সূর্য একটা জ্বলন্ত অগ্নিকুণ্ড
সূর্য একটা জ্বলন্ত অগ্নিকুণ্ড
সব সময় জ্বলে
আকাশের বিভিন্ন জায়গায় মানুষ গিয়েছে
বিজয় অভিযান চালিয়েছে চাঁদে
কিন্তু সূর্যে কেউ যায়নি
গেলে ছাই হয়ে যাবে জ্বলে!
সব ময়নাতদন্তে চলে যায়
গো-ভাগাড় আর নেই
চোখে পড়ে না
আজকাল গোরু মরেনা
যদিও বা দু একটা মরে
মানুষ ফেলে না
কেটে খেয়ে নেয়…
শকুনও উড়তে দেখা যায়না
তারা বিলুপ্তির পথে
গো-ভাগাড় না থাকলে উড়বে কোথায়
খাবে কী
মানুষই সব খাবার খেয়ে নিচ্ছে
ফলে গো-ভাগাড় গুলো এখন
মানুষ ভাগাড় হয়ে গেছে
প্রতিদিন মানুষের লাশ পড়ে থাকে
কারও গলা কাটা, কারও নলি কাটা,
কারও হাত নেই, কারও পা নেই,
কারও মাথা ধড় আলাদা,
কারও…
কী নৃশংস খুন!
কিন্তু শিয়াল-কুকুর গুলো ফিস্ট করবার আগে
গাড়ি এসে হাজির,
সব ময়নাতদন্তে চলে যায়…
আমরা কেউ জান্নাত পাবোনা
মাটির একটি ঘর
ওখানে মা আমাদের জন্ম দিয়েছে
মা কোনদিন সুখ পায়নি
বাবা ধরে কত মেরেছে
গোঁয়ার মানুষ!
মা কতদিন মৃত্যু কামনা করেছে
‘মৃত্যু হলে ভালো হয়।’
কাঁদতে কাঁদতে আমরা বলেছি
‘তুমি মরলে আমাদের কী হবে?’
‘ওই জন্যই তো পারিনি। না হলে কবেই…’
আমরা মাকে কথা দিয়েছিলাম
‘বড় হয়ে আমরা তোমাকে দেখব,
তোমার কোন কষ্ট রাখব না।’
আমরা তার কটা কথা রেখেছি!
আমরা কেউ জান্নাত পাবোনা।
আমরা যেটা বেশি পছন্দ করি
সূর্য ডুবল চাঁদ উঠল
দিন ছিল রাত হল
নিশাচর প্রাণীদের জন্য রাত
আমাদের জন্য দিন
তারা জাগবে
আমরা ঘুমাব
দিবসের ভাবনাগুলো এখন
আমাদের চোখে
স্বপ্ন হয়ে দেখা দেবে…
আমরা ঘুমিয়ে স্বপ্ন দেখতে
বেশি পছন্দ করি না!
নতুন করে আর কটা তিল জন্ম নিল
তোমার শরীরে মোট কটা তিল রয়েছে
আমি জানি
আমার হিসাব আছে
জরুনের কটা কালো দাগ রয়েছে সেটাও
তোমার শরীরে মোট পাঁচটি তিল রয়েছে
দুটি জরুন
একটি তিল তোমার ঠোঁটে রয়েছে
একটি তিল তোমার নাকে রয়েছে
একটি তিল তোমার বুকে রয়েছে
দুই স্তনের মাঝখানে
একটি তিল তোমার তলপেটে রয়েছে
নাভির নীচে
আর একটি তিল রয়েছে তোমার…
জরুন দুটো রয়েছে তোমার জানুতে
আর তোমার কপালে
আমি কী করে সব বলে দিতে পারছি!
তুমি একদিন আমার ঘরে এসেছিলে
শরীরের কাপড় খুলে আমাকে দেখিয়ে বলেছিলে
তোমার শরীরে মোট কটা তিল আর
কটা জরুনের কালো দাগ রয়েছে আমি যেন দেখে বলি!
আমি দেখে বলেছিলাম…
আর দেখতে হলে বলো, দেখে দেব
নতুন করে আর কটা তিল জন্ম নিল।
পার্থিব ও জাগতিক
পার্থিব সুখ
কোনদিন চাই নি
জাগতিক সুখ
কোনদিন পাই নি
পার্থিব নয়, জাগতিক সুখ চাই…
কিন্তু পাই না।