ভূমিকম্পে ক্ষতিগ্রস্ত তুরস্ক ও সিরিয়ার নাগরিকরা সাময়িকভাবে জার্মানিতে তাদের আত্মীয়দের কাছে থাকতে পারবেন। খবর সিএনএন।
জার্মানির স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী ন্যান্সি ফায়েসার বিল্ড নামে একটি পত্রিকাকে শনিবার বলেন, এটি জরুরি সহায়তা। জার্মানিতে থাকা তুরস্ক ও সিরিয়ার পরিবারগুলো ভূমিকম্পে ক্ষতিগ্রস্ত আত্মীয়দের এনে নিজের বাড়িতে রাখতে পারবেন কোনো ধরনের আমলাতান্ত্রিক জটিলতা ছাড়াই।
তিনি বলেন, নিয়মিত ভিসার মাধ্যমেই এটি করা হবে। দ্রুত এই ভিসা দেওয়া হবে। এর মেয়াদ হবে তিন মাস।
সোমবার ভোরের দিকে ভূমিকম্পটি তুরস্ক ও সিরিয়ায় আঘাত হানে। এতে ব্যাপক ক্ষয়ক্ষতি হয়। সাময়িক ভিসা দেওয়া সিদ্ধান্ত এলো শনিবার। এদিন পর্যন্ত দুই দেশে নিহত বেড়ে ২৯ হাজার ছাড়ায়। লাখ লাখ লোক ঘরছাড়া হয়েছেন।
জার্মানিতে ২৯ লাখ তুর্কি বংশোদ্ভূত লোক বসবাস করেন। এর অর্ধেকের বেশিরই তুরস্কের নাগরিকত্ব রয়েছে।
২০১৫-১৬ সালে সাবেক জার্মান চ্যান্সেলর অ্যাঙ্গেলা মেরকেল সীমান্ত খুলে দিলে সিরিয়ার ৯ লাখ ২৪ হাজার লোক দেশটিতে প্রবেশ করেন। সেই সময় থেকেই তারা জার্মানিতে বসবাস করে আসছেন। ২০১৪ সালে জার্মানিতে সিরিয়ার নাগরিকের সংখ্যা ছিল ১ লাখ ১৮ হাজার।
জার্মানির পররাষ্ট্রমন্ত্রী আন্নালেনা বায়েরবক শনিবার টুইটারে জানান, জার্মানিতে বসবাসরত পরিবারগুলো যাতে ভূমিকম্পে ক্ষতিগ্রস্ত স্বজনদের নিয়ে এসে রাখতে পারে, সরকার সেই সহযোগিতা নিশ্চিত করতে চায়।
বায়েরবক জানান, পররাষ্ট্র ও স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয় পদক্ষেপ নিতে টাস্কফোর্স গঠন করেছে। আমাদের লক্ষ্য হলো যতটা সম্ভব আমলাতান্ত্রিক জটিলত কমিয়ে ভিসা দেওয়া যায়। তুরস্কে পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের কর্মকর্তা বাড়ানো হয়েছে। পাশাপাশি সেখানে ক্ষমতাও বাড়ানো হয়েছে।