সময় গড়ানোর সঙ্গে সঙ্গে ধ্বংসস্তূপ থেকে মানুষকে জীবিত উদ্ধারের আশা ফুরিয়ে আসছে তুরস্ক ও সিরিয়ায়। এসেছে উদ্ধার কাজেও ধীরগতি। সব মিলিয়ে এখন পর্যন্ত দু দেশে মৃতের সংখ্যা ৩৬ হাজার ছাড়িয়েছে।
এ ছাড়া ভবন নির্মাণের সঙ্গে যুক্ত বেশ কয়েকজনকে এরই মধ্যে গ্রেপ্তার করেছে তুরস্ক। এর বাইরে আরও কয়েক ঠিকাদারকে গ্রেপ্তারে অভিযান চালানো হচ্ছে বলে জানিয়েছে কর্তৃপক্ষ। স্থানীয় কর্মকর্তা ও সংবাদমাধ্যমে বরাতে এসব তথ্য দিয়েছে সিএনএন।
গত ৬ ফেব্রুয়ারির ওই ভয়াবহ ভূমিকম্পে তুরস্কে মৃতের সংখ্যা পৌঁছেছে ৩১ হাজার ৬৩৪ জনে। সিরিয়ায় মৃত্যু হয়েছে ৪ হাজার ৫৭৪ জনের। দু দেশেই মৃতের সংখ্যা আরও বাড়ার সম্ভাবনার কথা জানিয়েছে আন্তর্জাতিক সংবাদমাধ্যমগুলো।
তুরস্কের ধ্বংসস্তূপের নিচে আটকে থাকা বাসিন্দাদের কাছে পৌঁছানোর জন্য এখন চেষ্টা করে যাচ্ছেন উদ্ধারকারীরা। তবে উত্তর-পশ্চিম সিরিয়ায় উদ্ধার অভিযান এখন শেষ পর্যায়ে। শোকাহত পরিবারগুলো প্রিয়জন হারানোর বেদনায় স্তব্ধ হয়ে পড়েছে। উদ্ধার তৎপরতায় ধীরগতি ও কর্তৃপক্ষের দায়িত্বে অবহেলায় ক্ষোভ প্রকাশ করছেন অনেকে।
ক্রমবর্ধমান গণক্ষোভের মধ্যে তুরস্কের কর্তৃপক্ষ ভবন ধসের ঘটনায় ১৬৩ জনের বিরুদ্ধে তদন্ত শুরু করেছে। রাষ্ট্রীয় বার্তা সংস্থা আনাদোলু জানিয়েছে, এরই মধ্যে আটজনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে এবং ৪৮ জন পুলিশ হেফাজতে রয়েছে। তাদের জিজ্ঞাসাবাদ করা হচ্ছে।
৬ ফেব্রুয়ারি ভোররাত ৪টা ১৭ মিনিটে শক্তিশালী ভূমিকম্প অনুভূত হয় সিরিয়া সীমান্তবর্তী তুরস্কের দক্ষিণ-পূর্বাঞ্চলে, যার উৎপত্তিস্থল কাহরামানমারাস প্রদেশের পাজারসিক জেলায়। যুক্তরাষ্ট্রের ভূতাত্ত্বিক জরিপ (ইউএসজিএস) সংস্থার তথ্যমতে, প্রথমে আঘাত হানা ভূমিকম্পের মাত্রা ছিল ৭ দশমিক ৮।
এরপর অন্তত ১০০ বার কেঁপে ওঠে (আফটার শক) এ দুই দেশ। তবে এর মধ্যে সবচেয়ে শক্তিশালী ছিল পরদিন দুপুর দেড়াটার দিকে আঘাত হানা ৭ দশমিক ৫ মাত্রার ভূমিকম্পটি। ভূমিকম্পে ধসে পড়েছে হাজারো বাড়ি, হাসপাতাল, স্কুলসহ বিভিন্ন স্থাপনা। দু দেশের হাজার হাজার মানুষ আহত হন; গৃহহীন হয়ে পড়েন অনেকে।