বাংলাদেশের সাবেক যোগাযোগমন্ত্রী ও বিএনপি নেতা নাজমুল হুদা আর নেই। রবিবার (১৯ ফেব্রুয়ারি) রাত সোয়া ১১টার দিকে বিএনপির মিডিয়া সেলের সদস্য শায়রুল কবির খান তার মৃত্যুর বিষয়টি নিশ্চিত করেন।
তিনি বলেন, একটু আগে নাজমুল হুদার মেয়ে অন্তরা হুদার সঙ্গে আমার কথা হয়েছে। তিনি মৃত্যুর বিষয়টি জানিয়েছেন।
নাজমুল হুদার স্ত্রী সিগমা হুদাকে ফোন করা হলে আত্মীয় পরিচয়ে একজন জানান, রবিবার রাত ১০টার দিকে নাজমুল হুদা মৃত্যুবরণ করেন।
নাজমুল হুদা অনেক দিন ধরে নানা রোগে আক্রান্ত ছিলেন। সম্প্রতি তিনি হাসপাতাল থেকে বাসায় ফেরেন।
২০১২ সালের ৬ জুন বিএনপি থেকে পদত্যাগ করেন নাজমুল হুদা। সে বছর বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী ফ্রন্ট (বিএনএফ) নামে নতুন রাজনৈতিক দল গঠন করেন।
২০১৫ সালে তৃণমূল বিএনপি নামে নতুন একটি দল গঠন করেন। এ মাসে দলটিকে নির্বাচন কমিশন নিবন্ধন দিয়েছে।
রাজনীতির পাশাপাশি রাজধানীর ৩৩ তোপখানা রোডে “চেন্সারি চেম্বার” নামে অফিস খুলে আইন সেবা দিতেন নাজমুল হুদা।
এই চেম্বারে নাজমুল হুদার জুনিয়র ফরহাদ হোসেন জানান, গত শুক্রবার সন্ধ্যায় এই রাজনীতিককে হাসপাতালে ভর্তি করা হয়।
নাজমুল হুদার এপিএস মো. শামীম আহসান জানান, রাতে মরদেহ ধানমন্ডি বাসভবনে রাখা হবে। সোমবার ধানমন্ডি সাত মসজিদ রোডের মসজিদে হবে জানাজা।
সেখান থেকে নাজমুল হুদা শেষবারের জন্য ফিরবেন নিজ এলাকা দোহারে। সেখানে বাদ জোহর আরেক দফা জানাজা শেষে শাইনপুকুর গ্রামে সমাহিত করা হবে।
বিএনপি গঠনের সময়ই দলটিতে যুক্ত হন ব্রিটেন থেকে আইনে ডিগ্রি নিয়ে আসা নাজমুল হুদা। দলটির প্রতিষ্ঠাতা জিয়াউর রহমান দলের নীতি-নির্ধারণী ফোরাম স্থায়ী কমিটিতে নিয়েছিলেন তাকে।
১৯৯১ সালে ও ২০০১ সালে বেগম খালেদা জিয়ার সরকারে মন্ত্রীও ছিলেন তিনি। তবে মাঝে একবার দল থেকে বহিষ্কৃত হয়ে পুনরায় ফিরেছিলেন তিনি।
২০১২ সালে বিএনপির সঙ্গে সম্পর্ক শেষ হয়ে গেলে বিএনএফ নামে নতুন দল গঠন করেন হুদা। পরে সেই দল থেকে তাকেই বহিষ্কার করে ২০১৪ সালে এমপি হন দলটির প্রতিষ্ঠাকালীন প্রধান সমন্বয়ক আবুল কালাম আজাদ।
এরপর বাংলাদেশ ন্যাশনাল অ্যালায়েন্স (বিএনএ) এবং বাংলাদেশ মানবাধিকার পার্টি (বিএমপি) নামে নামে দুটি নতুন রাজনৈতিক প্ল্যাটফর্ম গড়ে ক্ষমতাসীন আওয়ামী লীগের জোটে ভেড়ার চেষ্টা করেন হুদা। তাতে সফল না হওয়ার পর গঠন করেন “তৃণমূল বিএনপি” নামে নতুন দল।