পাকিস্তানের ইতিহাসে সরকারি পদে নিয়োগ পেয়ে ইতিহাস গড়েছেন ২৭ বছর বয়সী নারী ডা. সানা রামচন্দ গুলওয়ানি। তার আগে দেশটিতে আর কোনো হিন্দু নারী আমলা হতে পারেননি।
এক প্রতিবেদনে এ তথ্য জানিয়েছে পাকিস্তানের সংবাদমাধ্যম দ্যা ডন।
প্রতিবেদনে বলা হয়, পাকিস্তানের সিন্ধু প্রদেশের ছোট্ট শহর শিকারপুরের এই নারী সরকারি প্রাথমিক ও মাধ্যমিক বিদ্যালয়ে পড়াশোনা শেষে চিকিৎসক হওয়ার জন্য ভর্তি হন সিন্ধু প্রদেশের লারাকানায় অবস্থিত শহীদ মুহতারেমা বেনজির ভুট্টো মেডিকেল ইউনিভার্সিটিতে। ২০১৬ সালে সেখান থেকে এমবিবিএস পাস করেন সানা।
তবে এই পেশায় না গিয়ে তিনি সিদ্ধান্ত নেন প্রশাসনে চাকরি করার। এজন্য আরও পড়াশোনার সিদ্ধান্ত নেন সানা। ইউরোলজিস্ট হতে উচ্চতর পড়াশোনা শুরু করেন। পাশাপাশি প্রস্তুতি নিতেন সরকারি চাকরি। লক্ষ্য সেন্ট্রাল সুপেরিয়র সার্ভিসেস (সিএসএস) পরীক্ষায় উত্তীর্ণ হওয়া। কারণ, তা না হলে পাকিস্তানের কেন্দ্রীয় প্রশাসনিক চাকরিতে (পিএএস) যোগ দেওয়া স্বপ্ন অধরাই রয়ে যাবে।
মেয়ে চিকিৎসক হবে—বাবা ও মায়ের এই ইচ্ছা আগেই পূরণ করেছেন। অবশেষে আমলা হওয়ার নিজের স্বপ্নপূরণ হয় সানার। ২০২০ সালে সিএসএস পরীক্ষায় বসেন তিনি, প্রথমবারেই পাস করেন। আর তাতেই ইতিহাস রচিত হয়। পাকিস্তানে বসবাস করা সংখ্যালঘু হিন্দু সম্প্রদায়ের নারীদের মধ্য তিনিই প্রথম সিএসএস পাস করেন।
এরপর নানা ধাপ পেরিয়ে অবশেষে কাঙ্ক্ষিত সেই চাকরিতে যোগ দিয়েছেন সানা। সম্প্রতি তাকে দেশটির পাঞ্জাব প্রদেশের হাসানআবদাল শহরের সহকারী কমিশনার পদে নিযুক্ত করা হয়েছে। গত সপ্তাহে কাজ শুরু করেছেন তিনি। সানা ওই শহরের প্রথম নারী সহকারী কমিশনার।
লেন, পাকিস্তানের হিন্দু নারীদের মধ্যে আমলা হিসেবে আমিই প্রথম কি না, জানি না। তবে আমার আগে কেউ সিএসএস পরীক্ষায় উত্তীর্ণ হয়ে এই পদে এসেছেন, এমনটা কখনোই শুনিনি। এটা আনন্দের।