ইতালিতে ভয়াবহ বন্যায় ১৩ হাজার মানুষ ঘর ছাড়া, মৃত্যু ২০
প্রবল বৃষ্টিপাতে বিপর্যস্ত ইতালি। গত ৬ মাসে দেশটিতে যে পরিমাণ বৃষ্টি হয়নি তা গত দেড়দিনে ঝড়েছে। ২০টি নদীর পানি বিপৎসীমার উপর দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে। বৃহস্পতিবার ২০ জনের বেশি মানুষের প্রাণহানির খবর পাওয়া গেছে। ঘর ছাড়া ১৩ হাজারের বেশি মানুষ।
ভারী বর্ষণে হু হু করে বাড়ছে নদ-নদীর পানির উচ্চতা। বন্যায় সবচেয়ে বেশি ক্ষতিগ্রস্ত রাভেনা শহরের মেয়র বিবিসিকে জানান, গত এক শতাব্দীর মধ্যে সবচেয়ে ভয়াবহ পরিস্থিতি এটি।
বন্যার কারণে সৃষ্ট ক্ষয়ক্ষতিকে বিপর্যয়কর বলে বর্ণনা করে মিশেল ডি পাসকেল জানান, তার শহর এবং স্থানীয়দের ব্যাপক আকারে ক্ষতির সম্মুখীন হতে হচ্ছে।
৭১ বছর বয়সী রবার্ট লাজ্জারিনি বলেন, গত ৪৮ ঘণ্টায় পরিস্থিতি খুবই খারাপের দিকে গেছে। পানি ও কাঁদায় পুরো গ্রাম শেষ হয়ে গেছে।
বিভিন্ন জায়গায় ২৮০টির বেশি ভূমিধসের খবর জানিয়েছে বিবিসি। এমিলিয়া-রোমাগনা প্রদেশে প্লাবিত অনেক গ্রাম ও শহরের নদীর পাশাপাশি খালের পানি লোকালয়ে ঢুকেছে। এতে সাধারণ মানুষের দুর্ভোগ চরম মাত্রায় পৌঁছেছে।
ইতালির এমন পরিস্থিতির পেছনে জলবায়ুর পরিবর্তনকে দায়ী করছেন অনেকে। দেশটির জাতীয়ভাবে পরিকল্পনার প্রয়োজন ছিল বলে সরকারকে আগেই সতর্ক করেছিলেন অনেকে।
বেসামরিক সুরক্ষামন্ত্রী নেলো মুসুমেসি জানান, গ্রীষ্মমণ্ডলীয় পরিস্থিতি ইতিমধ্যে ইতালিতে পৌঁছেছে। ৩৬ ঘণ্টায় ২০ সেন্টিমিটার বৃষ্টিপাত হয়েছে। কিছু এলাকায় ৫০ সেন্টিমিটার পর্যন্ত রেকর্ড করা হয়। সূত্র: বিবিসি