পাকিস্তানে তুমুল বৃষ্টি ও বজ্রঝড়, নিহত অন্তত ২৮
পাকিস্তানের পাঞ্জাব ও খাইবার পাখতুনখোয়ার কিছু অংশে তুমুল বৃষ্টি ও বজ্রঝড় আছড়ে পড়ার পর অন্তত ২৮ জন নিহত ও দেড় শতাধিক আহত হয়েছে।
শনিবার খাইবার পাখতুনখোয়ার দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা কর্তৃপক্ষের বরাত দিয়ে জিও টিভি জানায়, প্রদেশটির কেবল বান্নু, দেরা ইসমাইল খান, কারাক ও লাক্কি মারওয়াতেই বৃষ্টিজনিত ঘটনায় ২৫ জন নিহত হয়েছে, আহত হয়েছে ১৪৫ জন। বৃষ্টিতে অন্তত ৬৯টি বাড়ি আংশিক ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে বলেও তারা জানিয়েছে।
প্রাদেশিক এই দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা কর্তৃপক্ষের তথ্য অনুযায়ী, বান্নুতে ১৫ জনের মৃত্যু ও ১০০ জন আহত হয়েছে। আংশিক ক্ষতিগ্রস্ত ঘরের ৬৮টিও এই এলাকার।
লাক্কি মারওয়াতে নিহত ৫, আহত ৪২ জন। কারাকে ৪ জন মারা গেছে, আহত ১। দেরা ইসমাইল খানে বৃষ্টির কারণে এক শিশুর মৃত্যু হয়েছে, দুইজন আহত আর একটি বাড়ি আংশিক ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে।
উদ্ধারকারী কর্তৃপক্ষ রেসকিউ ১১২২ এর এক কর্মকর্তা বলেছেন, খাইবার পাখতুনখোয়ায় তাদের সব স্টেশন যে কোনো অপ্রীতিকর ঘটনার জন্য সতর্কাবস্থায় রয়েছে।
তুমুল বৃষ্টি সত্ত্বেও ত্রাণ তৎপরতা চলছে, লাক্কি মারওয়াত, বান্নু ও প্রদেশের অন্য এলাকায় অনেক বাড়িরই ছাদ ধসে পড়েছে, বলেছেন তিনি।
তিনি জানান, আহতদের প্রত্যেককে ঘটনাস্থলে জরুরি সেবা দেওয়ার পর হাসপাতালে পাঠিয়ে দেওয়া হয়েছে, রেসকিউ ১১২২ এর অনুসন্ধান ও উদ্ধার অভিযানও চলছে।
খাইবার পাখতুনখোয়ার ভারপ্রাপ্ত তথ্যমন্ত্রী ব্যারিস্টার ফিরোজ জমাল শাহ এক বিবৃতিতে বলেছেন, ক্ষতিগ্রস্ত জেলাগুলোর হাসপাতালে উচ্চমাত্রার সতর্কতা জারি করা হয়েছে।
ক্ষতিগ্রস্ত এলাকাগুলোর কর্তৃপক্ষের সঙ্গে অন্তর্বর্তীকালীন সরকার যোগাযোগ রাখছে, বলেছেন তিনি।
ভারি বৃষ্টি ও তীব্র বাতাস সারগোদা, গুজরানওয়ালা, ফয়সালাবাদ ও অন্যান্য জেলাসহ পাঞ্জাবের একাধিক অঞ্চলেও আঘাত হেনেছে। খুশব জেলার চান গ্রামে মুষলধারে বৃষ্টির কারণে ঘরের দেয়াল ধসে তিনটি মেয়ের মৃত্যু হয়েছে।
গুজরানওয়ালা জেলায় বৃষ্টিজনিত ঘটনায় অন্তত ১০ জন আহত হয়েছে। তীব্র বৃষ্টি ও বাতাস অনেক এলাকায় বিদ্যুৎ সরবরাহেও বিঘ্ন ঘটিয়েছে।
পাকিস্তান নিয়ন্ত্রিত আজাদ জম্মু ও কাশ্মীরের নাকিয়ার শহর ও এর আশপাশে তুমুল বর্ষণ ও বজ্রঝড়ের খবর পাওয়া গেছে।
পাকিস্তানের প্রধানমন্ত্রী শাহবাজ শরিফ খাইবার পাখতুনখোয়ার মুখ্যসচিব এবং জাতীয় দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা কর্তৃপক্ষকে (এনডিএমএ) পরিস্থিতি মোকাবেলায় প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নিতে নির্দেশ দিয়েছেন।