ইউক্রেনে মস্কোর আগ্রাসনের পর থেকে রাশিয়ার সশস্ত্র ভাড়াটে গোষ্ঠী ওয়াগনারের ৩০ হাজারের বেশি সদস্য হতাহত হয়েছে। এমন দাবি করছে যুক্তরাষ্ট্র। তবে কত হাজার নিহত হয়েছে তা স্পষ্ট করেনি দেশটি।
যুক্তরাষ্ট্রের স্থানীয় সময় শুক্রবার (১৭ জানুয়ারি) নিয়মিত সংবাদ সম্মেলনে হোয়াইট হাউজের জাতীয় নিরাপত্তা পরিষদের মুখপাত্র জন কিরবি বলেন, ২০২২ সালের ডিসেম্বর থেকে ইউক্রেনে নিহত ওয়াগনারের যোদ্ধাদের ৯০ শতাংশই দোষী সাব্যস্ত ছিল।
মার্কিন গোয়েন্দাদের তথ্যমতে, ইউক্রেনের পূর্বাঞ্চলীয় শহর বাখমুতে তীব্র লড়াইয়ের কারণে ডিসেম্বরের মাঝামাঝিতে ওয়াগনারের সবচেয়ে বেশি হতাহত ঘটেছে।
এ প্রসঙ্গে জন কিরবি আরও বলেন, ‘ভাড়াটে গোষ্ঠীটি গত কয়েকদিন ধরে কৌশলগত গুরত্বপূর্ণ শহর বাখমুত ও আশাপাশে বেশ অগ্রগতি লাভ করেছে। কিন্তু তাদের অগ্রগতি অর্জনে অনেক সময় লেগেছে। বিপর্যয়ের মধ্যে দিয়ে যেতে হয়েছে তাদের। এই অর্জন টেকসই নয়।’
উপস্থিতি সাংবাদিকদের তিনি আরও জানান, ‘তারা বাখমুতে সফলতা লাভ করলেও এর ভিত্তি নেই। কারণ ইউক্রেনীয় বাহিনী ডনবাস অঞ্চলজুড়ে শক্তিশালী প্রতিরক্ষা লাইন ধরে রেখেছে।’
ওয়াগনারের সদস্যদের কোনও সামরিক প্রশিক্ষণ ছাড়াই ইউক্রেন যুদ্ধে পাঠানো হয়েছিল বলে দাবি করেন কিরবি।
এদিকে যুক্তরাজ্যের প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয়ের পরিসংখ্যান অনুযায়ী, ইউক্রেনে মস্কোর আগ্রাসনের শুরুর পর থেকে রাশিয়ার বাহিনীর প্রায় ২ লাখ সদস্য হতাহত হয়েছে।
যদিও এ বিষয়ে ক্রেমলিনের পক্ষ থেকে আনুষ্ঠানিক কোনও প্রতিক্রিয়া পাওয়া যায়নি।
উল্লেখ্য, ওয়াশিংটন ২০১৭ সালে এবং গত ডিসেম্বরে ওয়াগনার গ্রুপের ওপর বাণিজ্যিক নিষেধাজ্ঞা আরোপ করে। সংগঠনটির অস্ত্রের ওপর আধিপত্য কমিয়ে আনতে এমন পদক্ষেপ নেয় যুক্তরাষ্ট্র। ইউক্রেনের মতো সিরিয়া, লিবিয়া, সুদানসহ অন্যান্য কিছু দেশেও সক্রিয় থাকায় ২০২১ সালের ডিসেম্বরে ইউরোপীয় ইউনিয়নও সংগঠনটির ওপর নিষেধাজ্ঞা আরোপ করে।
যুক্তরাষ্ট্রের মতে, ইউক্রেনে ভাড়াটে গোষ্ঠী ওয়াগনারের প্রায় ৫০ হাজার কর্মী রয়েছে। যার মধ্যে ১০ হাজার ঠিকাদার এবং ৪০ হাজার রাশিয়ায় দণ্ডপ্রাপ্ত আসামিকে নিয়োগ দেওয়া হয়।