মধ্যএশিয়ার দেশ তাজিকিস্তানের পূর্বাঞ্চলীয় প্রদেশ গোরনো-বাদাখশানে কয়েক দিন ধরে একের পর এক তুষারধসে এ পর্যন্ত ১৭ জন নিহত হয়েছেন এবং এখন পর্যন্ত নিখোঁজ রয়েছেন ২ জন।
গোরনো-বাদাখশান প্রদেশের অবস্থান তাজিকিস্তানের পার্বত্য এলাকা পামির রেঞ্জ ঘেঁষে এবং চীন ও আফগানিস্তান সীমান্তের কাছাকাছি। চারদিকে উঁচু পর্বতমালা ঘিরে থাকায় শীত মৌসুমে প্রদেশটিতে তুষারধস প্রায় নিয়মিত দুর্যোগ; তবে টানা তুষারধস বেশ বিরল।
দেশটির দুর্যোগ মোকাবিলা দপ্তর সূত্রে জানা গেছে, শুধু বৃহস্পতিবারই ছোটো বড় ৬৯টি তুষারধসের ঘটনা ঘটেছে।
গোরনো বাদাখশানের রাজধানী খোরোগ ও তার আশপাশের এলাকায় ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে সবচেয়ে বেশি। নিহত যে ১৭ জনকে উদ্ধার করা হয়েছে, তাদের মধ্যে ১৩ জনই খোরোগের বাসিন্দা। বাকি ৪ জন আশপাশের এলাকার।
তুষারধসে আহতও হয়েছেন অনেকে। পার্বত্য এলাকার কয়েক ডজন বাড়িঘর চাপা পড়েছে তুষারের স্তুপের তলায়।
খোরোগ ও তার আশপাশের এলাকায় উদ্ধার অভিযান চালাচ্ছেন দুর্যোগ মোকাবিলা বিভাগের কর্মীরা। তারা জানিয়েছেন, খোরোগের সংলগ্ন এলাকা ইশকোশিমে দুই জন তরুণী এখনও নিখোঁজ রয়েছেন।
ঝুঁকিপূর্ণ বিভিন্ন এলাকা থেকে ইতোমধ্যে চার শতাধিক পরিবারকে সরিয়ে নেওয়া হয়েছে। বৃহস্পতিবার এক সরকারি বিবৃতিতে বলা হয়েছে, তুষারধসে ঘরবাড়ি ও রাস্তা ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে আর এ কারণে সব আন্তর্জাতিক রুটে গাড়ি চলাচল বন্ধ রাখা হয়েছে।
গোর্নো-বাদাখশানের প্রাদেশিক রাজধানী খোরোগের মেয়র শহরটির ৩০ হাজার বাসিন্দাকে ভারি তুষারপাত ও বৃষ্টির মধ্যে ঘরে থাকার অনুরোধ জানিয়েছেন।