যুদ্ধ না শান্তি চাই
ইউক্রেনের নারী শিশুদের প্রতি,
মানুষদের প্রতি আমার ভালোবাসা
অনবরত থাকবে চিরকাল।
রাশিয়ান সাম্রাজ্যবাদীদের
হাত থেকে স্বাধীনতা
সমুন্নত রাখবে ইউক্রেন
ইউক্রেনের জনগণের প্রতি
আমার অভিবাদন।
দেশরক্ষার জন্য রক্ত জবার মতো
তোমাদের প্রতিটি রক্তের ফোঁটা
এক একটি লাল গোলাপ,
একটি নতুন ভোরের সূর্য।
সাহসী বীর ইউক্রেনবাসী
ইউক্রেনের যুদ্ধরত মানুষেরা
তোমরা জয়ী হবে খুব তাড়াতাড়ি
রক্ষা হবে ইউক্রেনের
স্বাধীনতা ও সার্বভৌমত্ব
জয় ইউক্রেন।
জীবনের জন্য শান্তি চাই
একদিকে কোকিল ডাকে
শিমুল পলাশ ফোটে
আরেকদিকে মিসাইল ফুটে
পৃথিবীর সব শিশুরা
ইউক্রেনের পক্ষে –
পারমানবিক অস্ত্রের বিরুদ্ধে।
যুদ্ধ চাই না শান্তি চাই
মানুষ খুনের অস্ত্র চাইনা
খাদ্য চাই শান্তি চাই
ঘুমোতে চাই বাঁচতে চাই
নির্বিঘ্নে সুস্থভাবে বাঁচতে চাই।
যত ফুল তো ভুল!
উড়বে কেন আকাশে
মেঘেরা কেন দিবে ঠাই?
ভেঙে পড়ুক যত্রতত্র
যেমন ভাঙছে শিশুদের
শরীর-মন খেলনা।
চলো যাই সাদা পতাকা হাতে
পায়রা গুলি উড়িয়ে দেই যত্রতত্র
যুদ্ধের দামামা থামুক চিরতরে।
অসহায় প্রাণীরা আমরা
কালান্তর পরিক্রমা বিহীন
পাললিক শিলা অথবা কঠিন শিলা
ধারালো ইস্পাতের চাকুতে
নির্দ্বিধায় হয়ে ওঠে অগণিত শিল্পকর্ম
শিল্পীর শিল্প ইলোরা অজন্তা কোনার্ক
আফগান পাহাড়ে বুদ্ধং শরণং গচ্ছামি
নিস্তব্ধ উশৃংখল উলঙ্গ মূর্তি
ভরপুর রাজধানী অসলো।
ইউক্রেনে রাশিয়ান মিজাইল
অথবা আরব, মার্কিন
ইউরোপীয় কোন কোন দেশের
জ্বলন্ত ছুঁড়ে দেওয়া অগ্নিকুণ্ড।
ওরা কাকে মারে?
সবাই সবাই তো মানুষ
হোক না সে সৈনিক।
কেন এত তারা কেন এত জ্বালা
এক দুই জন মানুষের
এত কি অতৃপ্তি কত নিয়তি
তাদের খারাপ মানুষ খুনের
ইচ্ছা পারাপার অসহায় মানুষেরা
অসহায় পাখিরা
অসহায় গহীন গাঙ্গের মাঝিরা
অসহায় যাদের প্রাণ আছে
যেতে পারে তাদের প্রাণ ভোমরা
মুহূর্তে অনন্ত অসীম সীমানায়
ভেসে বেড়াবে তখন
সজীব কোমল প্রান্তরে প্রান্তরে
ছিঁড়ে পোড়া নক্ষত্রের কাছাকাছি
খোলা আসমান তারা ভরা
আকাশ মহান।
আকাশ
তুমি তো জানো
এ পৃথিবী কেমন কষ্টে আছে
কেমন কষ্টে আছে
ভয়ে আছে পারমাণবিক অস্ত্রের।
লবণ শহর বাখমুত
হে সোনালী নগরী নুনা নগরী
তুমি ধর্ষিত হয়েছ
সাম্রাজ্যবাদী ভাড়াটিয়া বাহিনীর হাতে
এখন ঘরবাড়ি কিছু নেই
চারিদিকে শুধু লবণ আর লবণ
চরম বিধ্বস্ত ঘরবাড়ি
আগুনের লেলিহান শিখায়
আকাশে কালো মেঘ।
যুদ্ধ চাইনা শান্তি চাই
কি হবে এসব কথা বলে?
