হোটেলের নাম মেঘালয়। হোটেল না বলে “হলিডে রিসোর্ট”ব ললে মনে হয় অতুক্তি করা হবে না। পাহাড়ের গাঁ ঘেঁষে কয়েকটি ছোট বড় টিলা, তারই মাথার উপর কিছুদূর পর পর টুইন রুম নিয়ে এক একটি কুটির। ইংরেজীতে যাকে বলে কটেজ। হোটেলটি পার্বত্য চট্টগ্রামের প্রাকৃতিক দৃশ্যের ভরপুর বান্দর বন শহরের কাছা কাছি জায়গায়। এক কুটির থেকে আরেক কুটিরে যেতে হলে, টিলার উপরের দিকে যেতে হবে. আবার কোথাও নিচের দিকে নামতে হবে। হোটেলের সিঁড়িগুলি কিছু মাটি মাখা কাদা জড়ো করে তার উপর কাঠের তক্তা দিয়ে মুড়ানো। আর সিঁড়ির দু’ ধারে লম্বা বাঁশের হাতল দেয়া আছে. যাতে করে অথিতিরা হাঁটা পথে সমতা হারিয়ে না ফেলে। মোট কথা অবস্থা দেখে মনে হয়, হোটেলটি তরুণ-তরুণীদের জন্য উপযুক্ত, বয়স্কদের বেড়ানো জন্য যথেষ্ট উপযোগী নয়। হোটেলটির প্লাস পয়েন্ট হলো, হোটেলের চারিপাশ প্রকৃতি তার দুহাত উজাড় করে অনুপম সৌন্দর্যে ভরে দিয়েছে। আর তুলনামূলক ভাবে কম খরচ। সবচেয়ে বড় যে টিলাটি, তার উপর “রেস্টুরেন্ট কাম রিসেপশন।” প্রায় পঞ্চাশটির মতো সিঁড়ি বেয়ে ওই রেস্টুরেন্টে পৌঁছাতে হয়। তাইতো প্রাতরাশ করার জন্য বয়স্ক পর্যটকদের প্রতিদিন উঠানামা করা দুস্কর বটে।
রেস্টুরেন্টের বিরাট ব্যালকনিতে দাঁড়ালে আকাশে দৃশ্যমান শুধু মেঘ আর মেঘ। মনে হয় একটু হাত বাড়ালেই ছোঁয়া যাবে। আরো দূরে ঘন বন জঙ্গলের ভিতর দিয়ে সারি সারি পাহাড় উঁকি দিচ্ছে। তারই এক পাহাড়ের পেটের ভিতর থেকে ঝর্ণার জল মাটির দিকে গড়িয়ে পড়ছে। সে এক অভূতপূর্ব দৃশ্য। অবশ্য ঝর্ণাটি দূরে থাকার ফলে তার মিষ্টি মাখানো কল কাকলির গর্জন শোনা যাচ্ছে না।
তরুণ, সৎ এবং সাহসী সাংবাদিক তুষার ঢাকার ইংরেজির দৈনিক “দা ট্রাস্ট” পত্রিকার স্টাফ রিপোর্টার। নভেম্বরের প্রথম দিকে তার এসাইনমেন্ট পড়লো পার্বত্য চট্রগ্রামের আদিবাসীদের সাথে বাঙালিদের যে উত্তজনা এবং কলহ চলছে সেগুলির সর জমিনের তথ্য সংগ্রহ করে রিপোর্ট তৈরী করা। একদিন সম্পাদক সাহেবকে “ইয়েস বস” বলে তার সহকর্মী ক্যামেরাম্যান কবিরকে সাথে করে নিয়ে পাড়ি জমালো বান্দরবনের উদ্দেশ্যে। ঢাকার শ্যামলী পরিবহন, রাত এগারোটার কোচ ছাড়লো রাত বারোটায়। অবশ্য এতে অবাক হওয়ার কিছুই ছিল না। তবে রাত দুপুরে গভীর অন্ধকারে ড্রাইভার