ইউক্রেনের পূর্বাঞ্চলীয় শহর বাখমুতকে ধরে রাখতে তার বাহিনীকে আরও শক্তি বাড়ানোর নির্দেশ দিয়েছেন প্রেসিডেন্ট ভালোদিমির জেলেনস্কি। ইউক্রেনের এক ইঞ্চি মাটি ছেড়ে দেওয়া যাবে না বলেও জানান। এ বিষয়ে ইউক্রেনের সামরিক বাহিনীর শীর্ষপর্যায়ের কমান্ডারদের সঙ্গেও আলোচনা হয়েছে বলে জানান প্রেসিডেন্ট।
মাসখানেক ধরে বাখমুতে তুমুল লড়াই চলছে ইউক্রেন ও রুশ বাহিনীর মধ্যে। কৌশলগত গুরুত্বপূর্ণ শিল্পঞ্চলটির পথে পথে যুদ্ধ চলছে। ব্রিটিশ গোয়েন্দা প্রতিবেদনে বলা হচ্ছে, বাখমুতে দীর্ঘদিন লড়াইয়ের কারণে রুশ বাহিনীর অস্ত্র ও গোলাবারুদের মজুত ফুরিয়ে আসছে। ফলে রণাঙ্গনে বেশ ঝুঁকির মুখে তারা। তারপরও হামলা অব্যাহত রেখেছে পুতিনের বাহিনী।
এ পরিস্থিতিতে ইউক্রেনীয় প্রেসিডেন্ট জেলেনস্কি বলেন, বাখমুতের ছেলেদের সহায়তায় আরও শক্তিশালী বাহিনী খুঁজে বের করতে চিফ অব স্টাফকে নির্দেশ দিয়েছি আমি। ইউক্রেনের এমন কোনও জায়গা নেই যে ছেড়ে দেওয়া যাবে। পরিখায় এমন কোনও সেনা নেই যে, তাদের বীরত্বের মূল্যায়ন হবে না।
এদিকে বাখমুতের ফ্রন্ট লাইনে ভারী লড়াইয়ের মধ্যেই ইউক্রেনীয় সেনা প্রত্যাহারের খবরকে গুজব বলে উড়িয়ে দিয়েছেন জেলেনস্কি। এমন খবরকে বিভ্রান্তমূলক বার্তা অ্যাখায়িত করেছেন। বলেন, ইউক্রেনের প্রতি ইঞ্চি ভূখণ্ডের জন্য লড়াই হবে। আমরা ইউক্রেনের প্রতিটি অংশ ধরে রেখেছি, তা অব্যাহত থাকবে। যখন সময় আসবে তখন আমাদের শহর ও গ্রাম মুক্ত করবো। প্রতিটি হামলার জন্য দখলদারদের জবাব দিতে হবে।
পূর্ব ইউক্রেনের ডনবাস অঞ্চলের ডনেস্ক ও লুহানস্ক অঞ্চলের জন্য রসদপত্র সরবরাহের একটি কৌশলগতভাবে গুরুত্বপূর্ণ পথের ওপর বাখমুত ও সোলেদার শহরের অবস্থান।
এর নিয়ন্ত্রণ দখল করতে পারলে রাশিয়া জায়গাটিকে ক্রামাটরস্ক ও স্লোভিয়ানস্কের মত দুটি বড় শহরের দিকে এগিয়ে যাবার জন্য একটা ভিত্তি তৈরি করতে পারবে।
গত বছরের ২৪ ফেব্রুয়ারি ইউক্রেনে হামলা শুরুর নির্দেশ দেন রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট জেলেনস্কি। এটিকে ইউক্রেনের বিরুদ্ধে বিশেষ সামরিক অভিযান হিসেবে দাবি করে আসছে মস্কো। এই যুদ্ধে কয়েক হাজার বেসামরিক মানুষ নিহত হয়েছে। সূত্র: সিএনএন