যুক্তরাষ্ট্রে স্কুলে বন্দুকধারীর গুলিতে ৩ শিশু ও হামলাকারীসহ নিহত ৬
যুক্তরাষ্ট্রে আবারও একটি স্কুলে বন্দুকধারীর এলোপাথাড়ি গুলিতে তিন শিশু শিক্ষার্থীসহ ছয়জন নিহত হয়েছে। সোমবার সকালে স্কুলে ঢুকে হামলার এ ঘটনা ঘটেছে টেনেসি অঙ্গরাজ্যের ন্যাশভিল শহরের একটি বেসরকারি স্কুলে।
এ ঘটনায় পরে পুলিশের গুলিতে হামলাকারীও নিহত হয়; যাকে আগে কিশোরী বলা হলেও তার বয়স ২৮ বছর বলে স্থানীয় পুলিশের টুইটের বরাতে সিএনএন জানিয়েছে।
বন্দুকধারী ওই নারী ন্যাশভিলের হলেও তার নাম জানায়নি পুলিশ। একইসঙ্গে গুলির ঘটনার সম্ভাব্য কারণ এবং স্কুলের সঙ্গে ওই নারীর সম্পর্ক বা যোগসূত্রের বিষয়টি কিছু বলেনি।
গত ১৮ ফেব্রুয়ারি মিসিসিপি শহরে এক বাড়িতে বন্দুকধারীর গুলিতে ছয়জন নিহত হওয়ার মধ্যে এ ঘটনা ঘটল।
সোমবারের হামলায় গুরুতর আহত তিন শিক্ষার্থীকে হাসপাতালে নেওয়ার পর তাদের মৃত্যু হয়। নিহত বাকি তিন ব্যক্তি স্কুলের কর্মী। তবে গুলিবিদ্ধ ছাড়া আরও কারও আহত হওয়ার জানায়নি পুলিশ।
রয়টার্স জানায়, ন্যাশভিলের বেসরকারি ওই খ্রিস্টান স্কুলে সকাল ১০টা ১৩ মিনিটে পুলিশ গুলি চালানোর প্রথম খবর পায়। ১৪ মিনিটের মাথায় পুলিশের গুলিতে বন্দুকধারী নিহত হয়।
ন্যাশভিল পুলিশের মুখপাত্র ডন অ্যারন জানান, পুলিশ স্কুলের তৃতীয় তলায় গুলির শব্দ শুনতে পায়। হামলাকারী ওই নারীর হাতে অন্ততপক্ষে দুটি সেমি অটোমেটিক রাইফেল ও হ্যান্ডগান ছিল।
সেখান যাওয়া পাঁচ সদস্যের দলের মধ্যে দুই কর্মকর্তা স্কুলের লবিতে হামলাকারীকে লক্ষ্য করে গুলি ছোঁড়ে। ১০টা ২৭ মিনিটে তার মৃত্যু হয় বলে মুখপাত্র জানান। “তার বিষয়ে আমরা এখনও জানতে পারিনি,” যোগ করেন তিনি।
২০০১ সালে প্রতিষ্ঠিত ওই স্কুলে ২০০ শিক্ষার্থী পড়াশোনা করে বলে ওয়েবসাইটের তথ্য।
সাম্প্রতিক বছরগুলোতে যুক্তরাষ্ট্রে গণ বন্দুক হামলায় মৃত্যুর বিষয়টি সাধারণ ঘটনায় পরিণত হলেও নারী হামলাকারীর বিষয়টি একেবারে অস্বাভাবিক বলে রয়টার্স লিখেছে। ১৯৬৬ সাল থেকে এ পর্যন্ত ঘটা ১৯১টি গুলিবর্ষণের ঘটনায় মাত্র চারটিতে হামলাকারী ছিলেন নারী বলে অলাভজনক গবেষণা কেন্দ্র দ্যা ভায়োলেন্স প্রজেক্টের তথ্য।
অপরদিকে দেশটিতে ২০২৩ সালে এখন পর্যন্ত স্কুলে ৮৯টি গুলির ঘটনার তথ্য পাওয়া গেছে ‘কে ১২ স্কুল শুটিং ডেটাবেইজে। কোনো স্কুল প্রাঙ্গণে একবার হলেও গুলি ছোঁড়া হয়েছে এমন তথ্য এতে অর্ন্তভুক্ত করা হয়েছে। ২০২২ সালে এ সংখ্যা ছিল ৩০৩, যা ১৯৭০ সালের পর সর্বোচ্চ।