‘স্মরণকালের’ সবচেয়ে বড় মহড়ায় ন্যাটো
ইউক্রেন-রাশিয়ার যুদ্ধের মধ্যে ইতিহাসের সবচেয়ে বড় আকাশ প্রতিরক্ষা মহড়া শুরু করেছে নর্থ আটলান্টিক ট্রিটি অর্গানাইজেশন (ন্যাটো)। নিজেদের ঐক্য এবং রাশিয়াকে শক্তি প্রদর্শন করতেই যুদ্ধকালীন সময়ে মহড়া শুরু করেছে বলে ধারণা করা হচ্ছে।
ডিডব্লিউ’র প্রতিবেদনে জানা গেছে, জার্মানির আকাশে সোমবার (১২ জুন) থেকে ন্যাটোর ইতিহাসে সবচেয়ে বড় আকাশ মহড়াটি শুরু হয়েছে, যা চলবে আগামী ২৩ জুন পর্যন্ত। এই সময় জার্মানির আকাশে বিমান চলাচলের তিনটি এলাকা সাময়িকভাবে বন্ধ থাকবে।
জার্মানির বিমান বাহিনীর নেতৃত্বে ‘এয়ার ডিফেন্ডার-২৩’ মহড়াতে ২৫ দেশের কমপক্ষে ২৫০টি সামরিক বিমান অংশ নিচ্ছে। পশ্চিমা জোটের সদস্য না হয়েও জাপান ও সুইডেন থাকছে এতে। জোটে অন্তর্ভুক্ত হতে আবেদন করেছে এই দুই দেশ।
সুইডেনেরটি শিগগিরই অনুমোদন পাবে বলে ধারণা করা হচ্ছে। মার্কিন বিমানবাহিনীর অত্যাধুনিক এফ-৩৫ স্টিলথ কমব্যাট এয়ারক্রাফটসহ ১০০টি বিমান রয়েছে। ন্যাটোর সবচেয়ে আধুনিক যুদ্ধবিমান এফ-৩৫। মহড়ায় থাকছে ন্যাটোর দশ হাজারের বেশি সেনা।
আকাশ থেকে স্থলে থাকা সেনাদের সহায়তা করা, শত্রুর যুদ্ধবিমানের সঙ্গে আকাশে লড়াই, ফাইটার বোম্বার দিয়ে মাঝারি পাল্লার ক্ষেপণাস্ত্র প্রতিহতের মহড়াও অনুষ্ঠিত হবে। শত্রুর সাবমেরিন বা জাহাজ প্রতিহতের অনুশীলনও করবেন সেনারা।
জার্মান বিমানবাহিনীর লে. জেনারেল ইঙ্গো গেরহার্টজ সোমবার রাষ্ট্রীয় টেলিভিশনকে বলেছেন, ‘আমরা যে গুরুত্বপূর্ণ বার্তাটি দিচ্ছি, তা হলো নিজেদের রক্ষা করতে সক্ষম।’
এই মহড়ার জন্য দীর্ঘদিন পরিকল্পনা করে আসছিল জোটটি। ইউক্রেনে যুদ্ধ শুরুর কারণে তা আরও পিছিয়ে যায়। দেশটিকে সমর্থনে প্রচুর অস্ত্র ও গোলাবারুদ দিচ্ছে পশ্চিমা মিত্ররা।