কয়লা সংকটে এক মাসের বেশি সময় বিদ্যুৎ উৎপাদন বন্ধ থাকার পর বুধবার (১৫ ফেব্রুয়ারি) থেকে আবারও বাংলাদেশের রামপাল বিদ্যুৎকেন্দ্রের প্রথম ইউনিটে বিদ্যুৎ উৎপাদন শুরু হবে।
১৩২০ মেগাওয়াট সক্ষমতার রামপাল বিদ্যুৎকেন্দ্রের প্রথম ইউনিটে পুনরায় চালু করতে ইতিমধ্যে ৩০ হাজার টন কয়লা আমদানি করা হয়েছে।
বিদ্যুৎ উৎপাদনের প্রাথমিক জ্বালানি কয়লা আমদানি করতে পর্যাপ্ত ডলার না থাকায় গত ১৪ জানুয়ারি থেকে বন্ধ ছিল বিদ্যুৎ উৎপাদন।
সরকারের নীতিনির্ধারণী পর্যায়ে আলোচনার পর ৩০ হাজার টন কয়লা আমদানি করা হয়েছে।
বাংলাদেশ-ইন্ডিয়া ফ্রেন্ডশিপ পাওয়ার কোম্পানি লিমিটেডের উপ-মহাব্যবস্থাপক আনোয়ারুল আজিম বলেন, “আমদানি করা কয়লা ৯ ফেব্রুয়ারি বিদ্যুৎ কেন্দ্রের জেটিতে পৌঁছেছে। আমরা বুধবার থেকে প্ল্যান্টের ইউনিট-১-এ পুনরায় কার্যক্রম শুরু করতে যাচ্ছি।”
১৩২০ মেগাওয়াট ক্ষমতাসম্পন্ন এই মৈত্রী বিদ্যুৎকেন্দ্র বাংলাদেশ ও ভারতের যৌথ উদ্যোগে নির্মিত হলেও বাগেরহাটের রামপালে অবস্থিত হওয়ায় রামপাল বিদ্যুৎকেন্দ্র নামেই বেশি পরিচিত।
ওই কর্মকর্তা আরও বলেন, ৫০,০০০ মেট্রিক টন কয়লার আরেকটি চালানও শিগগিরই দেশে আসছে। তিনি আরও জানান, এ বছরের জুন মাসে প্ল্যান্টের ইউনিট-২ চালু হবে বলে আশা করা হচ্ছে।
সূত্র জানায়, যদিও ইউনিট-১ এখন পরীক্ষাধীন রয়েছে কারণ বিপিডিবি যার বিআইএফপিসিএলের সাথে বিদ্যুৎ ক্রয় চুক্তি (পিপিএ) রয়েছে তারা এখনও প্ল্যান্টের বাণিজ্যিক কার্যক্রম শুরু করার অনুমতি দেয়নি।
বিআইএফপিসিএল কর্মকর্তারা জানিয়েছেন, বৃহস্পতিবার বিদ্যুৎ, জ্বালানি ও খনিজ সম্পদ প্রতিমন্ত্রী নসরুল হামিদ প্ল্যান্ট পরিদর্শন করবেন বলে আশা করা হচ্ছে।