চীন ও বেলারুশের নেতা শি জিনপিং ও আলেক্সান্ডার লুকাশেঙ্কা এক যৌথ বিবৃতিতে ইউক্রেন ও রাশিয়ার মধ্যে চলমান যুদ্ধে যুদ্ধবিরতির আহ্বান জানিয়েছেন। একই সঙ্গে তারা আহ্বান জানিয়েছেন সংঘাতের অবসানে একটি রাজনৈতিক সমঝোতায় পৌঁছার জন্য আলোচনার জন্য। বেইজিংয়ে লুকাশেঙ্কো ও শি’র বৈঠকের পর এই যৌথ আহ্বান জানানো হয়। বুধবার ব্রিটিশ সংবাদমাধ্যম দ্য গার্ডিয়ান এ খবর জানিয়েছে।
চীন ও বেলারুশের নেতাদের যৌথ বিবৃতিতে গত সপ্তাহে বেইজিংয়ের তুলে ধরা শান্তি প্রস্তাবকে সমর্থন জানানো হয়েছে। এতে সব দেশের জাতীয় সার্বভৌমত্ব ও আঞ্চলিক অখণ্ডতা রক্ষার আহ্বান জানানো হয়েছে। তবে চীনের প্রস্তাবিত ১২ দফায় আক্রমণের পর রাশিয়ার দখলকৃত ইউক্রেনীয় ভূখণ্ডের কী হবে তা উল্লেখ করা হয়নি।
চীনের রাষ্ট্রীয় সম্প্রচারমাধ্যমে প্রচারিত বক্তব্যে শি জিনপিং বলেছেন, চীনের শান্তির আহ্বান ও আলোচনায় উৎসাহিত করার মূলকেন্দ্রে রয়েছে সব দেশের বৈধ নিরাপত্তা উদ্বেগকে শ্রদ্ধা করতে হবে।
যুক্তরাষ্ট্র ও দেশটির মিত্রদের ইঙ্গিত করে চীনা প্রেসিডেন্ট বলেছেন, সংশ্লিষ্ট দেশগুলোর উচিত রাজনীতিকিকরণ ও বিশ্ব অর্থনীতিকে নিজেদের অস্ত্র হিসেবে ব্যবহার বন্ধ করা। এমন পদক্ষেপ নেওয়া উচিত যাতে প্রকৃত যুদ্ধবিরতির দিকে এগিয়ে যাওয়া যায় ও যুদ্ধ বন্ধ হয় এবং সংকটের শান্তিপূর্ণ সমাধান হয়।
লুকাশেঙ্কা বলেছেন, চীনের অবস্থান ও ইউক্রেন সংকটের রাজনৈতিক সমাধানের প্রস্তাব পুরোপুরি সমর্থন করে বেলারুশ। সংঘাত অবসানে এর বড় ধরনের গুরুত্ব রয়েছে।
রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিনের ঘনিষ্ঠজন হিসেবে পরিচিত লুকাশেঙ্কো। ইউক্রেনে যুদ্ধ শুরুর আগে বেলারুশে ব্যাপক মাত্রায় যৌথ সামরিক মহড়া চালায় রাশিয়া। ইউক্রেন যুদ্ধে মস্কোকে নানাভাবে সহায়তা করে আসছে মিনস্ক। বেলারুশ তার প্রতিবেশী রাশিয়ার ওপর আর্থিক এবং রাজনৈতিকভাবে অনেকটাই নির্ভরশীল।
ইউক্রেনে রুশ আক্রমণের নিন্দা জানায়নি চীন। তবে রাশিয়াকে অস্ত্র ও সামরিক সরঞ্জাম দিয়ে এখন পর্যন্ত সহযোগিতা করছে না বেইজিং। যুক্তরাষ্ট্র, ন্যাটো সম্প্রতি দাবি করেছে, ইউক্রেনে ব্যবহরের জন্য রাশিয়াক প্রাণঘাতী অস্ত্র দেওয়ার কথা বিবেচনা করছে চীন। তবে চীন এ অভিযোগ অস্বীকার করে ইউক্রেনে পশ্চিমাদের অস্ত্র সরবরাহের বিষয়ে সতর্ক করেছে।