যুদ্ধ বন্ধ করে অবিলম্বে ইউক্রেন থেকে রাশিয়ার সৈন্য প্রত্যাহারের আহ্বান জানিয়ে একটি প্রস্তাব পাস করেছে জাতিসংঘের সাধারণ পরিষদ। এতে ভোটদানে বিরত থেকেছে বাংলাদেশসহ ৩২ দেশ।
দুই প্রতিবেশী দেশে যুদ্ধের এক বছর পূর্তির আগের দিন বৃহস্পতিবার (২৩ ফেব্রুয়ারি) সাধারণ পরিষদের জরুরি বিশেষ অধিবেশনে ১৪১ ভোটে ওই প্রস্তাব পাশ হয়।
প্রস্তাবের বিপক্ষে ভোট দিয়েছে রাশিয়াসহ সাতটি দেশ। প্রস্তাবের বিরুদ্ধে ভোটদাতা হিসাবে রাশিয়া পাশে পেয়েছে বেলারুশ, উত্তর কোরিয়া, ইরিত্রিয়া, মালি, নিকারাগুয়া ও সিরিয়াকে।
বাংলাদেশের সঙ্গে ভোটদানে বিরত দেশের তালিকায় রয়েছে ভারত, চীন, পাকিস্তান, শ্রীলঙ্কা, দক্ষিণ আফ্রিকা, কিউবা, কঙ্গো, আর্মেনিয়া ও ভিয়েতনাম।
সাবেক সোভিয়েত রাশিয়াভূক্ত কিরগিজিস্তান, তাজিকিস্তান এবং উজবেকিস্তানও এ প্রস্তাবের ক্ষেত্রে নিরপেক্ষ অবস্থান প্রকাশ করেছে।
দক্ষিণ এশিয়ার বাকি তিন দেশ আফগানিস্তান, নেপাল ও ভুটান প্রস্তাবের পক্ষে ভোট দিয়েছে। জাতিসংঘে জান্তাবিরোধী জাতীয় ঐকমত্যের সরকারের (এনইউজি) প্রতিনিধিত্ব করা মিয়ানমারের ভোট পড়েছে প্রস্তাবের পক্ষে।
২০২২ সালের ২৪ ফেব্রুয়ারি ইউক্রেনে আক্রমণের পর থেকে এ পর্যন্ত রাশিয়ার বিরুদ্ধে জাতিসংঘে আনা চারটি প্রস্তাবের একটিতে পক্ষে ভোট দিয়েছে বাংলাদেশ; বাকি সবকটিতেই ভোটদানে বিরত থেকেছে।
জাতিসংঘের সাধারণ পরিষদের এ ধরনের প্রস্তাব মানতে কোনো দেশ আইনত বাধ্য নয়। প্রস্তাবের রাজনৈতিক গুরুত্ব রয়েছে।
এই প্রস্তাবে বাংলাদেশের ভোট কোন পক্ষে যাবে, এমন প্রশ্নে বৃহস্পতিবার পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের মুখপাত্র সেহেলী সাবরীন বলেছিলেন, “আমরা কেবল আন্তর্জাতিক হিউম্যানিটারিয়ান আইনের ব্যত্যয় না ঘটলে, সেখানে কোনো রাষ্ট্রের আভ্যন্তরীণ বিষয়গুলো নিয়ে কোনো কিছু করা হলে- আমরা সাধারণত সেখানে অংশ নিই না।”
তিনি আরও বলেন, “কান্ট্রি স্পেসিফিক রেজুল্যুশন যখন নেওয়া হয়, সেসব ক্ষেত্রে আমরা সাধারণত বিরত থাকি। পররাষ্ট্রমন্ত্রী (এ কে আব্দুল মোমেন) নিউ ইয়র্কে আছেন। তিনি সেখানে থেকে পরিস্থিতি পর্যবেক্ষণ করছেন এবং অন্য যে দেশগুলো আছে, তাদের সঙ্গে আলোচনার ভিত্তিতে ব্যবস্থা গ্রহণ করবেন।”