বিতর্কিত বিচার ব্যবস্থা সংস্কারের বিরুদ্ধে ইসরায়েলের পার্লামেন্টের বাইরে বিক্ষোভ করেছেন প্রায় ৮০ হাজার বিক্ষোভকারী। প্রধানমন্ত্রী বেনিয়ামিন নেতানিয়াহু সরকারের এই সংস্কার প্রস্তাবে দেশটির মানুষেরা বিভক্ত হয়ে পড়েছেন। গত মাসে সংস্কার পরিকল্পনা উন্মোচনের পর সাম্প্রতিক বছরগুলোর মধ্যে কয়েকটি বড় বিক্ষোভ হয়েছে ইসরায়েলে। ব্রিটিশ সংবাদমাধ্যম বিবিসি এ খবর জানিয়েছে।
সংস্কার পরিকল্পনা পাস হলে কমে যাবে সুপ্রিম কোর্টের ক্ষমতা এবং একই সঙ্গে বিচার ব্যবস্থায় নিয়োগের ক্ষেত্রে সরকারের ভূমিকা বাড়বে। সমালোচকরা বলছেন, এতে গণতন্ত্র ক্ষুণ্ন হবে। তবে সরকারের দাবি, সংস্কারের ফলে গণতন্ত্র শক্তিশালী হবে।
দক্ষিণ তেল আবিবের বাসিন্দা হেলিত বলেন, আমি খুব হতাশ। অনেকগুলো রাত নিদ্রাহীন কেটেছে। আমার মনে হয় তারা পাল্টাবে। আমার আশা এটি। কিন্তু মাঝে মধ্যেই মনে হয় পরিস্থিতির খারাপের দিকে যাবে।
ডোরে নামের এক আইনজীবীর কার্যালয় বন্ধ রয়েছে। কারণ তিনি ও তার কর্মীরা বিক্ষোভে যোগ দিয়েছেন। তার কথায়, সরকার ইসরায়েলের গণতন্ত্র নিয়ে যা করছে তা দেখে আমার হৃদয় ভেঙে গেছে। তাই আমি এখানে বিক্ষোভে এসেছি। তারা গণতন্ত্রের চেতনাকে গুড়িয়ে দিচ্ছে। তারা আইনি ব্যবস্থার ক্ষমতাকে হুমকির মুখে ফেলছে।
বিরল ঘটনা হিসেবে মার্কিন প্রেসিডেন্ট জো বাইডেনও প্রস্তাবিত সংস্কার পরিকল্পনার সমালোচনা করেছেন। ইসরায়েলের সাংবিধানিক বিষয় নিয়ে কোনও মার্কিন প্রেসিডেন্টের এমন মতামত একেবারে বিরল।
ইসরায়েলের প্রেসিডেন্ট আইজ্যাক হার্জগ সতর্ক করে বলেছেন, সাংবিধানিক ও সামাজিক ধসের কিনারায় রয়েছে দেশ। রাজনৈতিক ইস্যুতে ইসরায়েলি প্রেসিডেন্টের জড়িত হওয়াও বিরল। সাধারণত এই পদে রাজনৈতিক নিরপেক্ষ ব্যক্তিদের নিয়োগ দেওয়া হয়।
সংস্কারের বিরুদ্ধে সাপ্তাহিক বিক্ষোভের অংশ হিসেবে সোমবার পার্লামেন্টের বাইরে জড়ো হয়েছেন প্রতিবাদকারীরা। সংস্কার পরিকল্পনার বিরোধীরা বলছেন, এই পরিকল্পনা বিচার ব্যবস্থার রাজনীতিকরণ করবে এবং এর ফলে সরকার স্বৈরাচারী হয়ে উঠতে পারে।
প্রধানমন্ত্রী বেনিয়ামিন নেতানিয়াহু বরছেন, বর্তমান ব্যবস্থায় নির্বাচিত পার্লামেন্টে পাস হওয়া আইন বাতিল করতে পারে সুপ্রিম কোর্ট। এটি গণতান্ত্রিক নয়।