গত বছরের ২৪ ফেব্রুয়ারি কথিত ‘বিশেষ সামরিক অভিযানের’ দোহাই দিয়ে ইউক্রেনে ঢুকে পড়ে রাশিয়ার সেনারা। রুশ বাহিনীর হামলার পর গত এক বছরে বদলে গেছে সাধারণ ইউক্রেনীয়দের জীবন। পুতিনের সেনাদের প্রতিহতে হাতে অস্ত্র তুলে নিয়েছেন অনেকে।
তাদের একজন ওলেক্সান্ডার প্রোতুস্ক। যুদ্ধের আগে প্রোতুস্ক স্যানিটারি মিস্ত্রির কাজ করতেন। বর্তমানে তিনি যুদ্ধের সম্মুখভাগে লড়াই করছেন। তিনি বলেছেন, রাশিয়ার হামলার পর তার জন্য ‘সব কিছুই বদলে গেছে।’ বর্তমানে অস্ত্র হাতে যুদ্ধ করতে হচ্ছে তাকে, পোহাতে হচ্ছে ভোগান্তি।
স্যানিটারি মিস্ত্রি থেকে পুরোপুরি যোদ্ধা হয়ে যাওয়া প্রোতুস্ক বলেছেন, ‘আমার প্রজন্ম কখনোই রাশিয়াকে ক্ষমা করবে না।’
শুক্রবার (২৪ ফেব্রুয়ারি) কাতারভিত্তিক সংবাদমাধ্যম আল জাজিরাকে এক সাক্ষাৎকারে এ ইউক্রেনীয় সেনা বলেছেন, ‘আমি একজন বেসামরিক, সিঙ্গেল ও কঠোর পরিশ্রমী মানুষ ছিলাম। আমি কখনো সেনাবাহিনীতে কাজ করিনি। কিন্তু যুদ্ধ আমাকে হাতে অস্ত্র তুলে নিতে বাধ্য করেছে। সাবেক ‘ভ্রাতৃতুল্য’ দেশ হামলা করায় নিজ দেশকে রক্ষায় আমাকে অস্ত্র হাতে তুলে নিতে হয়েছে।’
তিনি আরও বলেছেন, ‘সবচেয়ে কঠিন বিষয় ছিল, দেখেছি তরুণরা যুদ্ধ করতে এসেছিল কিন্তু মাত্র দুই-তিন দিন পরই তারা নিহত হয়েছে।’
প্রোতুস্ক দোনেৎস্কের সম্মুখভাগে যুদ্ধ করছেন। কিন্তু বর্তমানে রাজধানী কিয়েভে আছেন। তিনি জানিয়েছেন, ১০ দিনের ছুটিতে একটু বিশ্রাম নিতে কিয়েভে এসেছেন। কিন্তু ছুটি শেষে আবারও যুদ্ধের ময়দানে ফিরে যাবেন তিনি।
প্রোতুস্ক আশা প্রকাশ করে বলেছেন, ‘এক বছরের মধ্যে ইউক্রেন উন্নতি লাভ করবে। ইউক্রেন একটি স্বাধীন দেশ হবে। রাশিয়া থেকে নিজেদের আলাদা করতে আমরা সীমান্তে বিশাল প্রাচীর তৈরি করব। তারা তাদের মতো চলুক। আর প্রাচীরের ওই পাশে পচুক।’
তিনি আরও বলেছেন, ‘পশ্চিমারা আমাদের সঙ্গে উন্নতি করবে। আমরা ইউরোপের অংশ। আমরা রাশিয়ার কাছ থেকে বিচ্ছিন্ন হয়ে গেছি। আমার প্রজন্ম রাশিয়াকে কখনো ক্ষমা করবে না। আমি আশা করি এর পরের প্রজন্মও রাশিয়াকে ক্ষমা করবে না। আমি আশা করি।’
সূত্র: আল জাজিরা