সুদানে সেনাবাহিনী ও আধাসামরিক বাহিনীর সংঘর্ষে নিহতের সংখ্যা ৫০ ছাড়াল
আফ্রিকার দেশ সুদানে সেনাবাহিনী এবং শক্তিশালী আধাসামরিক বাহিনীর মধ্যে সংঘর্ষে মৃতের সংখ্যা ৫০ ছাড়িয়েছে।
ব্রিটিশ সংবাদমাধ্যম দ্য গার্ডিয়ান এক প্রতিবেদনে জানিয়েছে, রোববার (১৬ এপ্রিল) সকালেও দুই বাহিনীর মধ্যে গোলাগুলি হয়েছে। এতে এখন পর্যন্ত অন্তত ৫৬ জনের মৃত্যুর ব্যাপারে নিশ্চিত হওয়া গেছে। আর এ ঘটনায় আহত হয়েছেন কমপক্ষে ৬০০ জন। রাজধানী খারতুমে থেমে থেমে গোলাগুলির শব্দ শোনা গেছে।
আরএসএফ দাবি করেছে, তারা খারতুমে অবস্থিত প্রেসিডেন্ট ভবন, খারতুম আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর এবং অন্যান্য গুরুত্বপূর্ণ স্থাপনার নিয়ন্ত্রণ নিয়েছে। তবে শনিবার দিনশেষে দেশটির সেনাবাহিনী দাবি করে, প্রেসিডেন্ট ভবন ও বিমানবন্দরের নিয়ন্ত্রণ তাদের হাতেই রয়েছে।
সুদানে সংঘর্ষে হতাহতের খবর রাখা ডক্টরস ইউনিয়ন এখন পর্যন্ত ৫৬ জনের মৃত্যুর ব্যাপারে নিশ্চিত হয়েছে। ব্রিটিশ সংবাদমাধ্যম বিবিসি জানিয়েছে, নিহতদের মধ্যে অন্তত ৩ জন জাতিসংঘের কর্মী।
সুদানের সেনাবাহিনী বর্তমান শাসক জেনারেল আব্দুল ফাত্তাহ আল-বুরহানের অনুসারী। অপরদিকে আরএসএফের সেনারা সাবেক সমালোচিত যুদ্ধবাজ জেনারেল মোহাম্মদ হামদান দাগালোর অনুসারী।
দুই বাহিনীর মধ্যে সংঘর্ষ ছড়িয়েছে মূলত আরএসএফকে সেনাবাহিনীতে একীভূত করা নিয়ে। সুদানে সাধারণ নির্বাচন আয়োজন করে বেসামরিক সরকারের হাতে ক্ষমতা তুলে দেওয়ার অন্যতম প্রধান শর্ত ছিল আরএসএফকে সেনাবাহিনীর সঙ্গে একীভূত করা।
সেনাবাহিনী জানিয়েছে, তারা চায় আগামী ২ বছরের মধ্যে দুই বাহিনীকে এক করা হবে। তবে আরএসএফ জানিয়েছে, এ প্রক্রিয়া অন্তত ১০ বছর পিছিয়ে দিতে হবে। এ নিয়েই দুই বাহিনীর মধ্যে দ্বন্দ্ব লেগে যায়।
বার্তা সংস্থা রয়টার্স জানায়, সুদানের আধাসামরিক বাহিনী র্যাপিড সাপোর্ট ফোর্সেস (আরএসএফ) প্রেসিডেন্ট প্রাসাদ, সেনাপ্রধানের বাসভবন এবং খার্তুম আন্তর্জাতিক বিমান বন্দর, রাষ্ট্রীয় টেলিভিশন স্টেশনসহ দুটি বিমানবন্দরের দখল নেওয়ার দাবি করেছে।
তবে আরএসএফ-র ওই দাবি প্রত্যাখান করেছে সেনাবাহিনী। বিমানবন্দরসহ খার্তুমের গুরুত্বপূর্ণ এলাকাগুলোর নিয়ন্ত্রণ নেওয়ার পাল্টা দাবি করেছে তারাও। এসব জায়গায় সারারাত তুমুল লড়াই চলেছে।