ক্রিমিয়ায় জ্বালানি ট্যাংকারে বিস্ফোরণের ঘটনায় ইউক্রেনকে দুষছে রাশিয়া
ক্রিমিয়া উপদ্বীপের সেভাস্তোপোল বন্দরে জ্বালানি ট্যাংকারে বিস্ফোরণের পেছনে ইউক্রেনের ড্রোন হামলাকে দায়ী করেছে রাশিয়া।
মস্কোর দখলকৃত ক্রিমিয়ায় শনিবার ট্যাংকার বিস্ফোরণে আতঙ্ক ছড়িয়ে পড়ে। রুশ মদদপুষ্ট গভর্নর বলছেন, সেভাস্তোপোলে এমন বিপর্যয়ের পেছনে কিয়েভের হাত রয়েছে। রবিবার (৩০ এপ্রিল) এক প্রতিবেদনে এ খবর জানিয়েছে বার্তা সংস্থা রয়টার্স।
এদিকে ইউক্রেনের একজন সামরিক গোয়েন্দা কর্মকর্তা বলেছেন, রাশিয়ার ব্ল্যাক সি ফ্লিটে ব্যবহারের জন্য প্রায় ৪০ হাজার টন ক্ষমতাসম্পন্ন তেলের ১০টির বেশি ট্যাংক বিধ্বস্ত হয়েছে। যদিও এ নিয়ে কোনও মন্তব্য পাওয়া যায়নি মস্কোপন্থি কর্তৃপক্ষের।
ক্রিমিয়ার বন্দরনগরীতে এমন সময় হামলা হলো, যখন রুশ বাহিনীর বিরুদ্ধে বহুল প্রতীক্ষিত পাল্টা জোরালো আক্রমণের প্রস্তুতি সম্পন্ন করেছে ইউক্রেনীয় বাহিনী। ২০২২ সালের ফেব্রুয়ারি থেকে ইউক্রেনে যুদ্ধ চালিয়ে যাচ্ছে রাশিয়া।
এখন পর্যন্ত ইউক্রেনের মাটিতে খুব একটা সুবিধা করতে পারেনি রুশ বাহিনী। কয়েকটি হারানো অঞ্চল মস্কোর কাছ থেকে আবারও পুনরুদ্ধার করেছে কিয়েভ। পুরো ইউক্রেনকে শত্রুমুক্ত করতে সর্বোচ্চ চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছে দেশটি।
মস্কো ২০১৪ সালে ক্রিমিয়া ভূখণ্ড ইউক্রেনের কাছ থেকে দখল করে নিলেও সম্প্রতি আবারও অস্থির হয়ে উঠেছে। মস্কোর অভিযোগ, ক্রিমিয়াকে অস্থির রাখতে সামরিক ড্রোন পাঠচ্ছে ইউক্রেন।
সেভাস্তোপোলের গভর্নর মিখাইল রাজভোজায়েভ দাবি করেন, তেলের ট্যাংকগুলোয় একটি মাত্র ড্রোন আঘাত করেছে। শত্রুরা সকালের দিকে হামলা করে সেভাস্তোপোলকে চমকে দিতে চেয়েছিল। কিন্তু রুশ দমকলকর্মীরা দেখিয়েছে, কীভাবে একটি বড় অগ্নিকাণ্ড এবং বিপর্যয় রোধ করা যায়।
ইউক্রেনের দূরপাল্লার ক্ষেপণাস্ত্রের সংকট রয়েছে। সেভাস্তোপোলে ইউক্রেনের মূল ভূখণ্ড থেকে অনেকটা দূর হওয়ায় তা বেশ জটিল। ফলে ড্রোনকে বেছে নেওয়া হতে পারে বলে ধারণা করা হচ্ছে। যদিও ক্রিমিয়ায় নতুন করে বিস্ফোরণের প্রসঙ্গে কোনও দায় স্বীকার করেনি ইউক্রেন। গত শুক্রবার ইউক্রেনেজুড়ে রাশিয়ার ক্ষেপণাস্ত্র হামলায় ২৫ জন নিহতের পরই এ ঘটনা ঘটে।