমিনেরও তার ব্যতিক্রম নয়। শীতের পড়ন্ত বিকাল দেখতে সে এক অন্য রকম দৃশ্য। মাঠে মাঠে খেসারি আর শস্য ফুলে ভোমর আর মৌমাছির সে কি আনাগোনা। ঝির ঝির করে উত্তরের শীতল হওয়া বয়ে চলেছে, ধীরে ধীরে কুয়াশা পড়ছে সবুজ ঘাস আর ফসলের মাঠে। এই দৃশ্য দেখে মুহাইমিনের না; যে কারুর মধ্যে অন্য রকম ভালো লাগা কাজ করবে। এক কথায়, সে গ্রামে ঘুরে যে আনন্দের জোয়ারে ভাসছে, সেটা বলার অপেক্ষা রাখেনা। আনন্দের মধ্যে কখন যে রক্তাক্ত সূর্য পূর্ব গগনে হারিয়ে গেছে। নেমে এসেছে ঘোর অন্ধ কার। মাঝ পথে আসতে না আসতে,পূর্ব গগন থেকে চাঁদ মামা হেসে হেসে আলোয় আলোকিত করে তোলে প্রকৃতি। কোকিল, পেঁচা, ডাকে; সাড়া দেয় পুলকিত মনের পাখি। ঘুরতে ঘুরতে সে বড্ড ক্লান্ত। ক্লান্ত দেহ নিয়ে বাড়ির আঙিনায় পা রাখতে কামিনী, বেলি ফুলের সুগন্ধে, হারিয়ে যায় যেন অন্য ভুবনে। বাড়ি ফিরে হাত মুখ ধুয়ে রাতের খাবার খেয়ে রুমে গিয়ে বসিল। হাতে ফোনটা নিয়ে নেট সংযুক্ত করতে দেখে সব ইলেকট্রনিক মিডিয়ায় হেডলাইন ভাই কে বাঁচাতে বোন হত্যা। ভিতরে গিয়ে নিউজটি পড়ে দেখি সেই শেওলার কাহিনীর সাথে অবিকল মিলে যাচ্ছে ;ছবি দেওয়া আছে কিন্তু মুখ দেখা যাচ্ছে না। ঢাকা গিয়ে সেই বৃদ্ধার কাছে জানতে পারি শেওলার কাছে টুকাইরা ওর ভাইকে চেয়েছিল। ও দিতে চাইনি যখন, তখন তার হাত মুখ বেধে ধর্ষণ শেষে, ছুরি দিয়ে আঘাত করে ওর ভাই কে নিয়ে যায়। পুলিশ এসে তাকে হসপিটালে নেওয়ার পথে মেয়েটি রক্ত ক্ষরণে মারা যায় কিন্তু পুলিশ আজ পর্যন্ত কাউকে ধরতে পারিনি।
এই লেখাটি একান্তই লেখকের ব্যক্তিগত। এই লেখার আইনগত দায় সাময়িকীর নয়।