জাপানে ছুরি ও গুলি হামলায় নিহত ৩
জাপানের মধ্যাঞ্চলে ছুরি ও গুলি হামলায় তিনজন নিহত হয়েছে বলে জানিয়েছে স্থানীয় গণমাধ্যম।
বিবিসি জানায়, নাগানো প্রশাসনিক অঞ্চলের নাকানো নগরীতে ছদ্মবেশে এক ব্যক্তি প্রথমে এক নারীকে ছুরিকাঘাত করে এবং পরে শিকারের রাইফেল হাতে হামলা চালায়।
হামলায় দুই পুলিশ নিহত এবং অপর একজন আহত হয়েছেন। জাপানের সংবাদমাধ্যম জানিয়েছে, অভিযুক্ত হামলাকারীকে একটি অফিস ভবনে আটকে রাখা হয়েছে।
জাপানে বন্দুক সহিংসতার ঘটনা অত্যন্ত বিরল। যদিও গতবছর জুলাইয়ে বন্দুক হামলায় নিহত হন সাবেক প্রধানমন্ত্রী শিনজো আবে।
জাপানের কিয়োদো নিউজ এজেন্সির খবর অনুযায়ী, বৃহস্পতিবার স্থানীয় সময় বিকাল ৪:২৫ মিনিটের দিকে পুলিশকে ফোন করে বলা হয়, এক ব্যক্তি এক নারীকে তাড়া করে ছুরিকাঘাত করেছে।
জরুরি ভিত্তিতে সাড়া দিয়ে পুলিশ ঘটনাস্থলে গেলে ওই ব্যক্তি পুলিশ কর্মকর্তাদের দিকে গুলি ছোড়ে।হামলাকারী তিনি নিজেকে নাকানো সিটি অ্যাসেম্বলি স্পিকারের বাসভবনে আটকে রাখার দাবি করেছেন।
জাপানে হাতবন্দুক নিষিদ্ধ এবং রাজনৈতিক সহিংসতার কথা প্রায় শোনাই যায় না। সেই জপানেই সবচেয়ে দীর্ঘদিন প্রধানমন্ত্রীর দায়িত্ব পালন করা আবের হত্যাকাণ্ড গোটা দেশকে স্তম্ভিত করে দিয়েছিল।
২০১৪ সালে জাপানে গুলিতে মাত্র ছয়জন প্রাণ হারিয়েছিলেন। যেখানে ওই বছর যুক্তরাষ্ট্রে ৩৩ হাজার ৫৯৯ জন গুলিতে নিহত হন।
জাপানে বন্দুক কিনতে হলে কঠোর পরীক্ষার মধ্য দিয়ে যেতে হয়। ক্রেতাকে মানসিক স্বাস্থ্যের পরীক্ষাও দিতে হয়। এতশত পরীক্ষার পরও সেখানে সাধারণ মানুষের কেবল শটগান ও এয়ার রাইফেল কেনার অনুমতি আছে।