তুরস্ক-সিরিয়ায় স্মরণকালের ভয়াবহ ভূমিকম্পে ধ্বংসস্তূপের নিচ থেকে এখনও মিলছে লাশ। দুই দেশে মৃত্যু ছাড়িয়েছে ৪৫ হাজার। তুরস্কে এ যাবৎকালের শক্তিশালী ভূমিকম্পের ১৩তম দিনে গড়ালো।
৭ দশমিক ৮ মাত্রার ভূমিকম্পটি সীমান্ত অঞ্চলে হওয়ায় প্রতিবেশী সিরিয়াতেও আঘাত লাগে। ফলে দুই দেশেই বিপর্যস্ত। আঘাত হানার পর থেকেই সহায়তার হাত বাড়িয়ে দিয়েছে বাংলাদেশসহ ইউরোপের দেশগুলো।
ভূমিকম্পে শেষ পর্যন্ত মৃতের সংখ্যা কততে ঠেকতে পারে এবং এখনও কতজন নিখোঁজ; এ বিষয়ে কিছুই জানাতে পারছে না সিরীয় ও তুর্কি সরকার। ধ্বংসস্তূপে অনেক লোক চাপা পড়ে থাকায় এখনও উদ্ধার হচ্ছে লাশ। প্রয়োজনীয় যন্ত্রপাতির সংকটে ধসেপড়া ভবন সরাতে বেগ পেতে হচ্ছে উদ্ধারকারীদের।
তুর্কি স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী জানিয়েছেন, এখন পর্যন্ত তার দেশে ৩৯ হাজার ৬৭২ জন মারা গেছে। এদিকে সিরিয়া সরকার এবং জাতিসংঘ বলছে, সিরিয়ায় ৫ হাজার ৮০০ এর বেশি প্রাণহানি হয়েছে।
এদিকে ভূমিকম্পের ২৭৮ ঘণ্টা পরও তুরস্কের হাতায় প্রদেশের ধ্বংসস্তূপ থেকে ৪৫ বছর বয়সী একজনকে জীবিত উদ্ধার করা গেছে। তাকে দ্রুত হাসপাতালে নেওয়া হয়। তার অবস্থা সংকটাপন্ন। তবে সময় যত বাড়ছে জীবিত পাওয়ার সম্ভবনা কমে আসছে। তারপরও প্রাণের সন্ধানে উদ্ধার তৎপরতা অব্যাহত রেখেছে সংশ্লিষ্টরা।
গত ৯ ফেব্রুয়ারি থেকে তুরস্কের উত্তরপশ্চিমাঞ্চল হয়ে যুদ্ধবিধ্বস্ত সিরিয়ার ভূমিকম্প এলাকার জন্য ১৭৮টি ত্রাণবাহী ট্রাক প্রবেশ করেছে। এসব ত্রাণ পাঠিয়েছে জাতিসংঘ। সূত্র: আল জাজিরা, রয়টার্স