একটি হামিংবার্ড উড়ে এসে
বসেছিল আমার হৃদয়ের ওপর।
আমার হৃদয় নিঙড়ে
ভালোবাসা পান করেছিল অনেক।
গুনগুন গুঞ্জন শুনিয়েছিল আমায় নিশিদিন।
সে-গুঞ্জনে বান ভেসেছিল
আমার হৃদয়ের দু’কূলে।
সেই বানে ভেসেছিলাম,
ডুবেছিলাম আমরা দু’জনে।
আমি হৃদয়েতে পথ কেটে দিয়েছিলাম
ওর জন্য।
ও আমার হৃৎপিণ্ড খুঁড়ে-খুঁড়ে
নিজের জন্য একটি নীড় বানিয়ে নিয়েছিল।
আমার হৃৎপিণ্ডের ভেতরে
আমি ওর নিশ্বাস শুনতে পেতাম,
ওর ঠোঁটের ভীষণ স্পর্শ পেতাম,
ওর পালকের অমৃত ছোঁয়া পেতাম।
তাতে আমার পরানে প্রবল ঢেউ বয়ে যেতো।
আমি খরস্রোতা নদীর মতো বইতাম।
একদিন আচম্বিতে হামিংবার্ডটি উড়ে গেলো,
ওর বানানো নীড়খানি ছেড়ে।
ফেলে গেলো ওর কিছু নিশ্বাসের অনুরণন,
কিছু ঝরা পালক,
ওর গায়ের কিছু অমর্ত্য ঘ্রাণ।
বিধুর হলো শূন্য নীড়,
বিধুর হলো হৃদ-মাঝারের কাটা পথ,
শুকিয়ে গেলো পরানের ঢেউ,
থেমে গেলো নদীটি।
বিদায়, আমার হামিংবার্ড!
শুভবিদায়!
আমার হৃদয় নিঙড়ানো সবটুকু নির্যাস
আর ভালোবাসায় তুমি ভালো থেকো।
তোমায় আমি স্বপনে অনুভব করবো,
তোমায় আমি স্বপনে দু’চোখ ভ’রে দেখবো।
✍️এই নিবন্ধটি সাময়িকীর সুন্দর এবং সহজ জমা ফর্ম ব্যবহার করে তৈরি করা হয়েছে। আপনার লেখা জমাদিন!