তিউনিসিয়া উপকূলে ৪১ অভিবাসনপ্রত্যাশীর মরদেহ উদ্ধার
তিউনিসিয়ার জলসীমা থেকে আরও ৪১ জন অভিবাসনপ্রত্যাশীর মরদেহ উদ্ধার করেছে দেশটির কোস্টগার্ড। শুক্রবার তিউনিসিয়ার এক ন্যাশনাল গার্ড কর্মকর্তা মরদেহ উদ্ধারের কথা নিশ্চিত করেছেন। এর ফলে গত দশ দিনে দেশটির উপকূলে ২১০ জন অভিবাসনপ্রত্যাশীর মৃত্যু হলো। ব্রিটিশ বার্তা সংস্থা রয়টার্স এ খবর জানিয়েছে।
ন্যাশনাল গার্ড কর্মকর্তা হুসেম এডিন জেবাদালি বলেছেন, মরদেহগুলোতে পঁচন ধরে গেছে। ধারণা করা হচ্ছে বেশ কয়েকদিন পানিতে ছিল।
তিনি আরও বলেছেন, অল্প কয়েক দিনে এত মৃত্যুর ঘটনা নজিরবিহীন।
সম্প্রতি সাব-সাহারা আফ্রিকা, সিরিয়া ও সুদানের অভিবাসনপ্রত্যাশীদের নিয়ে ভূমধ্যসাগর পাড়ি দেওয়ার চেষ্টাকারী নৌযানের সংখ্যা বৃদ্ধি পেয়েছে। এসব নৌকায় অভিবাসনপ্রত্যাশীরা তিউনিসিয়া থেকে ইতালি পৌঁছার চেষ্টা করেন। প্রতিবেশী লিবিয়াতে এমন পাচারের বিরুদ্ধে অভিযান শুরুর পর সমুদ্র পাড়ি দেওয়া চেষ্টা বেড়েছে।
এর আগে বুধবার রয়টার্সের প্রতিবেদনে বলা হয়েছিল, ভূমধ্যসাগরে অভিবাসীপ্রত্যাশী দুটি নৌকা ডুবে যাওয়ার পর পশ্চিম লিবিয়ার দুটি শহরের উপকূলে অন্তত ৫৭ মরদেহ ভেসে এসেছে বলে জানিয়েছেন দেশটির কোস্টগার্ড কর্মকর্তা এবং একজন সাহায্যকর্মী।
তারও আগে, সোমবার উত্তাল সাগরে ঝুঁকি নিয়ে অবৈধভাবে ইউরোপে যাওয়ার পথে ৩৭২ জন অভিবাসনপ্রত্যাশীকে আটক করেছে তিউনিসিয়া কোস্টগার্ড। এর মধ্যে বাংলাদেশিও ছিল। রাজধানী তিউনিস থেকে ২৫০ কিলোমিটার দক্ষিণের বন্দর নগরী স্ফ্যাক্সোর উপকূলে অভিযান চালিয়ে তাদের আটক করা হয়।
আন্তর্জাতিক অভিবাসন সংস্থা জানিয়েছে, ২০২৩ সালে এ পর্যন্ত ৪৪১ জন অভিবাসনপ্রত্যাশী ও শরণার্থী ভূমধ্যসাগরের মধ্য দিয়ে উত্তর আফ্রিকা থেকে ইউরোপে যাওয়ার পথে পানিতে ডুবে মারা গেছে। গত ৬ বছরে, ৩ মাসের মধ্যে মৃত্যুর সংখ্যা এটাই সর্বোচ্চ।