রুশ সেনাদের সহযোগী ভাড়াটে বাহিনী ওয়াগনার গ্রুপে আর কোন কারাবন্দিকে নিয়োগ দেওয়া হবে না। এমন ঘোষণা দিয়েছেন ওয়াগনার প্রধান ইয়েভগেনি প্রিগোজিন।
টেলিগ্রাম চ্যানেলে এ ঘোষণা দিয়েছেন প্রিগোজিন। তিনি বলেন, আমরা আর কোনো কারাবন্দিদের নিয়োগ দেব না।
মার্কিন জাতীয় নিরাপত্তা উপদেষ্টা জন কারবির দাবি, বর্তমানে ইউক্রেনে এই গোষ্ঠীর প্রায় ৫০ হাজার যোদ্ধা সক্রিয় রয়েছে। আর এ গ্রুপকে অপরাধী সংগঠন হিসেবে তালিকাভুক্ত করেছে যুক্তরাষ্ট্র।
ওয়াগনার প্রধানের এ ঘোষণার মাধ্যমে বোঝা যায়, রণকৌশলে পরিবর্তন আনছে রাশিয়া। খবর সিএনএনের।
এদিকে রাশিয়ার সামরিক বাহিনীর ব্লগার সেমিয়ন পেগভকে এক সাক্ষাৎকারটি দিয়েছেন প্রিগোজিন বলেন, ইউক্রেনের পূর্বাঞ্চলের দুটি শহর নিয়ন্ত্রণে নিতে মস্কোর আরও দুই বছর সময় লাগবে।
শুক্রবার তার এ সাক্ষাৎকারটি প্রকাশিত হয়। এতে তিনি দাবি করেন, রাশিয়ার পরিকল্পনা হলো- দোনেৎস্ক ও লুহানস্কের সম্পূর্ণ নিয়ন্ত্রণ নেওয়া। গত বছর এই দুটি অঞ্চলকে নিজেদের সঙ্গে যুক্ত করার ঘোষণা দিয়েছিল রাশিয়া। তবে এটিকে অবৈধ বলে দাবি করছে পশ্চিমা দেশগুলোসহ জাতিসংঘের বেশিরভাগ সদস্য।
এতে ওয়াগনার প্রধান বলেন, আমার মনে হয়, অঞ্চল দুটির পুরোপুরি নিয়ন্ত্রণ নিতে দেড় থেকে দুই বছর লাগবে। আর দিনিপ্রো নদী পর্যন্ত নিয়ন্ত্রণ নিতে লাগবে প্রায় তিন বছর।
ওয়াগনার প্রধান বলেন, দোনেৎস্কের বাখমুত শহর নিয়ন্ত্রণ নেওয়া খুবই জরুরি। সর্বশেষ কয়েক মাস ধরে বাখমুতে দুপক্ষের তীব্র লড়াই চলছে। শহরটিতে ইউক্রেনীয় বাহিনীর তীব্র প্রতিরোধের মুখে পড়ছে রুশ বাহিনী।
রাশিয়া কি শহরটির নিয়ন্ত্রণ নেওয়ার খুব কাছাকাছি রয়েছে- এমন প্রশ্নের জবাবে প্রিগোজিন বলেন, বিষয়টি এত তাড়াতাড়ি বলা উচিত হবে না। এখনো অনেক এলাকা নিয়ন্ত্রণের বাকি রয়েছে। তবে আমরা খুব সুন্দরভাবে এগোচ্ছি।