ঘূর্ণিঝড় ফ্রেডির আঘাতে আফ্রিকায় মৃত্যু বেড়ে ৫২২
স্মরণকালের দীর্ঘতম গ্রীষ্মমণ্ডলীয় ঘূর্ণিঝড়ে বিপর্যস্ত আফ্রিকার দক্ষিণ-পূর্বাঞ্চল। ফেব্রুয়ারির শেষে প্রথম দফায় আঘাত হানে ঘূর্ণিঝড় ফ্রেডি। এর পর গত সপ্তাহে দ্বিতীয় দফায় তাণ্ডব চালায় এই ঝড়। ফ্রেডির আঘাতে মোজাম্বিক, মালাউই ও মাদাগাস্কারে মৃতের সংখ্যা এরই মধ্যে ৫০০ ছাড়িয়েছে।
আল জাজিরার প্রতিবেদনে জানা যায়, ফ্রেডির তাণ্ডবে এ পর্যন্ত ৫২২ জনের মৃত্যুর খবর পাওয়া গেছে। এ ছাড়া নিখোঁজ অনেকে। ঘূর্ণিঝড়ে সৃষ্ট বন্যা ও ভূমিধসের কারণে বাস্তুচ্যুত হয়েছে কয়েক লাখ মানুষ।
মালাউই, মোজাম্বিক ও মাদাগাস্কারে ব্যাপক ধ্বংসযজ্ঞ চালিয়েছে গ্রীষ্মমণ্ডলীয় এ ঘূর্ণিঝড়। সবচেয়ে ক্ষতিগ্রস্ত মালাউইতে অন্তত ৪৩৮ জনের মৃত্যুর বিষয় নিশ্চিত করেছে দেশটির কর্তৃপক্ষ। এত মানুষের প্রাণহানির ঘটনায় ১৪ দিনের শোক ঘোষণা করেছেন মালাউইয়ের প্রেসিডেন্ট লাজারাস চাকওয়েরা। একই সঙ্গে ১৫ লাখ ডলার ত্রাণসহায়তা দেওয়ার প্রতিশ্রুতি দিয়েছেন তিনি। তাঁর সরকারের ত্রাণসহায়তা দেওয়ার ক্ষমতা সীমিত হওয়ায় আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়ের সহায়তা প্রয়োজন বলে জানান মালাউইর প্রেসিডেন্ট।
ঘূর্ণিঝড়ে ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে পার্শ্ববর্তী মোজাম্বিক ও দ্বীপরাষ্ট্র মাদাগাস্কার। মোজাম্বিকে এখন পর্যন্ত ফ্রেডির আঘাতে ৬৭ জনের মৃত্যুর খবর পাওয়া গেছে। বাস্তুচ্যুত ৫০ হাজারের বেশি মানুষ। আর মাদাগাস্কারে প্রাণ গেছে অন্তত ১৭ জনের। প্রাণহানির পাশাপাশি বন্যা ও ভূমিধসের কারণে বাস্তুচ্যুত হয়েছে অনেকে। দেশগুলোতে মৃতের সংখ্যা আরও বাড়বে বলে আশঙ্কা করছে কর্তৃপক্ষ।
বিশেষজ্ঞরা মনে করছেন, মনুষ্যঘটিত জলবায়ু পরিবর্তনের জেরেই এমন বিপর্যয়। জলবায়ু পরিবর্তনের জন্য ইদানীং ঘূর্ণিঝড়ের সঙ্গে অতিবৃষ্টি স্বাভাবিক বিষয় হয়ে দাঁড়িয়েছে। ঘন ঘন ঘূর্ণিঝড়ের মতো দুর্যোগ জলবায়ু পরিবর্তনের কারণেই বলে দাবি তাঁদের। এপ্রিল পর্যন্ত এমন ঝড়ের প্রকোপ চলবে বলে আশঙ্কা করা হচ্ছে।