আফগানিস্তানে নারী কর্মী নিষিদ্ধ করল তালেবান, জাতিসংঘের নিন্দা
আফগানিস্তানে নারী কর্মী নিষিদ্ধ করায় তীব্র নিন্দা জানিয়েছেন জাতিসংঘের মহাসচিব অ্যান্তোনিও গুতেরেস। বৈষম্যমূলক ও আন্তর্জাতিক মানবাধিকার আইন লঙ্ঘনকারী এই নিষেধাজ্ঞা যত দ্রুত সম্ভব তুলে নিতে তালেবান নেতাদের কাছে আহ্বান জানিয়েছেন তিনি।
পূর্বাঞ্চলীয় নানগারহার প্রদেশে মঙ্গলবার জাতিসংঘের স্থাপনায় স্থানীয় নারীদের কাজ করতে যেতে বাধা দেওয়া হয়।
জাতিসংঘ মহাসচিব বলেন, ‘আফগানিস্তানে জাতিসংঘের কার্যক্রম চালিয়ে যেতে নারী কর্মী অপরিহার্য।’
তালেবান শাসকরা ২০২১ সালে ক্ষমতায় আসার পর থেকে ক্রমেই নারী স্বাধীনতা লঙ্ঘন করে চলেছেন। নারী কর্মীদের ওপর সম্প্রতি নিষেধাজ্ঞা জারির কোনও কারণ জানায়নি কট্টরপন্থী ক্ষমতাসীন দলটি। জাতিসংঘের বিদেশি নারী কর্মীদেরও ছাটাই করা হয়েছে দেশটিতে।
দেশটিতে গুরুতর আর্থিক সংকটে ভুগতে থাকা ২ কোটি ৩০ লাখ মানুষকে মানবিক সহায়তার উদ্দেশে কাজ করছিল জাতিসংঘের বিভিন্ন সংস্থা। এসব সংস্থায় নারী কর্মীদের ভূমিকা বেশ গুরুত্বপূর্ণ।
গুতেরেস বলেন, ‘নারী কর্মীদের ওপর নিষেধাজ্ঞার ফলে দেশটির নাগরিকরই দুর্ভোগ পোহাবে। বিশেষ করে দেশটির লাখ লাখ মানুষ যাদের জাতিসংঘের সহায়তার প্রয়োজন আছে।’
গত বছরের ডিসেম্বর থেকে স্বাস্থ্যকর্মী ছাড়া দেশটিতে কর্মরত জাতিসংঘের সব সংস্থার নারী কর্মীদের ছাটাই করতে বাধ্য করে তারা। তালেবান হুমকি দিয়ে বলেছে, যেসব সংস্থা নিষেধাজ্ঞা মানবে না, তাদের লাইসেন্স বাতিল করা হবে।
কেয়ার, এনআরসি ও সেভ দ্য চিলড্রেন বলেছে, নারী কর্মীরা না থাকলে ২০২১ সালের আগস্টের পর যৌথভাবে তারা কোটি আফগানদের কাছে পৌঁছাতে পারত না।
দুই দশক আগে মার্কিন নেতৃত্বাধীন সামরিক অভিযানে উৎখাত হওয়ার পর ২০২১ সালে আগস্টে পুনরায় আফগানিস্তানের ক্ষমতা দখল করে তালেবান। সূত্র: বিবিসি