সাহেব যে ভাবে রুদ্ধশ্বাসে গাড়ী চালালেন, তাতে মনে হলো উনি কোনো মটর গাড়ীর আন্তর্জাতিক “গ্রান্ড প্রি দৌড়বাজিতে” যোগ দিলে ভালই করতে পারবেন। এদিকে যাত্রীদের ঘুম ঘুম ভাব সত্ত্বেও প্রাণের ভয়ে সবাই অস্থির। অবশেষে ভালোই ভালো কাক ডাকা ভোরে তারা দুজনে পূর্ব নির্ধারিত বান্দর বনের সেই “মেঘালয়” হোটেলে পৌছালো। হোটেলের রিসেপশন থেকে কটেজের চাবি নিয়ে দুজনে সটান নিজ নিজ বেডে শুয়ে পড়ল। ঘন্টাখানিক বিশ্রাম নেয়ার পর প্রাতরাশ করার জন্য রেস্টুরেন্টে আসলো। হোটেলটির চুক্তি ছিল “বেড এন্ড ব্রেকফাস্ট।” রাত্রির খাবারের কোনো বন্দোবস্ত নেই। প্রয়োজন হলে হোটেলের বাইরে শহরতলি থেকে ডিনার বা লাঞ্চ সেরে আস্তে হবে।
তুষার এবং কবির রেস্টুরেন্টে ঢুকে দেখতে পেলো নানা বর্ণের পর্যটকদের আনাগোনা, আর যে যার খাবার দাবার নিয়ে ব্যস্ত। খিদে অনেক ছিল। পেট পুরে প্রাতরাশ সেরে বিরাট ব্যালকনিতে এসে বসলো। বসার সাথে সাথেই ওরা লক্ষ্য করলো ব্যালকনির কোণের দিকে একদল তরুণ তরুণী খুব মজা করে আড্ডা মারছে। মনে হচ্ছে একঝাঁক পাখির কিচির মিচির শব্দে আড্ডাখানি প্রাণবন্তহয়ে উঠেছে। শুধুমাত্র কয়েকজন ছাড়া দলের মাঝে প্রায় সবাই শেতাঙ্গ। তুষার সাংবাদিক মানুষ ,উৎসুক মন। বিশেষ কিছু না ভেবেই সে চেয়ার ছেড়ে দলের মাঝে সবচেয়ে কমবয়সী শেতাঙ্গ ছেলেটির কাছে এসে ইংরেজিতে বললো, “হাই! আমি তুষার, তোমরা কি সবাই স্টাডি ট্যুর অথবা হলিডে করতে এখানে এসেছো?”
ছেলেটি উত্তর দিলো, আমি রবার্ট। গতকাল পর্যন্ত আমরা কেউ কাউকে চিনতাম না। আমাদের সবারই পরিচয় হয়েছে এই রেস্টুরেন্টের ভিতর। আমরা সবাই বান্দর বনে হলিডে করতে এসেছি।”
“তোমাদের আড্ডার হাবভাব দেখে মনে হচ্ছিলো, তোমরা একে অপরকে অনেক দিন ধরে চেনো ” তুষার বিস্মিত সুরে জানালো। কথাটি শুনে সবাই মৃদু হাসলো। কথার ফাঁকে তুষার জানতে পারলো, দলের মধ্যে কেউ গ্রিক, আবার কেউবা পোলিশ, ইংলিশ, আমেরিকান, ইন্ডিয়ান, ফ্রেঞ্চ, মালয়েশিয়ান এবং দুজন বাঙালি মেয়ে রয়েছে। তুষার মজা করে বললো, “তোমাদের এতো বন্ধুত্ব! ভাব দেখে আমার কাছে মনে হচ্ছে, আমি যেন “মিনি ইউনাইটেড ন্যাশনের” অফিসে বসে আছি, তোমাদের মাঝে এতো সমঝোতা দেখে আমার মনে প্রশ্ন জাগছে কেন আমরা এক দেশ অপর দেশকে সম্মান করে শান্তিতে