রাতের আঁধারে কিয়েভে ড্রোন হামলা রাশিয়ার
ইউক্রেনের রাজধানী কিয়েভে ব্যাপক ড্রোন হামলা চালিয়েছে রাশিয়া। রাতের আঁধারে চালানো এই হামলায় অন্তত একজন নিহত হয়েছেন বলে স্থানীয় কর্মকর্তারা জানিয়েছেন। রোববার (২৮ মে) এক প্রতিবেদনে এই তথ্য জানিয়েছে ব্রিটিশ সংবাদমাধ্যম বিবিসি।
প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, রাশিয়ার হামলার পর কিয়েভের একটি পেট্রোল স্টেশনের কাছে ড্রোনের ধ্বংসাবশেষ পড়ে একজন ব্যক্তির মৃত্যু হয়েছে বলে কিয়েভের মেয়র ভিটালি ক্লিটসকো বলেছেন। এছাড়া সেখানে আহত হয়েছেন এক নারী।
তিনি বলেছেন, কিয়েভের দিকে ধেয়ে আসা ২০টিরও বেশি ড্রোনকে গুলি করে ধ্বংস করেছে বিমান প্রতিরক্ষা ব্যবস্থা। তবে ‘ড্রোনের নতুন ঢেউ’ এগিয়ে আসছে বলে দাবি করেছেন তিনি।
রাশিয়া সম্প্রতি কিয়েভের ওপর আক্রমণ আরও জোরদার করেছে। এর মাধ্যমে মূলত ইউক্রেনের রাজধানীর প্রতিরক্ষা ব্যবস্থাকে পরাস্ত করতে চাইছে রুশ বাহিনী। এর আগে রোববার উত্তর-পশ্চিমের ভলিন থেকে দক্ষিণ-পূর্বে ডিনিপ্রোপেট্রোভস্ক পর্যন্ত ইউক্রেনের ১২টি অঞ্চলে বিমান হামলার সতর্কতা সক্রিয় করা হয়।
সোশ্যাল মিডিয়ায় দেওয়া এক পোস্টে মেয়র ক্লিটসকো কিয়েভের বাসিন্দাদের ‘আশ্রয়কেন্দ্রে থাকতে’ অনুরোধ করেন। একইসঙ্গে রুশ হামলার কারণে রাতটি তাদের জন্য ‘কঠিন’ হবে বলেও সতর্ক করে দেন তিনি।
মেয়র ভিটালি ক্লিটসকো আরও বলেন, ড্রোনের টুকরো পড়ে রাজধানী কিয়েভের বিভিন্ন এলাকায় অন্তত দু’টি উঁচু ভবনে আগুন লেগেছে। সেসব এলাকায় জরুরি কর্মীদের মোতায়েন করা হয়েছে।
এদিকে সাম্প্রতিক এসব হামলায় রাশিয়া তথাকথিত কামিকাজে ড্রোনের পাশাপাশি ক্রুজ এবং ব্যালিস্টিক ক্ষেপণাস্ত্রও ব্যবহার করছে। দখলকৃত ভূখণ্ড থেকে রুশ সেনাদের সরিয়ে দেওয়ার জন্য ব্যাপকভাবে প্রত্যাশিত ইউক্রেনের পাল্টা আক্রমণের আগে কিয়েভে সর্বশেষ এই হামলার ঘটনা ঘটল।
এর আগে শনিবার ইউক্রেনের সবচেয়ে জ্যেষ্ঠ নিরাপত্তা কর্মকর্তাদের একজন বিবিসিকে জানান, তার দেশ রাশিয়ার বিরুদ্ধে পাল্টা অভিযানের জন্য প্রস্তুত।
ইউক্রেনের শক্তিশালী ন্যাশনাল সিকিউরিটি অ্যান্ড ডিফেন্স কাউন্সিলের সেক্রেটারি ওলেক্সি ড্যানিলভ বলেছেন, প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিনের দখলদার বাহিনীর কাছ থেকে এলাকা পুনরুদ্ধার করার জন্য পাল্টা আক্রমণ ‘আগামীকাল, পরশু বা এক সপ্তাহের মধ্যে’ শুরু হতে পারে।
অবশ্য ইউক্রেন গত কয়েক মাস ধরে পাল্টা আক্রমণের পরিকল্পনা করছে। তবে সেই আক্রমণ শুরুর আগে সৈন্যদের প্রশিক্ষণ এবং পশ্চিমা মিত্রদের কাছ থেকে সামরিক সরঞ্জাম গ্রহণের জন্য যতটা সম্ভব বেশি সময় নিচ্ছে ইউক্রেন।