গোয়েন্দা নজরদারির অভিযোগ তুলে যুক্তরাষ্ট্র যেসব চীনের বেলুন ধ্বংস করেছে, সেগুলো সম্পর্কিত কোনো তথ্য না দেয়ার অভিযোগ করেছে চীন। চীনের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের মুখপাত্র শুক্রবার ওয়াং ওয়েনবিন মন্ত্রণালয়ের এক ব্রিফিংয়ে এ অভিযোগ জানিয়েছেন।
ব্রিফিংয়ে ওয়াং ওয়েনবিন বলেন, ‘(বেলুনটির) ধ্বসাবশেষ উদ্ধার এবং তা বিশ্লেষণ সংক্রান্ত কোনো তথ্য এ পর্যন্ত যুক্তরাষ্ট্র আমাদের জানায়নি। এ ব্যাপারে তারা নিজেদের গোপনীয়তার সংস্কৃতি মেনে চলছে।’
তিনি বলেন, ‘(বেলুন ধ্বংসের পর) আমরা কনস্যুলার চ্যানেলের মাধ্যমে যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে কয়েকবার যোগাযোগ করেছি, তাদের বিশ্লেষণের ফলাফল সম্পর্কে জানতে চেয়েছি। কিন্তু প্রতিবারই যুক্তরাষ্ট্র আমাদের আহ্বান প্রত্যাখ্যান করেছে।’
গত জানুয়ারির শেষের দিকে যুক্তরাষ্ট্রের আকাশে প্রথমবারের মতো ‘সন্দেহজনক’ একটি বেলুন উড়তে দেখা যায়। বেলুনটি চীন থেকে এসেছে—শনাক্ত করে দেশটির প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয়ের কর্মকর্তারা বলেন, যুক্তরাষ্ট্রের অভ্যন্তরীণ পরিস্থিতি সম্পর্কিত গুরুত্বপূর্ণ গোয়েন্দা তথ্য নিতেই এই নজরদারি বেলুন পাঠিয়েছে চীন।
মার্কিন প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয়ের অভিযোগের জবাবে বেলুনটির মালিকানা স্বীকার করে চীনের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়। সেই সঙ্গে চীনা মন্ত্রণালয়ের পক্ষ থেকে বলা হয়, এটি কোনো গোয়েন্দা নজরদারি বেলুন নয়। আবহাওয়া সংক্রান্ত তথ্য সংগ্রহ করতে বেলুনটি ওড়ানো হয়েছিল। পরে বাতাসে দিক হারিয়ে সেটি যুক্তরাষ্ট্রের আকাশসীমায় চলে গেছে।
গত ৪ ফেব্রুয়ারি বিমান বাহিনীর ফাইটার জেট থেকে ক্ষেপণাস্ত্র ছুড়ে বেলুনটি ধ্বংস করে মার্কিন প্রতিরক্ষা বাহিনী। প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন নিজে বেলুনটি ধ্বংসের নির্দেশ দিয়েছিলেন। তারপরের প্রায় দু-সপ্তাহে আরও নিজেদের আকাশসীমা থেকে আরও কয়েকটি বেলুন ক্ষেপণাস্ত্র ছুড়ে নামিয়েছে মার্কিন বিমান বাহিনীর ফাইটার জেট। বলা বাহুল্য, ভূপাতিত করা সব বেলুনই চীন থেকে এসেছিল।
ওয়েনবিনের সংবাদ সম্মেলনের কয়েক ঘণ্টা পর যুক্তরাষ্ট্রের প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয়ের সদর দপ্তর পেন্টাগনের কর্মকর্তরা জানান, ভার্জিনিয়ায় পেন্টাগনের নিজস্ব ল্যাবরেটরিতে বেলুনটির ধ্বংসাবশেষ পরীক্ষা করে দেখা হচ্ছে। পরীক্ষা-নিরীক্ষা শেষ হলেই ফলাফল জানানো হবে।
সূত্র : রয়টার্স