রামপাল তাপ বিদ্যুৎকেন্দ্রে পুনরায় উৎপাদন শুরু হয়েছে। কয়লা সংকটের কারণে এক মাসের বেশি সময় ধরে বন্ধ থাকার পর ছয় দিনের কয়লা মজুত নিয়ে বুধবার (১৫ ফেব্রুয়ারি) দিবাগত রাত ১১টা ৩ মিনিটে আবার উৎপাদনে গেলো বিদ্যুৎকেন্দ্রটি।
সংশ্লিষ্ট সূত্রে জানা গেছে, বিদ্যুৎকেন্দ্রটির একটি ইউনিটে গত বছরের ১৭ ডিসেম্বর রাতে বাণিজ্যিকভাবে উৎপাদন শুরু হয়েছিল। এরপর কয়লা সংকটে ১৪ জানুয়ারি থেকে এর উৎপাদন বন্ধ ছিল। গত ৯ ফেব্রুয়ারি ৩০ হাজার টন কয়লা আসে। চলমান এই ইউনিটের উৎপাদন ক্ষমতা ৬৬০ মেগাওয়াট। কেন্দ্রটিতে তিন মাসের কয়লা মজুতের সক্ষমতা রয়েছে। তবে নিরবচ্ছিন্নবভাবে উৎপাদন চালু রাখতে এক মাসের কয়লা মজুত রাখার নিয়ম আছে। আগামী জুনে দ্বিতীয় ইউনিটও চালু এবং বাণিজ্যিকভাবে বিদ্যুৎ উৎপাদনে যাওয়ার কথা রয়েছে কেন্দ্রটির।
বাংলাদেশ-ভারত ফ্রেন্ডশিপ পাওয়ার কোম্পানি লিমিটেডের (বিআইএফপিসিএল) উপ-মহাব্যবস্থাপক আনোয়ারুল আজিম বলেন, “কয়লা সংকটে বন্ধ থাকা ইউনিটটি বুধবার রাত ১১টা ৩ মিনিটে পুনরায় চালু হয়েছে। কয়লার সরবরাহ নিশ্চিত হওয়ায় কেন্দ্রটি চালু করা হয়। গত ৯ ফেব্রুয়ারি একটি জাহাজে ৩০ হাজার মেট্রিক টন কয়লা বিদ্যুৎকেন্দ্রে আসে। একটি ইউনিট চালু রাখতে দিনে পাঁচ হাজার টন কয়লা প্রয়োজন। তাই এ কয়লায় কেন্দ্রটি ছয় দিন চালু থাকবে।”
তিনি আরও বলেন, “ইন্দোনেশিয়া থেকে একটি জাহাজ বিদ্যুৎকেন্দ্রটির জেটিতে আসতে ১০ দিন সময় লাগে। আগামী ১৮ ফেব্রুয়ারি এই বিদ্যুৎকেন্দ্রের জন্য ৫৫ হাজার মেট্রিক টন কয়লা নিয়ে আরেকটি জাহাজ আসবে।”
উল্লেখ্য, বাংলাদেশ-ভারতের যৌথ বিনিয়োগে এক হাজার ৩২০ মেগাওয়াটের দুই ইউনিটের বিদ্যুৎকেন্দ্রটি বাগেরহাটের রামপালে তৈরি করা হয়। গত বছরের ১৫ আগস্ট বিদ্যুৎকেন্দ্রটির প্রথম ইউনিট পরীক্ষামূলক উৎপাদন শুরু করে। এরপর ১৭ ডিসেম্বর থেকে এই কেন্দ্রের একটি ইউনিট জাতীয় গ্রিডে বিদ্যুৎ সরবরাহ শুরু করেছিল। এর উৎপাদন ক্ষমতা ৬৬০ মেগাওয়াট। প্রতিদিন উৎপাদন করা হচ্ছিল ৫৬০ থেকে ৫৭০ মেগাওয়াট। এলসি জটিলতায় কয়লা আমদানি ব্যাহত হওয়ায় কয়লা সংকটে গত ১৪ জানুয়ারি সকাল ৯টার দিকে বিদ্যুৎকেন্দ্রটির উৎপাদন বন্ধ হয়েছিল।