বসবাস করতে পারছিনা।” তৎক্ষণাৎ বাঙালি মেয়েটি বললো, “আমরা সবাই দিনে দিনে লোভী এবং ভীষণ স্বার্থবাদী হয়ে যাচ্ছি। তারই পরিণামে আমরা প্রতি পদে পদে অশান্তিতে ভুগছি।” তুষার বাঙালি মেয়েদের সামনে এসে বাংলাতে জিজ্ঞাসা করলো,”আপনাদের দুজনার সাথে এখনো পরিচয় হলো না।” দুজনার মাঝে লম্বামতো সুন্দরী মেয়েটি বললো, “আমি প্রতীভা রায় ,চিটাগাং ইউনিভার্সিটিতে বাংলায় অনার্স পড়ছি এবং ওখানেই মা -বাবার সাথে থাকি। আর ও হলো আমার ফার্স্ট কাজিন নাম কবিতা। ইন্ডিয়া থেকে এসেছে কিছুদিনের জন্য। আমাদের আমন্ত্রণে বাংলাদেশে পূর্ব পুরুষদের ভিটে মাটির দেখার জন্য। আমি তাকে বান্দরবনের নানা জায়গায় ঘুরাতে নিয়ে এসেছি। এখানে আমার কয়েক বারই আসা হয়েছে। জায়গাটি দেখার মতো। সত্যিই জায়গাটি না দেখলে আমাদের বাংলাদেশও যে এতো সৌন্দের্যের লীলা ভূমি রয়েছে তা অনেকের নিকট অজ্ঞাত হয়ে থাকবে।”
“ভালো লাগলো আপনাদের সাথে কথা বলে, আবার দেখা হবে।” অনেক অনেক ধন্যবাদ জানিয়ে তুষার তখনকার মতো তাদের কাছ থেকে বিদায় নিলো। দু’দিন পরে সেই ইংরেজ ছেলেটির সাথে আবার দেখা হতে সে জানালো যে, আজকের দুপুরে সবাই হোটেল ছেড়ে চলে যাচ্ছে যে যার গন্তব্যস্থলে। সে ফিরে যাচ্ছে চট্রগ্রাম ইউনিভার্সিটিতে যেখানে সে ইংরেজি সাহিত্য পড়ায় ইউনিভার্সিটি ছেলেদেরকে।
এদিকে তুষার এবং কবিরকে বেশ কিছুদিন সেখানে থাকতে হলো তাদের “মিশন কমপ্লিট” করার জন্য। হঠাৎ করে তুষার কবিরকে বললো, “প্রতিভা মেয়েটি বেশ। ওর ফোন নাম্বারটা নেয়া উচিত ছিল। “কবির বললো, “না নিয়ে ভালোই করেছিস। কি দরকার সম্পর্ক রেখে! তুই কি ওর প্রেমে পড়েছিস?” এ কথা শুনে তুষার আর কোনো কথা বাড়ালো না।
ফেব্রুয়ারী মাস, ঢাকার “বই মেলা” শুরু হয়ে গেছে। এখানে বই কেনার সাথে সাথে তরুণ তরুণীদের প্রেম, ভালোবাসার মন দেয়া -নেয়ার জায়গা, বয়স্ক জনেরা তাই বলে থাকেন। তুষার সাহিত্য প্রেমিক। কিছু নুতন বই কিনবে বলে, সেখানে যাবো যাবো বলে এখনো যাওয়া হচ্ছে না। অবশেষে মেলার শেষ দিনটিতে সময় করে নিলো। মেলার ভিতর ঢুকার পরই তুষার দেখতে পেলো বর্ধমান হাউসের সলংগ্ন যে মাঠটি রয়েছে, সেখানে সুন্দর করে স্টেজ তৈরী করা হয়েছে।
