ঘ্রাণ
চাঁদের ফটোসেশানে দাঁড়াই
জানি এ জীবন লখিন্দরের লোহার বাসর
লোহা ভেদ করে ঢুকে পড়ে মনসা
আমরা নাদান বাচ্চা লোহার বাসর
পাবো কই। সামান্য ভূমিকম্পেই রাস্তায় নেমে আসি
তোমাদের কি কাঠ গোলাপের ঘ্রাণ শুনিয়েছি
জানোইতো কাঠ গোলাগ ভাঁজ করে
অলংকার বানানো যায়
সেই অলংকার পরে লেচুশাহর মাজারে
সিন্নি মানো তাহলেই পেয়ে যাবে
টিবির পুকুরের ঘ্রাণ
মীননাথের বাড়ি
অপরিপূর্ণ জোছনায় ভরে গেছে পৃথিবী
তাই আমরা যে জোছনা খাই
তা আসলে পিরানহা
আমাদের নিত্যদিনের ভালোবাসাকে
মটকির মধ্যে রেখে দেয়
তোমরাতো জানো আলেয়ার কথা
যা আসলে গুচ্ছ ফসফরাস
তোমাদের দিনকে চাঁদের
সমান একনিষ্ঠ করবে
চলোনা হারিয়ে যাই যাত্রাপালার মেলায়
যেখানে আরো আছে লক্ষন দাসের সার্কাস
আমাদের জীবনকে সুস্থ রাখতে হলে
জানা দরকার ইতিহাস, ঐতিহ্য
তাহলেই যেতে পারবো মীননাথের বাড়ি
আমাদের রাখালেরা
আমাদের রাখালেরা কখনো বাঘ বাঘ বলে
চিৎকার করেনা। যেদিন বাঘ আসে সেদিন
সে চিৎকার দেয়। তার চিৎকারে গ্রামবাসীরা ছুটে আসে
আমাদের রাখালরা গরুর পাকস্থলীর মধ্যে খাবার বানায়
যে খাবারে তুষ্ট হয়ে গরু তার উর্বর দুধ দেয়
আমাদের রাখালেরা জোনাক পোকাকে আদার খাওয়ায়
তাই তাদের ঘরে আলোর অভাব হয়না
আমাদের রাখালেরা সবুজ ঘাস আর বৃক্ষের সাথে খেলা করে তাই তাদের চশমা পরা লাগেনা
আমাদের রাখালেরা কাঠ কুড়ালি খেলে
তাই কাঠের কোন অভাব নাই তার
আমাদের রাখালেরা লেচুশাহর মাজারে
নিত্য সিন্নি মানে তাই তাদের খাওয়া পরার অভাব হয়না
তাই এসো যন্ত্রনা ভুলে রাখালরে
আমাদের গ্রামপিতা বানাই
নাম
তুমি বলেছিলে তোমার একটা নাম দিতে।
আমি ছয়দিন ছয়রাত্রির এই পৃথিবী বানিয়ে তোমার নাম দিয়েছি চন্দ্রছায়া
অথচ কি আশ্চর্য আমাকে একবারও জিগ্গেস না করে বসে আছো পিঁড়িতে তাই আমি তোমার রোদে পৃথিবী দেখি যে সব চেয়ে বেশী লুজার
বৃষ্টি
উচ্চ শিক্ষার্থে বিদেশ চলে গেছে মেঘ
তাই বৃষ্টি হচ্ছেনা। ব্যাাঙ এর নাকে যতোই
নোলক পড়াওনা কেন বৃষ্টি হবেনা
বৃষ্টি হচ্ছে সাহস সুর্মা ধান যেন চিটা হয়ে না যায়
তার জন্য বৃষ্টির প্রয়োজন
তোমাদের উঠানে একটা বাঁশ আলনা রেখো
তাতে দোল খেতে খেতে নিয়ে আসতে পারো বৃষ্টি
আর কমলারানীও দেওকে সরিয়ে স্নান করতে পারে
কবি
মরবো কিন্তু কাউকে মারবোনা
প্রতিহিংসা পরায়ন হয়না কবিরা
কবি মানে সোনালী আঁশ
কবি মানে আকাশ
কবি মানে ঢেউ তোলাসব
পূবালী বাতাস।
কবি মানে কমলারানী
কবি মানে গুনাই
কবি মানে একটুখানি
গজল গেয়ে শুনাই।