গভীর রাতে কিয়েভে ফের রাশিয়ার বিমান হামলা
ইউক্রেনের রাজধানী কিয়েভে আবারও বড় ধরনের বিমান হামলা চালিয়েছে রাশিয়া। সোমবার (২৯ মে) ভোরে ড্রোন এবং ক্রুজ ক্ষেপণাস্ত্র ব্যবহার করে এই হামলা চালায় রুশ সামরিক বাহিনী। চলতি মাসে কিয়েভে রাশিয়ার এটা ১৫তম বিমান হামলা।
অন্যদিকে ইউক্রেনের রাজধানীর সামরিক প্রশাসন বলেছে, প্রতিরক্ষা বাহিনী ৪০ টিরও বেশি লক্ষ্যবস্তুকে গুলি করে ধ্বংস করেছে। সোমবার এক প্রতিবেদনে এই তথ্য জানিয়েছে বার্তাসংস্থা রয়টার্স।
প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, সোমবার ভোরে হওয়া এই হামলা চলতি মাসে কিয়েভে রাশিয়ার ১৫তম আক্রমণ। এছাড়া এ নিয়ে পরপর দ্বিতীয় দিনের মতো রাতের আঁধারে একই তীব্রতা নিয়ে কিয়েভে হামলা চালাল মস্কো।
তবে কর্মকর্তারা দাবি করেছেন, সর্বশেষ রুশ এই হামলায় কিয়েভে বড় কোনও ক্ষয়ক্ষতি বা হতাহতের ঘটনা ঘটেনি। কিয়েভের মেয়র ভিটালি ক্লিটসকো টেলিগ্রামে বলেছেন, ‘রাজধানী কিয়েভের জন্য আরেকটি কঠিন রাত।’
এর আগে রোববার রাতের আঁধারে কিয়েভে হামলা চালিয়েছিল রাশিয়া। ওই হামলাকে যুদ্ধ শুরুর পর থেকে কিয়েভে রাশিয়ার সবচেয়ে বড় ড্রোন হামলা বলে মনে করা হচ্ছে। ব্যাপক ওই হামলায় একজন নিহত ও আরও কয়েকজন আহত হন। এছাড়া একইদিন কিয়েভের ওপর ৩৬টি ড্রোন ভূপাতিত করা হয় বলেও দাবি করে ইউক্রেনীয় কর্তৃপক্ষ।
রয়টার্স বলছে, সোমবারের হামলায় রাশিয়া ইরানের তৈরি শাহেদ ড্রোন এবং ক্রুজ ক্ষেপণাস্ত্র ব্যবহার করেছে বলে কিয়েভ শহরের সামরিক প্রশাসন জানিয়েছে। শহরের সামরিক প্রশাসনের প্রধান সের্হি পপকো টেলিগ্রামে বলেছেন, ‘ক্রমাগত এই আক্রমণের মাধ্যমে, শত্রুরা বেসামরিক জনগণকে গভীর মানসিক উত্তেজনার মধ্যে রাখতে চায়।’
এদিকে হামলার বিষয়ে মস্কো থেকে তাৎক্ষণিক কোনও মন্তব্য পাওয়া যায়নি। এছাড়া রয়টার্সও স্বাধীনভাবে হামলার মাত্রার রিপোর্টটি যাচাই করতে সক্ষম হয়নি।
তবে রয়টার্সের প্রত্যক্ষদর্শীরা বলেছেন, সোমবার ভোরে কিয়েভ শহরসহ পুরো ইউক্রেন বিমান হামলার সতর্কতার অধীনে থাকলেও তারা বেশ কয়েকটি বিস্ফোরণের শব্দ শুনেছেন।
রাশিয়া সম্প্রতি কিয়েভের ওপর আক্রমণ ব্যাপকভাবে বাড়িয়েছে। সাম্প্রতিক এসব হামলায় রাশিয়া তথাকথিত কামিকাজে ড্রোনের পাশাপাশি ক্রুজ এবং ব্যালিস্টিক ক্ষেপণাস্ত্রও ব্যবহার করছে।
বিশ্লেষকরা বলছেন, কিয়েভের দীর্ঘ-প্রত্যাশিত পাল্টা আক্রমণের আগে ইউক্রেনের বিমান প্রতিরক্ষা ব্যবস্থাকে ধ্বংস ও ক্ষতিগ্রস্ত করতে চাইছে রুশ সামরিক বাহিনী।
অবশ্য ইউক্রেন গত কয়েক মাস ধরে পাল্টা আক্রমণের পরিকল্পনা করছে। তবে সেই আক্রমণ শুরুর আগে সৈন্যদের প্রশিক্ষণ এবং পশ্চিমা মিত্রদের কাছ থেকে সামরিক সরঞ্জাম গ্রহণের জন্য যতটা সম্ভব বেশি সময় নিচ্ছে ইউক্রেন।