ইতালির দক্ষিণাঞ্চলীয় উপকূলে নৌকাডুবির ঘটনায় নিহত অভিবাসনপ্রত্যাশীদের মধ্যে ৮০ জন আফগান নাগরিক। নিহতদের মধ্যে নারী ও শিশুও রয়েছে। আফগানিস্তানের তালেবান নেতৃত্বাধীন পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের বরাত দিয়ে মঙ্গলবার (২৮ ফেব্রুয়ারি) এক প্রতিবদনে এই তথ্য জানিয়েছে বার্তাসংস্থা রয়টার্স।
রয়টার্স এর প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, ইতালির দক্ষিণ উপকূলে গত রোববার জাহাজডুবির ঘটনায় শিশুসহ ৮০ জন আফগান নাগরিকের মৃত্যু হয়েছে বলে তালেবান নেতৃত্বাধীন আফগান পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় জানিয়েছে।
অবশ্য ইতালির উপকূলের স্টেকাটো ডি কুত্রর কাছে এই জাহাজডুবির ঘটনায় উদ্ধারকারীরা এখনও পর্যন্ত অন্তত ৬৪ জনের মৃত্যু হয়েছে বলে নিশ্চিত করেছেন। এছাড়া ৮০ জনকে উদ্ধার করা হয়েছে এবং আরও অনেক লোক নিখোঁজ রয়েছেন বলে ধারণা করা হচ্ছে। বেঁচে থাকা ব্যক্তিদের তথ্য অনুযায়ী- দুর্ঘটনাকবলিত জাহাজটিতে ১৪০ থেকে ১৫০ জন আরোহী ছিলেন।
আফগান পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় এক বিবৃতিতে জানিয়েছে, ‘খুব দুঃখের সাথে, আমরা জানতে পেরেছি … নারী ও শিশুসহ ৮০ জন আফগান শরণার্থী কাঠের নৌকায় তুর্কিয়ে থেকে ইতালি যাওয়ার সময় ইতালির দক্ষিণ সাগরে ডুবে মারা গেছে।’
বিবৃতিতে আরও বলা হয়েছে, ‘শহীদদের জন্য ক্ষমা এবং নিহতদের পরিবার ও আত্মীয়দের জন্য ধৈর্যের জন্য প্রার্থনা করছে আফগানিস্তান। এছাড়া সকল নাগরিককে অবৈধ অভিবাসনের মাধ্যমে বিদেশে যাওয়া এড়াতে অনুরোধ করছি আমরা।’
তুরস্কের পশ্চিমাঞ্চলীয় ইজমির বন্দর থেকে গত সপ্তাহের শেষের দিকে জাহাজটি রওনা হয়েছিল। জাতিসংঘের শরণার্থী সংস্থা বলেছে, গত বছর তুরস্ক ও ইতালির মধ্যে সমুদ্রপথে আসা প্রায় অর্ধেকই আফগান শরণার্থী।
এর আগে ইতালির দক্ষিণাঞ্চলীয় উপকূলে নৌকাডুবির ঘটনায় নিহতদের মধ্যে ২৮ জন পাকিস্তানি বলে গত সোমবার জানিয়েছিল পাকিস্তানি সংবাদমাধ্যম এক্সপ্রেস ট্রিবিউন এবং দ্য নিউজ ইন্টারন্যাশনাল।
পাকিস্তানি সংবাদমাধ্যম বলছে, জাহাজে থাকা পাকিস্তানিরা দেশটির গুজরাট, খারিয়ানা ও মান্দি বাহাউদ্দিনের বাসিন্দা বলে জানা গেছে। ইসলামাবাদের পররাষ্ট্র দপ্তর সেসময় জানায়, ডুবে যাওয়া জাহাজে পাকিস্তানিদের সম্ভাব্য উপস্থিতি সংক্রান্ত রিপোর্টের ওপর তারা গভীর নজর রাখছে।
উল্লেখ্য, সমুদ্রপথে ইউরোপে প্রবেশের চেষ্টাকারী অভিবাসীদের জন্য ইতালি অন্যতম প্রধান এক প্রবেশপথ। কেন্দ্রীয় ভূমধ্যসাগরীয় এই রুটটি বিশ্বের অন্যতম বিপজ্জনক হিসেবে পরিচিত।