নানা রঙের ফুল এবং ফুলের তোড়া দিয়ে লম্বা টেবিলটিকে সাজিয়ে রেখেছে। তুষার স্টেজের সামনে একটি চেয়ার নিয়ে বসে পড়লো। পাশে বসা ভদ্র মহিলাকে অতি বিনয়ের সাথে জিজ্ঞাসা করলো, “এখানে কিসের আয়োজন হচ্ছে?” ভদ্র মহিলা এক নজরে তুষারের দিকে তাকিয়ে জবাব দিলেন, “এখানে এবছর যারা বাংলা সাহিত্যের নানা পর্যায়ে অবদান রেখেছেন, তাদেরকে বাংলা একাডেমীর তরফ থেকে পুরস্কৃত করা হবে, অর্থাৎ দেশের গুণী সাহিত্যিকদের এভাবেই স্বীকৃতি দেয়া হয়। এরকম অনুষ্ঠান প্রতি বছরই হয়ে থাকে।”- কথাগুলি প্রায় শেষ না হতেই ভদ্র মহিলার পাশের চেয়ারটিতে বসা মেয়েটিকে দেখেই তুষার চিনে ফেললো। একটু অবাক হয়ে বললো, “আরে, মিস প্রতিভা রায় না! “প্রতিভা তুষারকে লক্ষ্য করে বললো, “হ্যাঁ, আপনাকে চিনতে পেরেছি, কি যেন নামটা আপনার! আবহাওয়া দিয়ে আপনার নামটা, শিশির, তুহিন, ও হ্যাঁ মনে পড়েছে। আপনার নাম তুষার। সেই বন্দরবনে মেঘালয় হোটেলে দেখা! ঠিক ধরতে পেরেছি না!?
“হান্ড্রেড পার্সেন্ট কারেক্ট, আমার ভাগ্য ভালো তাই চিনতে পেরেছেন।” তুষার মৃদু হেসে উত্তর দিলো।
প্রতিভা পাশে বসা ভদ্রমহিলাকে লক্ষ্য করে জানালো, “উনি আমার মামীমা, ঢাকায় এলে মামা-মামীমা’র বাসায় উঠি। আজ বই মেলার শেষ দিন, তাই বাসার কাউকে রাজী করাতে না পেরে প্রায় জোর করে মামীকে এখানে নিয়ে এলাম।”
তুষার মামীকে যথাযত সম্মান জানিয়ে প্রতিভাকে বললো, “ভালোই করেছেন, এই যে আজ আপনার সাথে অপ্রত্যাশিত ভাবে সক্ষাৎটি হয়ে গেলো, সেটা আপনার মামীমা’র বদৌলতে হলো।”
এরপর প্রতিভা আবার বললো, “চলুন, মেলার দোকানগুলো একটু ঘুরে আসি। অনুষ্ঠান শুরু হতে এখনো অনেক দেরী আছে।” প্রতিভা মামীর কাছ থেকে সম্মতি নিয়ে তুষারকে সাথে নিয়ে যে দিকে মেলার স্টলগুলি রয়েছে সেদিকে রওয়ানা দিলো। কিছুক্ষন হাঁটা-হাঁটি করে দুজনে কয়েকটি পছন্দসই বই কিনে পাশের একটা রেস্টুরেন্টে ঢুকলো। রেস্টুরেন্টটা “বুফে” টাইপের। তুষার কয়েকটা সিঙ্গারা এবং প্রতিভার জন্য এক কাপ কফি এবং নিজের জন্য এক কাপ চা নিয়ে দুজনে একটা টেবিলে মুখোমুখি বসলো। চায়ের কাপে চুমুক দিয়ে প্রথমে তুষার প্রতিভাকে হাসতে হাসতে জিজ্ঞাসা করলো, “আচ্ছা, আপনি তো বাংলা সাহিত্য নিয়ে পড়ছেন? আপনি কি মনে করেন আজকাল এ বিষয়ে লেখাপড়া করে এই দুষপ্রাপ্য চাকরীর বাজারে এর কোনো ভবিষ্যৎ আছে?”
