সোমালিয়ায় হোটেলে আল-শাবাবের হামলা, নিহত ৯
আফ্রিকার দেশ সোমালিয়ার রাজধানী মোগাদিসুর সমুদ্রতীরবর্তী একটি হোটেলে ইসলামি জঙ্গিগোষ্ঠী আল-শাবাবের হামলায় অন্তত ৯ বেসামরিক নিহত হয়েছেন। হামলায় আহত হয়েছেন আরও কমপক্ষে ১০ জন।
আল-শাবাবের জঙ্গিরা ওই হোটেলে প্রায় ছয় ঘণ্টা ধরে জিম্মিদশা তৈরি করেছিল বলে শনিবার দেশটির পুলিশ জানিয়েছে।
গত প্রায় ১৫ বছরের বেশি সময় ধরে আন্তর্জাতিকভাবে স্বীকৃত সোমালিয়ার সরকারের বিরুদ্ধে বিদ্রোহ চালিয়ে আসছে আল-কায়েদার অনুসারী এই জঙ্গিগোষ্ঠী। দেশটিতে প্রায়ই সোমালিয়ার উচ্চপদস্থ সরকারি কর্মকর্তা ও বিদেশি কর্মকর্তাদের লক্ষ্য করে বিভিন্ন হোটেলে হামলা চালায় তারা।
এক বিবৃতিতে সোমালিয়ার পুলিশ বলেছে, ‘হামলায় ৬ বেসামরিক নিহত হয়েছেন… এবং আহত হয়েছেন আরও ১০ জন। উদ্ধার অভিযান পরিচালনার সময় নিরাপত্তা বাহিনীর সাহসী তিন সদস্য মারা গেছেন।’
শুক্রবার স্থানীয় সময় রাত ৮টার কিছু আগে মোগাদিসুর জনপ্রিয় পর্যটন কেন্দ্র লিডো সৈকতের কাছের পার্ল বিচ হোটেলে ৭ জঙ্গি হামলা চালায়। পরে এই হামলার দায় স্বীকার করে বিবৃতি দিয়েছে আল-শাবাব।
পুলিশ বলছে, প্রায় ছয় ঘণ্টা ধরে জিম্মিদশা চলে হোটেলে। নিরাপত্তা বাহিনীর সদস্যদের সাথে জঙ্গিদের ব্যাপক গুলি বিনিময়ের পর হোটেলের জিম্মিদশার অবসান ঘটে। অভিযানের সময় গুলিতে ওই ছয় বেসামরিক নিহত হয়েছেন বলে জানিয়েছে দেশটির পুলিশ।
পুলিশের বিবৃতিতে আরও বলা হয়েছে, নিরাপত্তা বাহিনী পার্ল বিচ হোটেলে অভিযান চালিয়ে নারী, শিশুসহ ৮৪ জনকে উদ্ধার করেছে।
প্রত্যক্ষদর্শীরা হোটেলে গোলাগুলি ও বিস্ফোরণের শব্দ শুনেছেন বলে জানিয়েছেন। আব্দিরহিম আলী নামের এক প্রত্যক্ষদর্শী ফরাসি বার্তা সংস্থা এএফপিকে বলেছেন, পার্ল বিচ হোটেলের সামনে ভারী বিস্ফোরণের সময় আমি কাছাকাছি এলাকায় ছিলাম।
‘আমি ঘটনাস্থল থেকে পালিয়ে আসতে সক্ষম হয়েছি। নিরাপত্তা বাহিনী সেখানে পৌঁছানোর পর ব্যাপক গোলাগুলি হয়েছে।’
গত নভেম্বরে জাতিসংঘের এক প্রতিবেদনে বলা হয়, গত বছর সোমালিয়ায় সহিংসতায় কমপক্ষে ৬১৩ বেসামরিক নিহত ও ৯৪৮ জন আহত হয়েছেন। তাদের বেশিরভাগই হতাহত হয়েছেন আল-শাবাবের পুঁতে রাখা বিস্ফোরক ডিভাইসের বিস্ফোরণের কারণে।
সূত্র: এএফপি।