পরমাণু অস্ত্র তৈরি করার খুব কাছাকাছি পৌঁছেছে ইরান। দেশটি কয়েক বছর ধরে ৮৪% ইউরেনিয়াম মজুত করেছে। আর ৬% ইউরেনিয়াম পেয়ে গেলেই তারা পরমাণু অস্ত্র তৈরিতে সক্ষম হবে।
সোমবার (২০ ফেব্রুয়ারি) জাতিসংঘের পরমাণু সংক্রান্ত সংস্থা ইন্টারন্যাশনাল অ্যাটমিক এনার্জি এজেন্সির (আইএইএ) এক প্রতিবেদনে এসব তথ্য জানানো হয়েছে।
প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, বিষয়টি নিয়ে জাতিসংঘের পরমাণু সংস্থা ইরানের সঙ্গে আলোচনা শুরু করেছে। তবে তেহরান এখনো পর্যন্ত বিষয়টি নিয়ে মুখ খোলেনি। ২০২১ সালে ইরান ৬০% ইউরেনিয়াম মজুত করেছিল।
এর কিছুদিন পরেই জানা যায়, পাহাড়ের মাঝখানে আরও একটি পরমাণু কেন্দ্র তৈরি করেছে ইরান। সেখানেও তারা ৬০% ইউরেনিয়াম মজুত করেছে। তবে ৮৪% ইউরেনিয়াম মজুত করার বিষয়টি চলতি সপ্তাহেই সামনে এসেছে। এর থেকেই প্রমাণ হয়, অত্যন্ত দ্রুত গতিতে ইউরেনিয়াম জড়ো করার কাজটি চালাচ্ছে ইরান।
ইউরেনিয়াম মজুত নিয়ে ইরান সম্পূর্ণ তথ্য দিচ্ছে না বলে বেশ কিছুদিন ধরেই অভিযোগ করছিল জাতিসংঘের পরমাণু সংস্থা। দুইটি কাসকেডের মধ্যে এই ইউরেনিয়াম মজুত হয়েছে বলে জানানো হয়েছিল। কাসকেড দুইটির মধ্যে যোগ আছে। ফলে ঠিক কত পরিমাণ ইউরেনিয়াম মজুত হয়েছে সে বিষয়ে স্পষ্ট ধারণা করতে পারেনি পরমাণু সংস্থা।
২০১৮ সালে পরমাণু চুক্তি ছেড়ে বেরিয়ে যায় ট্রাম্পের যুক্তরাষ্ট্র। তারপর থেকেই ধীরে ধীরে ইউরেনিয়াম মজুত করতে শুরু করে ইরান। বাইডেন ক্ষমতায় আসার পর ইরানের সঙ্গে নতুন করে পরমাণু চুক্তির চেষ্টা হয়। কিন্তু ইরান জানায়, তাদের ওপর থেকে সমস্ত নিষেধাজ্ঞা না তুললে তারা নতুন চুক্তিতে অংশ নেবে না। শেষ পর্যন্ত নতুন প্রক্রিয়াটি ভেস্তে যায়। এরই মধ্যে ইরান ৮৪% পরমাণু মজুত করে ফেলায় আন্তর্জাতিক মহলে রীতিমতো আলোচনা শুরু হয়ে গেছে।
সূত্র: ডয়চে ভেলে