শরীরে
এতো কেন গর্জে ওঠে আকাশ
চিন্তায় ডুবে শরীর পাত
যা সওয়াতে চাও তুমি
তাই আজ শরীরে হয়ে যায়।
নীরক্ত
প্রতিশ্রুতি ছিল তবু তুমি রাখোনি কথা
আমার কবিতা দিয়ে আমি ভেঙেছি নীরবতা
কে যেন ছিটিয়ে দিয়েছে শাপশাপান্ত ঘর বারে
বুকের ভেতর ঘর জ্বালিয়ে
তোমার সুখের কামনা করি, দুহাতে অন্ধকারে
দুজনে দাঁড়িয়ে ছিলাম মাঝের আগুন আড়াল রেখে
খুলে গেছে ছাইয়ের করতল
গলিত নীরবতা বুকের আঁচে ঢেকে।
অভিনিবেশ
তুমি ছুঁয়ে দিলে চারিদিকে পারিজাত আলো
রোদে ভেজা ঝরে পড়ে বৃষ্টির মতো
আমার এ অসুখ একান্ত জলবায়ুগতো
চিলেকোঠার ছাদে তুমি নামের রোদ্দুর জমকালো
কান্না ভেজা রোদ, তুমি মানেই মন ভালো।
ইচ্ছা বসন্ত
আমাদের প্রেম আজ দারুন সংযমী
ভালোবাসা জানে কতটা দুঃসাহসী আমি
যে সিঁড়ি সদরে নামে
সেখানেই আমাদের মূহুর্ত পাগল করা
সিঁড়ির আড়ালে আমাদের ঝোড়ো শ্বাস
অনর্গল রক্তময় জ্বালা
তোমার বুকের ভেতর আমার মুখ ধরে যায় সহজে
আমার শরীরে তোমার দাঁতের দাগ
সমাজ কেবল দিগ্বিদিক ভুল খোঁজে
তোমার কাছে এলেই আকাশ ফাটিয়ে
বলতে ইচ্ছে হয় খুব ‘তুমি আমার’।
অমানিশা
আজ আমার শহরে সমর্পণের চাঁদ
তোমার ঘারে গলায় বুকে
মাখিয়ে দিলাম নোনতা জ্যোৎস্না
কখনো এই চাঁদ হয়ে ওঠে বড় সর্বনাশা
তখন আমাকে গিলে খায় রাক্ষসের মতো
কত বিপজ্জনক খেলা পেরিয়ে
আজ তোমার কাছে আসা
ঘুমের নাম করে আমিও ঢুকে যাই পাতালে
নিভে যাওয়া রাস্তায় আমি দাঁড়িয়ে থাকি
নোনতা অবসাদ নিয়ে
তোমাকে শুধু বলা হয়না
আমার আকাশের চাঁদ মরে যাচ্ছে
একটা সম্পর্কের জন্য।
ক্ষয়ী
বুকের ভেতর খেয়ে যাচ্ছে
দেওয়াল খুঁড়ে যেমন জল
বাইরে জুড়ে বরষা ছিল বুকে
এখন শুধু নীলাভ গরল
দেওয়ালের মতো বুকের ভেতর জল
খুঁড়ে খুঁড়ে খেয়ে যায় অস্হায়ী
বুকের ভেতর জুড়তে চায় না আর
খেয়ে যায় সবটুকু খুঁড়ে খুঁড়ে খালি।