নজরদারির উদ্দেশ্যে পাঠানো রাশিয়ার ছয়টি বেলুন ভূপাতিত করার দাবি করেছে ইউক্রেনের সেনাবাহিনী। বৃহস্পতিবার (১৬ ফেব্রুয়ারি) এক প্রতিবেদনে এ তথ্য জানিয়েছে কাতারভিত্তিক সংবাদমাধ্যম আল জাজিরা।
ধারণা করা হচ্ছে বেলুনগুলোতে কর্নার রিফ্লেক্টর এবং নজরদারি চালানোর যন্ত্রাংশ ছিল। কখন বেলুনগুলো কিয়েভে উড়ানো হয়েছিল সেটি পরিষ্কার করে জানায়নি ইউক্রেন। তবে রাজধানী কিয়েভে বুধবার সতর্কতা সাইরেন বেজে ওঠেছিল।
কিয়েভের সামরিক প্রশাসন টেলিগ্রাম অ্যাপে এক বিবৃতিতে বলেছে, ‘প্রাপ্ত তথ্য অনুযায়ী, যেসব বেলুন বাতাসের মাধ্যমে চালিত হয় এই বেলুনগুলো সে গোত্রের।’
বিবৃতিতে আরও বলা হয়েছে, ‘আমাদের আকাশ প্রতিরক্ষা ব্যবস্থা শনাক্ত ও ক্ষতি করার উদ্দেশ্যে এসব বেলুন উড়ানো হয়েছে।’
কিয়েভের সামরিক প্রশাসন এ বিবৃতি দেওয়ার আগে ইউক্রেনের বিমান বাহিনীর মুখপাত্র ইউরি ইহনাত বলেছিলেন, রাশিয়া নজরদারি ড্রোন বাঁচিয়ে রাখতে বেলুন ব্যবহার করেছে বলে ধারণা করছেন তারা।
ইউক্রেনিয়ান টেলিভিশনকে ইউরি ইহনাত বলেছেন, “অরলান-১০ এর মতো নজরদারি বেলুন ব্যবহার করছে রাশিয়া এবং তারা ভাবছে, ‘কেন আমরা এসব বেলুন ব্যবহার করব না?’ তাই তারা এসব বেলুন ব্যবহার করছে।”
পরবর্তীতে তিনি জানান, বেলুনের কারণেই বুধবার কিয়েভে সতর্কতামূলক সাইরেন বেজে ওঠে। রাশিয়া অবশ্য বেলুন ভূপাতিত নিয়ে এখনো কোনো মন্তব্য করেনি।
এদিকে যুক্তরাষ্ট্রভিত্তিক যুদ্ধবিষয়ক পর্যবেক্ষক সংস্থা ইন্টারন্যাশনাল ইনস্টিটিউট ফর স্ট্র্যাটেজিক স্টাডিসি (আইআইএসএস) বুধবার এক প্রতিবেদনে জানিয়েছে, ইউক্রেনে হামলা করার পর এখন পর্যন্ত নিজেদের অর্ধেক যুদ্ধ ট্যাংক হারিয়েছে রাশিয়া। সংস্থাটি আরও জানিয়েছে, রাশিয়ার কয়েকটি অত্যাধুনিক মডেলের ট্যাংকের অর্ধেকের বেশি ধ্বংস হয়ে গেছে। এ কারণে পুরনো ট্যাংক ব্যবহার করতে হয়েছিল তাদের।
তবে সংস্থাটি সতর্কতা দিয়ে বলেছে, রুশ বাহিনী তাদের আকাশ শক্তি প্রায় অক্ষত রেখেছে এবং যুদ্ধের পরবর্তী ধাপে যুদ্ধবিমান ও হেলিকপ্টারসহ অন্যান্য যেসব আকাশ শক্তি রয়েছে সেগুলো ব্যবহার করবে তারা।
সূত্র: আল জাজিরা