-আমি তো চাকরির জন্য বাংলা সাহিত্য নিয়ে লেখাপড়া করছি না। মনের আনন্দ এবং চিত্তের প্রশান্তির জন্য সাহিত্যটাকে বেছে নিয়েছি। সাহিত্য, সংগীত, শিল্প-সংস্কৃতি এসব তো মানুষের মনের খোরাক। মনের খোরাকের অবসান হলে তখন মানুষ তো আর মানুষ থাকলোনা, তাহলে মানুষ আর পশুতে পার্থক্য থাকলো কোথায়? উন্নত ভবিষ্যৎ এবং অর্থনৈতিক উন্নয়নের জন্য চিকিৎসক স্থপতি বিজ্ঞানী, আবিস্কারক প্রভৃতির প্রয়োজন রয়েছে, তেমনি মানুষের মতো বেঁচে থাকতে হলে সাহিত্যকে হেলাফেলা করা যায় না। এটা আমার ব্যক্তিগত ধারণা। অন্যেরা কি মত পোষণ করে সেটা যার যার নিজস্ব ব্যাপার। আপনি খেয়াল করে দেখবেন, যে দেশ যত উন্নত, সে দেশ সাহিত্যেও ততটা উন্নত।
– আপনার যুক্তিটি মানতে বাধ্য হচ্ছি।
– এখন বলুন আপনি কেন সাংবাদিক হলেন?
– ভালো ছাত্র হিসেবে আমার নাম ডাক ছিল। কিন্তু অংকে কাঁচা ছিলাম, তাই ইঞ্জিনারিং পড়ার কোনো প্রশ্নই উঠিনি। আর কোনো মানুষ অথবা যে কোনো জীব জন্তুই হোক তাদের শরীর থেকে বয়ে যাওয়া রক্ত দেখলে ভয়ে আমার প্রাণটা কেঁপে উঠে, তাই ডাক্তারীর দিকে পা মাড়াতে সাহস করিনি।
– তাহলে সাংবাদিকতা পেশায় অভিপ্রায় অর্থাৎ ইচ্ছা কিভাবে জাগলো?
– সে এক দারুন ব্যাপার। ছোট বেলা থেকে যখন দেখতাম, সমাজের বড় বড় মহারথী, মন্ত্রী, এমপিদেরকে সাংবাদিকরা নানা রকম প্রশ্ন বিদ্ধ করে তাদেরকে হেস্ত নেস্ত করে কাবু করে ফেলতো, তখন সে দৃশ্যগুলি দেখে ভীষণ মজা লাগতো। পেশাটাকে গ্ল্যামারাস মনে হতো। আর তার সাথে মনে হতো কাজের উদ্দেশে দেশ বিদেশে ঘোরাও যাবে। অবশ্য পেশাটাকে যত গ্ল্যামারস মনে করতাম, বাস্তবে ততটা সত্যি না। অনেক শ্রম দিতে হয়, কখনো কখনো জীবনের সাথে বাজি রেখে সংবাদ সংগ্রহ করতে হয়। কোথায়ও কোনো নির্দিষ্ট কাজ নিয়ে বাইরে গেলো ফিরে না আসা পর্যন্ত বাবা- মা চিন্তায় থাকেন। তবুও পেশাটাকে অনেক ভালোবাসি, কাজটার মাঝে অনেক তৃপ্তি পেয়ে থাকি। কথায় কথায় অনেক সময় বয়ে গেলো, এতক্ষনে নিশ্চয় অনুষ্ঠান আরম্ভ হয়ে গেছে। হয়তো আপনার মামীমা আপনার দেরী দেখে উৎকণ্ঠায় সময় কাটাচ্ছেন। ভাবছেন ,ছেলেটি আমার ডাগর চোখের সুন্দরী ভাগ্নিটিকে কোথায়ও নিয়ে চলে গেলো কিনা। চলুন ফিরে যাক।
– তা ভাবলে ভাবুক গিয়ে, আমার একেবারে বয়ে গেছে!!
হঠাৎ দেখা মেঘালয়ে
এই নিবন্ধটি শেয়ার করুন
একটি মন্তব্য করুন
একটি মন্তব্য করুন