সুদানে মার্কেটে রকেট হামলায় নিহত অন্তত ১৮, আহত শতাধিক
ক্ষমতার দ্বন্দ্বকে কেন্দ্র করে সামরিক ও আধা-সামরিক বাহিনীর তীব্র লড়াইয়ের মাঝে আফ্রিকার দেশ সুদানের রাজধানী খার্তুমের একটি মার্কেটে রকেট হামলা হয়েছে। এই হামলায় অন্তত ১৮ জন নিহত ও আরও শতাধিক মানুষ আহত হয়েছেন বলে বৃহস্পতিবার স্থানীয় বাসিন্দা ও চিকিৎসকরা জানিয়েছেন।
ব্রিটিশ সংবাদমাধ্যম বিবিসির এক প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র ও সৌদি আরবের মধ্যস্থতায় যুদ্ধবিরতির আলোচনা ভেস্তে যাওয়ার সাথে সাথে প্রতিদ্বন্দ্বী দুই বাহিনীর মধ্যে লড়াই শুরু হয়েছে। খার্তুমের দক্ষিণের মায়ো শহরের একটি বাজারে বুধবার আর্টিলারি গোলা ও বিমান থেকে বোমাবর্ষণ করা হয়েছে।
গত এপ্রিলে দুই বাহিনীর মাঝে লড়াই শুরু হওয়ার পর রাজধানীতে একক এই হামলায় সবচেয়ে বেশি বেসামরিক মানুষের প্রাণহানি ঘটেছে। দেশটির সরকারের তথ্য অনুযায়ী, এ নিয়ে দেশটিতে সাত সপ্তাহের বেশি সময়ের সংঘাতে ৮৮৩ জন বেসামরিক নাগরিক নিহত হয়েছেন। তবে বেসামরিক প্রাণহানির এই সংখ্যা আরও বেশি বলে আশঙ্কা করা হচ্ছে।
খার্তুমের বাসিন্দাদের খাদ্য ও ওষুধ পেতে সহায়তাকারী স্থানীয় বিভিন্ন দাতব্য সংস্থা সর্বশেষ এই হামলার ঘটনাকে ‘বিপর্যয়কর পরিস্থিতি’ হিসাবে বর্ণনা করেছে। সেখানে আরও বেশি চিকিৎসক ও রক্তদাতাদের এগিয়ে আসার আহ্বান জানিয়েছে তারা।
শহরাঞ্চলে এই ধরনের সহিংসতার কারণে দেশটির বেসামরিক লোকজন প্রতিনিয়ত ঝুঁকির মুখে পড়ছেন।
মঙ্গলবার মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র এবং সৌদি আরবের মধ্যস্থতায় গত সপ্তাহের মানবিক যুদ্ধবিরতি চুক্তি আরও পাঁচ দিনের জন্য বাড়াতে রাজি হয়েছিল দেশটির আধা-সামরিক বাহিনী র্যাপিড সাপোর্ট ফোর্সেস (আরএসএফ) ও প্রতিদ্বন্দ্বী সামরিক বাহিনী।
কিন্তু পরের দিনই সেনাবাহিনী আলোচনা থেকে সরে আসে এবং আরএসএফ চুক্তির শর্তের প্রতি অঙ্গীকারবদ্ধ নয় বলে অভিযোগ করেছে।
যুক্তরাষ্ট্র বলেছে, উভয়পক্ষই যুদ্ধবিরতি লঙ্ঘন করেছে। লড়াইরত দুই গোষ্ঠী সহিংসতা শেষ করার বিষয়ে আন্তরিক হলে মধ্যস্থতায় সহায়তা করতে প্রস্তুত আছে ওয়াশিংটন। জাতিসংঘের তথ্য অনুযায়ী, সুদানের মোট জনসংখ্যার অর্ধেকেরও বেশি অর্থাৎ প্রায় আড়াই কোটি মানুষের জন্য এখন মানবিক সহায়তা ও সুরক্ষা প্রয়োজন।