বাখমুতের লবণ
আরো বেশি কঠিন তিতা
নোনা আছে ৮০ হাজার মানুষের
চোখের জলের লালে লাল
রক্তে রঞ্জিত বাখমুতকা নদী
মৃত্যুপুরী ভুতুড়ে শিল্প নগরী
গাছ গাছড়া পুড়ে গেছে
পাখিরা মরে গেছে
বাখমুতকা নদীর মাছেরা
কান্নায় ভেঙে পড়েছিল
কিন্তু, মিসাইল গোলার বারুদে
চোখগুলি হয়ে গেছে অন্ধ
চারিদিকে লাশ আর লাশ
ইঞ্জিন তেলের মতো হয়ে গেছে
শীতল জমাট রক্ত।
শকুনারা যাচ্ছে না –
টুকরো টুকরো লাশের সবদাহ করতে
ওরা যে মারা পড়বে ড্রোন মনে করে
সাম্রাজ্যবাদী মিজাইলের আঘাতে।
অপেক্ষা কর অপেক্ষা কর
লবণাক্ত প্রিয়তমা বাখমুত
তোমার শরীর আগুনে ছাড়খার
কিন্তু, তোমার যৌবন এখন
প্রচন্ড তাপের আগুনে
মহা মূল্যবান গোলাপি রুবী রত্নে
ভরে আছে কষ্টের
ডালিম ফল অগণিত আছে
কোন এক রক্ত রাঙা সূর্যের অপেক্ষায়
তখন তোমার ঝিলিক দেখবে বিশ্বজুড়ে।
শান্তির জন্য বসন্ত
সবার আনন্দ হোক
বসন্ত আগমনে
প্রাকৃতিক দুর্যোগ বিশৃঙ্খলা
রুদ্রনীল আকাশ নিরাপদ
হোক আনমনে।
শান্তির বৃষ্টি
ঝরে পড়ুক কৃষকের মাঠে
প্রাণ খোলা হাসিতে হৃদয়
উজ্জ্বল হোক
ক্ষুধার্ত নারী শিশু মানুষের কষ্ট
নিপাত যাক চিরতরে।
শান্তির পায়রা দের ঘুরে বেড়াতে
দিতে হবে আকাশে বাতাসে
বারুদ বিহীন জমিতে
ফসলের ঢেউ হোক সমুদ্রের মতো
সাগরের মাছেরা শান্তিতে থাকুক।
কিসের ইঙ্গিত!
অবশ্যম্ভাবী সমস্যার ইশারা ইঙ্গিত
জটিল কিছু অংকের হিসাব নিকাশ
পাঠ্য বইয়ে নাই সমাধান
নীতিবাক্য রক্ষক ব্রিটিশ কাক
বাঙালি বাঙ্গাল সম্মিলিত বাস
রাজ রাজত্বের সিংহোদ্দার
খুলে যাবে আসছে কাল বৈশাখ
নিষিদ্ধ বাতাসে ভেসে বেড়ায়
কালচে নীল মেঘ
কালনাগিনীর ফুসফাস
কিচ্ছা কাহিনী হায় হুতাশ
বিস্তৃত সমুদ্র সৈকত
নগ্ন দেহ সারি সারি
বলুতে কাঁকড়া লাইনে ছুটছে
জল কবুতর উঠছে নামছে
সাগরের ঢেউয়ের তালে তালে
যদি দেখা মেলে একটি মরা মাছ।
সে খুঁজে পাউন্ড ডলার রুবল
সিং ডলার অথবা রিঙ্গিত
দিনার রুপি টাকা বিনিময়ে
পারমানবিক অস্ত্র
বড় যন্ত্রণা মাতাল হওয়ার সম্ভাবনা
লাল রৌদ্র উঠার কিসের ইঙ্গিত!
ইউক্রেনের মানুষ কি খুব অসহায়?