মিয়ানমারে বিদ্রোহীদের ওপর সেনাবাহিনীর হামলায় নিহত ৫০
মিয়ানমারের সামরিক শাসনের বিরোধীদের এক অনুষ্ঠানে সেনাবাহিনীর হামলায় অন্তত ৫০ জন নিহত হয়েছেন বলে জানা গেছে। দেশটির মধ্যাঞ্চলে হামলার এ ঘটনা ঘটে বলে মঙ্গলবার গণমাধ্যমের প্রতিবেদনগুলোতে বলা হয়েছে।
বিবিসি বার্মিজ, রেডিও ফ্রি এশিয়া (আরএএফএ) এবং ইরাবতী নিউজ পোর্টাল সাগাইং এলাকার বাসিন্দাদের উদ্ধৃত করে জানিয়েছে, এ হামলায় ঘটনায় বেসামরিকসহ ৫০ জন নিহত হয়েছে।
বার্তা সংস্থা রয়টার্স জানিয়েছে, তারা তাৎক্ষণিকভাবে প্রতিবেদনগুলো যাচাই করে দেখতে পারেনি এবং ক্ষমতাসীন সামরিক বাহিনীর একজন মুখপাত্র মন্তব্য নেওয়ার জন্য করা ফোন কলের জবাব দেননি।
ক্ষমতাসীন জান্তার বিরোধিতাকারী সশস্ত্র গোষ্ঠী পিপলস ডিফেন্স ফোর্সের (পিডিএফ) একজন সদস্য রয়টার্সকে জানিয়েছেন, তাদের স্থানীয় দপ্তর উদ্বোধনের সময় আয়োজিত অনুষ্ঠানে কয়েকটি জঙ্গি বিমান থেকে গুলিবর্ষণ করা হয়েছে।
পরিচয় প্রকাশে অনিচ্ছুক এই পিডিএফ সদস্য বলেন, “এখন পর্যন্ত হতাহতের প্রকৃত সংখ্যা অজানাই রয়ে গেছে। আমরা এখনও মৃতদেহগুলো উদ্ধার করতে পারিনি।”
২০২১ সাল নির্বাচিত একটি সরকারকে হটিয়ে ক্ষমতা দখল করা মিয়ানমারের সামরিক বাহিনী গণতন্ত্রপন্থি বিরোধীদের ও বেসামরিকদের ওপর প্রাণঘাতী আক্রমণ চালিয়ে বিশ্বজুড়ে নিন্দা কুড়িয়েছে।
মানবাধিকার গোষ্ঠীগুলো, সংখ্যালঘু নৃগোষ্ঠীর বিদ্রোহী ও গণমাধ্যমের দেওয়া তথ্য অনুযায়ী, গত সপ্তাহে মিয়ানমারের উত্তরপশ্চিমাঞ্চলীয় এক গ্রামে সরকারি বাহিনীর বিমান হামলায় শিশুসহ অন্তত আট বেসামরিক নিহত হয়।
জানুয়ারিতে একই অঞ্চলের একটি গ্রামে সামরিক বাহিনীর বোমাবর্ষণে অন্তত সাতজন নিহত হয়েছিল। আর গত সেপ্টেম্বরে সাগাইং এলাকায় একটি স্কুলে সামরিক হেলিকপ্টার থেকে ছোড়া গুলিতে অনেক শিশু নিহত হয়েছিল।
মিয়ানমারের সামরিক বাহিনী বেসামরিকদের বিরুদ্ধে নৃশংসতা চালাচ্ছে, আন্তর্জাতিক সম্প্রদায় এমন অভিযোগ করলেও দেশটির ক্ষমতা দখল করা বাহিনীটি এ অভিযোগ অস্বীকার করেছে; তাদের দাবি, দেশকে অস্থিতিশীল করতে দৃঢ়প্রতিজ্ঞ ‘সন্ত্রাসীদের’ বিরুদ্ধে লড়াই করছে তারা।