ভারতের জি২০ বৈঠকের বিরুদ্ধে পাকিস্তান শাসিত কাশ্মীরে প্রতিবাদ
জি২০ এর পর্যটন বিষয়ক একটি বৈঠক ভারত নিয়ন্ত্রিত কাশ্মীরে আয়োজনের বিরুদ্ধে পাকিস্তান শাসিত কাশ্মীরে প্রতিবাদ সমাবেশ হয়েছে।
সোমবার পাকিস্তান শাসিত কাশ্মীরের রাজধানী মুজাফ্ফরাবাদ ও অন্যান্য শহরে অনুষ্ঠিত এসব সমাবেশে কয়েকশ মানুষ অংশ নিয়েছেন বলে সরকারি এক কর্মকর্তা জানিয়েছেন।
ভারত নিয়ন্ত্রিত কাশ্মীরের গ্রীষ্মকালীন রাজধানী শ্রীনগরে সোমবার থেকে বুধবার পর্যন্ত জি২০ একটি গুরুত্বপূর্ণ বৈঠক অনুষ্ঠিত হচ্ছে; কিন্তু নয়া দিল্লির এ উদ্যোগের বিরোধিতা করেছে প্রতিবেশী পাকিস্তান ও চীন।
প্রতিবাদ সমাবেশে অংশগ্রহণকারীরা ‘ভারত চলে যাও, ফিরে যাও’ এবং ‘বয়কট, বয়কট জি২০ বয়কট’, এসব শ্লোগান দিয়েছে বলে পাকিস্তান শাসিত কাশ্মীরের কর্মকর্তা রাজা আজহার ইকবাল জানিয়েছেন; খবর বার্তা সংস্থা রয়টার্সের।
পাকিস্তানের পররাষ্ট্রমন্ত্রী বিলওয়াল ভু্ট্টো জারদারি সোমবার মুজাফ্ফরাবাদ গিয়ে সেখানকার আইনসভায় বক্তব্য রেখেছেন। তিনি শ্রীনগরে জি২০ সমাবেশকে ‘অবৈধ’ বলে দাবি করে ভারত একটি ‘বিরোধপূর্ণ অঞ্চলের ওপর তার নিয়ন্ত্রণের বৈধতা পাওয়ার চেষ্টা করছে’ বলে অভিযোগ করেছেন।
“ভারত তার জি২০ সভাপতির অবস্থানের অপব্যবহার করছে “বলেছেন তিনি।
২০১৯ সালের অগাস্টে কাশ্মীরের বিশেষ মর্যাদা বাতিল করে একে কেন্দ্রশাসিত অঞ্চলে পরিণত করার পর থেকে নয়া দিল্লি সেখানে ‘মানবাধিকারের ব্যাপক লঙ্ঘন’ করে চলছে বলে অভিযোগ করেছেন বিলওয়াল।
ওই পরিবর্তনের পর থেকে জি২০-র পর্যটন ওয়ার্কিং গ্রুপের বৈঠক অঞ্চলটিতে হওয়া প্রথম আন্তর্জাতিক ইভেন্ট।
এ বিষয়ে রয়টার্স ভারতের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের কাছে মন্তব্যের জন্য অনুরোধ করলেও তারা সাড়া দেয়নি।
পারমাণবিক শক্তিধর পাকিস্তান ও ভারত ১৯৪৭ সালে স্বাধীন হওয়ার পর থেকে তিনবার যুদ্ধে জড়িয়েছে, এর মধ্যে দুটি যুদ্ধই হয়েছে কাশ্মীর নিয়ে। উভয় দেশই কাশ্মীরের পূর্ণ মালিকানা দাবি করে আসলেও কেবল অঞ্চলটির পৃথক দুটি অংশ নিয়ন্ত্রণ করছে তারা।
বিশ্বের ১৯টি ধনী দেশ ও ইউরোপীয় ইউনিয়ন নিয়ে জি২০ গঠিত। বর্তমানে ভারত এর সভাপতির দায়িত্ব পালন করছে। সেপ্টেম্বরে নয়া দিল্লিতে জি২০-র বার্ষিক শীর্ষ সম্মেলন হওয়ার কথা রয়েছে।