বাংলাদেশ সরকারের আহবানে সাড়া দিয়ে দুস্যতা ছেড়ে আত্মসমর্পণ করেছিলেন ফজলু শেখ। পুনর্বাসনের জন্য পেয়েছেন সরকারি সহযোগিতাও। তবে, কথা রাখেননি তিনি, সুন্দরবনে ফের দুস্যুতা শুরু করেছেন। তার বাহিনীতে রয়েছেন ৫ সদস্য।
মঙ্গলবার (২১ ফেব্রুয়ারি) বিকেলে এক সংবাদ সম্মেলনে এ তথ্য জানান বাগেরহাট পুলিশ সুপার কেএম আরিফুল হক।
তিনি জানান, সুন্দরবন চাঁদপাই রেঞ্জের শ্যালা নদী সংলগ্ন সূর্যমখী খাল থেকে মোংলা থানা ও জেলা গোয়েন্দা পুলিশ যৌথ অভিযানে দস্যু প্রধান ফজলুসহ ৪ জনকে গ্রেপ্তার করা হয়। অপর সদস্যকে গ্রেপ্তারে অভিযান অব্যাহত রয়েছে।
ফজলু রামপাল উপজেলার আড়ুয়াডাঙ্গার এলাকার বাসিন্দা। গ্রেপ্তার হওয়া অন্যান্য সদস্যরা হল, শিকিরডাঙ্গা এলাকার মজনু শেখ, পেড়িখালীর শাহাদাৎ মোড়ল ও জিগিরমোল্লা এলাকার ফয়সাল শেখ।
এ সময়ে তাদের কাছ থেকে একটি পুরাতন ডিঙ্গি নৌকা, একটি দেশিয় তৈরি একনলা বন্দুক, দেশিয় তৈরি ওয়ান সুটার গান, সাতটি সীসার কার্তুজ, দু’টি কাঠের বাটসহ রামদা, দু’টি লোহার হাতুড়ী, একটি লোহার পাইপ, চারটি টর্চ লাইট, চারটি পুরাতন গামছা, ১০ টুকরো নাইলনের রশি, দু’টি টেপ, চারটি বিভিন্ন সাইজের লাঠি ও দু’টি মানকি টুপি উদ্ধার করা হয়।
এ ঘটনায় জেলা গোয়েন্দা পুলিশের পরিদর্শক তরিকুল ইসলাম তাদের বিরুদ্ধে মোংলা থানায় অস্ত্র আইনে মামলা করেছেন বলে জানান পুলিশ সুপার।
তিনি বলেন, “বনদস্যু ফজলু শেখ আত্মসমর্পনকৃত দস্যু হিসেবে পুনর্বাসনের জন্য সরকারি সহযোগিতা পেয়েছেন। এরপরেও সে দস্যুতায়ে লিপ্ত হয়েছে।”