ইসরায়েলে নেতানিয়াহুর বিরুদ্ধে বিক্ষোভে জনতার ঢল
ইসরায়েলের বেনিয়ামিন নেতানিয়াহু সরকারের বিরুদ্ধে জনতার ঢল নেমেছে রাজপথে। এতদিন বিতর্কিত বিচার বিভাগের সংস্কারের পরিকল্পনা নিয়ে আন্দোলন করে আসলেও এখন ফিলিস্তিনি বংশোদ্ভূত ইসরায়েলিদের ওপর সহিংসতার প্রতিবাদ জানিয়েছে লাখো মানুষ। নেতানিয়াহুকে আর প্রধানমন্ত্রীর পদে দেখতে চান না তাদের অনেকেই।
বিচারব্যবস্থা সংস্কারের পরিকল্পনা নিয়ে নেতানিয়াহু সরকারের বিরুদ্ধে টানা ২৩ সপ্তাহে গড়ালো এই আন্দোলন। যা গত জানুয়ারিতে শুরু হয়। দাবি না মানায় শনিবারও লাখো মানুষ তেল আবিবের রাজপথে জড়ো হয়। সাধারণ মানুষ বলেছে, এই উগ্র সরকার তাদের জিম্মি করে ফেলেছে।
নেতানিয়াহুর বিতর্কিত পরিকল্পনায় কী আছে?
সংস্কার পরিকল্পনার মধ্যে সরকারকে বিচারক নিয়োগকারী কমিটির ওপর পূর্ণ নিয়ন্ত্রণ দেওয়ার কথা বলা হয়েছে। প্রস্তাবিত আইনটি পাস হলে সরকার নিজের ইচ্ছেমতো বিচারক নিয়োগ দিতে পারবে। এতে সুপ্রিম কোর্টের ক্ষমতা খর্ব হবে। সরকারের কর্তৃত্বের মুখে অসহায় হয়ে পড়বে বিচারব্যবস্থা।
সাধারণ মানুষ কী বলছে?
বিষয়টি নিয়ে সাধারণ মানুষ সবচেয়ে বেশি ক্ষুব্ধ। তারা মনে করছেন, বিধানটি ক্ষমতাসীন নেতানিয়াহুর স্বার্থ বিবেচনায় অন্তর্ভুক্ত করা হয়েছে। বিরোধীদের দাবি, প্রস্তাবটি পাস হলে সুপ্রিম কোর্ট দুর্বল হওয়ার পাশাপাশি গণতন্ত্র হুমকিতে পড়বে।
ফিলিস্তিনিদের ওপর দমন-পীড়ন নিয়েও এদিন আন্দোলন করেন বিক্ষোভকারীরা। চলতি বছর এ পর্যন্ত ১০২ জন ফিলিস্তিনি বংশোদ্ভূত ইসরায়েলি নাগরিক প্রাণ হারিয়েছেন। ইসরায়েলে থাকা ফিলিস্তিনিরা দীর্ঘদিন সহিংসতা, বৈষম্যের শিকার হচ্ছে।
ইসরায়েলের ৭৪ বছরের ইতিহাসে গত বছর তৃতীয় দফায় প্রধানমন্ত্রী নির্বাচিত হন কট্টর ইহুদি ডানপন্থি নেতা নেতানিয়াহু। এর আগে ১৯৯৬ থেকে ১৯৯৯ এবং ২০০৯ থেকে ২০২১ সাল পর্যন্ত প্রধানমন্ত্রী ছিলেন তিনি। কিন্তু আগে কখনও নিজ দেশের জনগণের এতটা চাপের মুখে পড়তে হয়নি তাকে। বিশ্লেষকরা বলছেন, এই পরিস্থিতি চলতে থাকলে শিগগিরই ক্ষমতা হারাতে হতে পারে তাকে।