রুয়ান্ডা ও উগান্ডায় ভারী বর্ষণের জেরে বন্যা-ভূমিধস, নিহত অন্তত ১৩৬
পূর্ব আফ্রিকার দেশ রুয়ান্ডা ও উগান্ডায় বন্যা ও ভূমিধসের জেরে কমপক্ষে ১৩৬ জন নিহত হয়েছেন। এই ঘটনায় আরও কিছু মানুষকে উদ্ধার করে হাসপাতালে নেওয়া হয়েছে। এছাড়া আটকে পড়া মানুষকে উদ্ধারে তৎপরতা চালাচ্ছে কর্তৃপক্ষ।
ভারী বৃষ্টিপাতের জেরে সৃষ্ট বন্যা ও ভূমিধসে রুয়ান্ডার পশ্চিমাঞ্চলে এই প্রাণহানির ঘটনা ঘটে। বুধবার (৩ মে) এক প্রতিবেদনে এই তথ্য জানিয়েছে বার্তাসংস্থা রয়টার্স।
প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, রুয়ান্ডার পশ্চিমাঞ্চলে প্রবল বর্ষণের পর বন্যা ও ভূমিধসের কারণে অন্তত ৯৫ জন নিহত হয়েছেন বলে বুধবার দেশটির একজন জ্যেষ্ঠ সরকারি কর্মকর্তা জানিয়েছেন। এছাড়া ভূমিধসের পর নিজেদের বাড়িতে আটকে পড়া অন্যদের সন্ধান করছে কর্তৃপক্ষ।
রাষ্ট্র পরিচালিত রুয়ান্ডা ব্রডকাস্টিং এজেন্সির টুইটারে পোস্ট করা একটি ভিডিও ফুটেজে, প্লাবিত রাস্তায় কাদা-মিশ্রিত পানি দ্রুত প্রবাহিত হতে এবং বাড়িগুলোকে ক্ষতিগ্রস্ত করতে দেখা যায়।
রুয়ান্ডার ওয়েস্টার্ন প্রভিন্সের গভর্নর ফ্রাঁসোয়া হাবিতেগেকো রয়টার্সকে বলেছেন,‘ক্ষতিগ্রস্ত প্রতিটি বাড়িতে পৌঁছানোই এখন আমাদের প্রধান অগ্রাধিকার। একইসঙ্গে আটকে পড়া যেকোনো ব্যক্তিকে আমরা নিরাপদে উদ্ধারের বিষয়টি নিশ্চিত করতে চাই।’
এছাড়া বন্যা ও ভূমিধসের পর কয়েকজনকে উদ্ধার করে হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়েছে বলে জানিয়েছেন তিনি। তবে তাদের সংখ্যা ঠিক কত তা জানাননি এই কর্মকর্তা।
এদিকে বন্যা ও ভূমিধসের ফলে ওয়েস্টার্ন প্রভিন্সে রুটসিরো জেলায় সবচেয়ে বেশি প্রাণহানি হয়েছে বলে জানান ফ্রাঁসোয়া হাবিতেগেকো। তার মতে, রুটসিরোতে ২৬ জন মারা গেছেন। এছাড়া নিয়াবিহুতে ১৯ জন এবং রুবাভু ও এনগোরোরেরোতে ১৮ জন করে মারা গেছেন।
হাবিতেগেকো জানান, স্থানীয় সময় মঙ্গলবার সন্ধ্যা ৬টা নাগাদ বৃষ্টি শুরু হয় এবং একপর্যায়ে সেবায়া নদীর তীর ছাপিয়ে পানি আশপাশের অঞ্চলে ঢুকে পড়ে।
তিনি বলেন, ‘আগের কয়েকদিনের বৃষ্টির কারণে মাটি ইতোমধ্যেই ভিজে গিয়েছিল। যার ফলে আবারও বৃষ্টি হলে ভূমিধস হয় এবং অনেক রাস্তা বন্ধ হয়ে যায়।’