তেল আবিব ও পশ্চিম তীরে হামলায় নিহত ৩, ইসরায়েলে উত্তেজনা
ইসরায়েলের রাজধানী তেল আবিব ও ফিলিস্তিনের অধিকৃত পশ্চিম তীরে পৃথক দুই হামলার ঘটনায় তিনজন নিহত হওয়ার পর ইসরায়েলে চরম উত্তেজনা বিরাজ করেছে।
গাজা ও লেবানন এবং ইসরায়েলের মধ্যে রাতভর পাল্টাপাল্টি হামলার পর শুক্রবার পৃথক ওই দুই হামলার ঘটনা ঘটেছে।
শুক্রবার সকালে পশ্চিম তীরে বন্দুক হামলায় ২০ ও ১৬ বছর বয়সী দুই ইসরায়েলি বোন নিহত ও তাদের মা গুরুতর আহত হন। জর্ডান ভ্যালির ইহুদি বসতি হামরার কাছে গাড়িতে থাকা অবস্থায় হামলার শিকার হন তারা।
জেরুজালেমে আল আকসা মসজিদে ইসরায়েলি পুলিশের অভিযান ও সংঘর্ষের ঘটনা কেন্দ্র করে উত্তেজনা ছড়িয়ে পড়ার পর ইসরায়েলের উচ্চ সতর্কাবস্থার মধ্যেই জর্ডান ভ্যালিতে এ হামলার ঘটনা ঘটে, জানিয়েছে বার্তা সংস্থা রয়টার্স।
ইসরায়েলের সামরিক বাহিনী জানিয়েছে, ইহুদি বসতি হামরার কাছে ইসরায়েলি ও ফিলিস্তিনি গাড়ির মধ্যে সংঘর্ষের ঘটনা ঘটেছে এমন খবর পেয়ে সেনারা ঘটনাস্থলে হাজির হয়, সেখানে গিয়ে তারা একটি ইসরায়েলি গাড়ি দেখতে পায় যার ভেতরে তিনজন গুলিবিদ্ধ অবস্থায় পড়ে ছিল।
ব্রিটিশ পররাষ্ট্র, কমনওয়েলথ ও ডেভেলপমেন্ট দপ্তর জানিয়েছে, নিহত দুই বোন ব্রিটিশ নাগরিকও ছিল। তারা উত্তেজনা হ্রাসের জন্য সব পক্ষের প্রতি আহ্বান জানিয়েছে।
ইসরায়েলের প্রধানমন্ত্রী বেনিয়ামিন নেতানিয়াহু ঘটনাস্থল পরিদর্শন করে বলেছেন, “নীচ ও হৃদয়হীন সন্ত্রাসীরা দুই তরুণী বোনকে খুন করেছে।”
বন্দুকধারীদের ধরার জন্য ইসরায়েলি সেনারা তাৎক্ষণিভাবে অভিযান শুরু করে। ফিলিস্তিনের ইসলামপন্থি গোষ্ঠী হামস এই হামলার প্রশংসা করলেও দায় স্বীকার করেনি।
একইদিন স্থানীয় সময় সন্ধ্যার পর ইসরায়েলে তেল আবিবের একটি রাস্তায় গাড়ি হামলার এক ঘটনা ঘটে, এতে এক ইতালীয় পর্যটক নিহত ও আরও পাঁচজন আহত হন।
ইসরায়েলি নিরাপত্তা কর্মকর্তারা হামলাকারীকে ইসরায়েলি শহর কাফর কাসেম থেকে আসা একজন ইসরায়েলি আরব বলে শনাক্ত করেছে।
পুলিশ জানিয়েছে, কাছে থাকা একজন পুলিশ কর্মকর্তা ঘটনাস্থলে গিয়ে বেশ কয়েকজনকে আহত ও একটি গাড়ি উল্টানো অবস্থায় পায়। উল্টানো গাড়িটির চালক একটি পিস্তল বের করার চেষ্টা করলে পুলিশ কর্মকর্তা তাকে গুলি করে হত্যা করেন।
এসব হামলার ঘটনার পর নেতানিয়াহু পুলিশ ও সেনাবাহিনীর রিজার্ভ ফোর্স তলব করে আল আকসা মসজিদের ঘটনাকে কেন্দ্র করে শুরু হওয়া ধারাবাহিক এসব হামলা মোকাবেলার নির্দেশ দেন।