ইমরান খানের বাড়ি ঘিরে রেখেছে পুলিশ, গ্রেপ্তার নিয়ে নাটক
পাঞ্জাব পুলিশ ঘিরে রেখেছে ইমরান খানের বাসভবন। তাকে ফের গ্রেপ্তার করা হবে এমন আশঙ্কা করছেন পাকিস্তানের সাবেক এই প্রধানমন্ত্রী।
ইমরান এক টুইটে গ্রেপ্তার আসন্ন বলে আশঙ্কা প্রকাশের পর পাঞ্জাবের তত্ত্বাবধায়ক সরকারের তথ্যমন্ত্রী আমির মীর জিও নিউজকে বলেছেন, বৃহস্পতিবার দুপুর ২টার আগে পাকিস্তান তেহরিক-ই-ইনসাফ (পিটিআই) প্রধান ইমরান খানের জামান পার্কের বাড়ি থেকে কাউকে গ্রেপ্তার করা হবে না।
তিনি আরও বলেন, বিভিন্ন সামরিক স্থাপনায় হামলা চালানো ‘৩০ থেকে ৪০ জন সন্ত্রাসী’ ইমরানের বাড়িতে লুকিয়ে আছে।
‘‘তাদের পুলিশের কাছে হস্তান্তর করতে পিটিআই প্রধানকে আজ (বুধবার) বিকালে ২৪ ঘণ্টার সময় বেধে দেওয়া হয়েছে। ওই ডেডলাইন পার না হওয়া পর্যন্ত কোনো ধরণের ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে না।” বুধবার ভিডিও লিংকের মাধ্যমে ইমরান জাতির উদ্দেশে ভাষণ দেন।
ভাষণ চলাকালেই পুলিশ তার বাড়ি ঘিরে ফেলে। টুইটারে পোস্ট ও ভিডিও পোস্টের মাধ্যমে ইমরান নিজেই সে খবর জানান এবং দাবি করেন, তাকে আবারও গ্রেপ্তার করা হতে পারে।
জিও নিউজে দেওয়া সাক্ষাৎকারে ইমরানের এই দাবি উড়িয়ে দেন প্রাদেশিক তথ্যমন্ত্রী আমির।
আরেক টুইট বার্তায় পিটিআই নেতা ফারুখ হাবিব দাবি করেন, পাঞ্জাবের তত্ত্বাবধায়ক মুখ্যমন্ত্রী মহসিন নাকভি ‘বিদ্বেষ’ থেকে পিটিআই প্রধান ইমরান খানের জামান পার্কের বাড়িতে গত ১৪ মার্চের অভিযানের পুনরাবৃত্তি করতে চাইছেন।
ইমরানকে ঘিরে পাকিস্তানের রাজনীতির মাঠ বুধবার নতুন করে গরম হয়ে উঠেছে।
এদিকে সকালে ইসলামাবাদ হাই কোর্ট ইমরানের সুরক্ষামূলক জামিনের মেয়াদ আগামী ৩১ মে পর্যন্ত বৃদ্ধি করেছে। আদালতের নির্দেশ, এই সময়ে গত ৯ মে-র পর দায়ের করা কোনো মামলায় তাকে গ্রেপ্তার করা যাবে না।
গত শুক্রবার আল-কাদির ট্রাস্ট দুর্নীতি মামলায় ইসলামাবাদ হাই কোর্ট থেকে ইমরানকে জামিন দেওয়া হয়।
আল-কাদির ট্রাস্প দুর্নীতি মামলায় গত মঙ্গলবার ইসলামাবাদ হাই কোর্ট প্রাঙ্গন থেকে ইমরানকে গ্রেপ্তার করেছিল পাকিস্তানের ন্যাশনাল অ্যাকাউন্টিবিলিটি ব্যুরো-এনএবি।
দুইদিন পর গত বৃহস্পতিবার পাকিস্তানের সুপ্রিম কোর্ট ইমরানের গ্রেপ্তারকে ‘বেআইনী’ ঘোষণা করে।
পরদিন আইএইচসি থেকে জামিন নিয়ে বাড়ি ফেরেন তিনি। বুধবার পুলিশ পিটিআইর আরো কয়েকজন নেতাকে গ্রেপ্তার করেছে বা করার চেষ্টা করেছে বলে দাবি করা হয়। পুলিশ অবশ্য ওইসব দাবি অস্বীকার করেছে।
এদিকে ইমরানের বাড়ির সামনে জড়ো হতে শুরু করেছেন তার কর্মীসমর্থকরা। যাদের মধ্যে এমনকি নারী ও শিশুরাও রযেছে। আদালতের নির্দেশ অমান্য করে সত্যিই কী ইমরানকে পুনরায় গ্রেপ্তার করা হবে?