প্রথম দুই ওয়ানডে জিতে আগেই সিরিজ নিশ্চিত করেছিল ইংল্যান্ড। তাই ভিন্ন ভিন্ন লক্ষ্য নিয়ে চট্টগ্রামে পা রেখেছিল দুই দল। সিরিজের তৃতীয় ওয়ানডেটা ইংল্যান্ডের জন্য ছিল কেবলই নিয়ম রক্ষার ম্যাচ। তবে বাংলাদেশের জন্য এটা ছিল মান বাঁচানোর লড়াই। অবশেষে মান রক্ষা করেছে তামিম ইকবালের দল। শেষ ওয়ানডেতে ৫০ রানের জয়ে হোয়াইটওয়াশ এড়িয়েছে টাইগাররা।
শেষ ম্যাচে ইংল্যান্ডকে হারালো বাংলাদেশ
টস জিতে প্রথমে ব্যাট করে সবকটি উইকেট হারিয়ে ২৪৬ রান করে বাংলাদেশ। জবাবে ১৯৬ রানে অলআউট হয় ইংলিশরা। বাংলাদেশের পক্ষে সাকিব আল হাসান ব্যাট হাতে ৭৫ রান এবং বল হাতে ৪ উইকেট নিয়ে ম্যাচ সেরা হয়েছেন।
২৪৭ রানের লক্ষ্য তাড়া করতে নেমে ভালো শুরু করেছিলেন দুই ইংলিশ ওপেনার জেসন রয় এবং ফিল সল্ট। বিনা উইকেটে দলীয় হাফ সেঞ্চুরি পূর্ণ করেছিল ইংল্যান্ড। ৫৪ রানের মাথায় তাদের প্রথম উইকেট পড়ে। এরপর ১ রানের ব্যবধানে আরও ২ উইকেট হারিয়ে ব্যাকফুটে চলে যায় সফরকারীরা।
৫৫ রানের মধ্যে ইংলিশদের টপ অর্ডারের তিন ব্যাটারকে ফিরিয়ে ভালোভাবেই ম্যাচে ফেরে বাংলাদেশ। সাকিব ২টি এবং এবাদত এক উইকেট তুলে নেন দ্রুত। এরপর স্যাম কারান এবং জেমস ভিন্সের ব্যাটে ঘুরে দাঁড়ায় ইংল্যান্ড। তবে কারানকে ২৩ রানে ফিরিয়ে সেই জুটি ভাঙেন মিরাজ।
কারানের পর বাটলারের সঙ্গেও জমে যাচ্ছিল জেমস ভিন্সের জুটি। তবে সেটা করতে দেননি সাকিব। এই স্পিনারের আর্ম ডেলিভারিতে ডিফেন্স করতে গিয়ে উইকেট কিপারের হাতে ধরা পড়েন ভিন্স। সাজঘরে ফেরার আগে তার ব্যাট থেকে এসেছে ৪৪ বলে ৩৮ রান।
পরের ওভারে বোলিংয়ে এসে মঈন আলীকে ফিরিয়ে দেন এবাদত হোসেন। লেগ স্টাম্পের ওপর করা দুর্দান্ত এক ইয়র্কারে এই অলরাউন্ডারকে সরাসরি বোল্ড করেন এবাদত।
১৩০ রানে ষষ্ঠ উইকেট হারানোর পর ক্রিস ওকসকে সঙ্গে নিয়ে দলকে টেনে তোলার চেষ্টা করছিলেন জস বাটলার। তবে ২৬ রানে কাটা পড়েন ইংলিশ অধিনায়ক। তাইজুলের বলে লেগ বিফোরের ফাঁদে পড়েন তিনি।
এরপর ওকস এক প্রান্ত আগলে রেখে ব্যাটিং করেছেন। তবে সেটা কেবলই ব্যবধান কমিয়েছে। লেজের সারির ব্যাটাররা খুব একটা সুবিধা করতে পারেননি। আদিল রশিদ-রেহান আহমেদরা দ্রুত সাজঘরে ফিরেছেন। এই দুইজনের কেউই দুই অঙ্ক ছুঁতে পারেননি।
শেষ পর্যন্ত ৪৩ ওভার ১ বল খেলে ১৯৬ রানে অলআউট হয় ইংল্যান্ড।
বাংলাদেশের হয়ে ৩৫ রানের বিনিময়ে ৪ উইকেট শিকার করে দলের সেরা বোলার সাকিব। আজ ওয়ানডে ক্যারিয়ারে ৩০০তম উইকেটের মাইলফলকও স্পর্শ করেছেন এই অলরাউন্ডার।
এর আগে প্রথমে ব্যাট করতে নেমে ৪৮ ওভার ৫ বল খেলে সবকটি উইকেট হারিয়ে ২৪৬ রান করে বাংলাদেশ। যেখানে সর্বোচ্চ ৭৫ রান আসে সাকিবের ব্যাট থেকে। হাফ সেঞ্চুরি পান নাজমুল হোসেন শান্ত ও মুশফিকুর রহিমও।
সংক্ষিপ্ত স্কোর:
বাংলাদেশ: ২৪৬/১০ (৪৮.৫ ওভার) (শান্ত ৫৩, মুশফিক ৭০, সাকিব ৭৫; কারান ২/৫১, আর্চার ৩/৩৫, রশিদ ২/২১)
ইংল্যান্ড: ১৯৬/১০ (৪৩.১ ওভার) (সল্ট ৩৫, ভিন্স ৩৮, ওকস ৩৪; তাইজুল ২/৫২, ইবাদত ২/৩৮, সাকিব ৪/৩৫-৪)
ফল: বাংলাদেশ ৫০ রানে জয়ী।
সিরিজ: ইংল্যান্ড ২-১ ব্যবধানে জয়ী।