যুক্তরাজ্যের অ্যাম্বুলেন্স কর্মী, নার্স ও বিশ্ববিদ্যালয়ের চাকরিজীবীরা বেতন বাড়ানোর দাবিতে আবারও ধর্মঘট শুরু করেছেন। বার্তা সংস্থা এএফপি আজ শনিবার এক প্রতিবেদনে এ তথ্য জানিয়েছে।
গত সোমবার থেকে নার্স ও অ্যাম্বুলেন্স কর্মীরা বেতন বাড়ানোর দাবিতে রাস্তায় নামেন। আজ তাঁদের সঙ্গে যোগ দিয়েছেন বিশ্ববিদ্যালয়ের চাকরিজীবীরাও।
গত বছর থেকেই যুক্তরাজ্যে আইনজীবী, ফেরিঘাটের শ্রমিক ও অন্য শিল্প খাতের কর্মীরা ধর্মঘট শুরু করেন। সেই ধর্মঘট এখন ছড়িয়ে পড়েছে স্বাস্থ্য খাত ও বিশ্ববিদ্যালয় প্রাঙ্গণেও।
স্বাস্থ্যকর্মীরা বলছেন, তাঁরা যা বেতন পান, তা দিয়ে মুদ্রাস্ফীতির সঙ্গে তাল মিলিয়ে চলতে পারছেন না। নিত্যপ্রয়োজনীয় পণ্যের দাম লাগাম ছাড়া। দৈনন্দিন জীবন যাপন করতে তাঁদের ভয়াবহভাবে লড়াই করতে হচ্ছে।
যুক্তরাজ্যের প্রধানমন্ত্রী ঋষি সুনাক বেতন বাড়ানোকে ‘যুক্তিসংগত’ বলেছেন। তবে তিনি একই সঙ্গে সবাইকে সাশ্রয়ী হওয়ারও আহ্বান জানিয়েছেন। তিনি বলেছেন, এই মুহূর্তে বেতন বাড়ালে মুদ্রাস্ফীতি নিয়ন্ত্রণের চেষ্টা বিপন্ন হবে।
চ্যান্সেলর জেরেমি হান্ট গতকাল শুক্রবার সাংবাদিকদের বলেছেন, ‘মুদ্রাস্ফীতির এই ভয়াবহ সময়ে ঋণ করে বেতন বাড়ানোর ব্যাপারে সরকার রাজি নয়। গতকাল ব্যাংক অব ইংল্যান্ডের গভর্নর আমাদের সুস্পষ্ট সতর্কবার্তা দিয়েছেন। তিনি বলেছেন ঋণ করে অর্থ এনে যদি বেতন বাড়ানো হয়, তাহলে মুদ্রাস্ফীতি আরও বাড়বে। আমরা এখন এক কঠিন পরিস্থিতির মধ্যে রয়েছে।’
এএফপি জানিয়েছে, গতকালের ধর্মঘটে ন্যাশনাল হেলথ সার্ভিসের (এনএইচএস) কর্মীদের সবচেয়ে বড় ট্রেন ইউনিয়ন ইউনিসনের প্রায় ১৫ হাজার সদস্য অংশ নিয়েছিলেন। তাঁরা ব্রিটেনের পাঁচটি অঞ্চলে ধর্মঘট করেছেন।
ইউনিসনের হেড অব হেলথ সারা গোর্টন প্রধানমন্ত্রী ঋষি সুনাকের বিরুদ্ধে অভিযোগ করে বলেন, ‘তিনি আমাদের সঙ্গে আলোচনা করতে রাজি হননি। সরকার গোঁ ধরে বসে আছে। কিন্তু এভাবে চলতে থাকলে পরিস্থিতি খারাপ হবে।’
এর আগে ১ ফেব্রুয়ারি ব্রিটেনে এক যুগের মধ্যে সবচেয়ে বড় ধর্মঘট হয়েছে। বেতন বাড়ানোর দাবিতে রাস্তায় নেমেছিলেন অন্তত পাঁচ লাখ শ্রমিক। সেই ধর্মঘটে যোগ দিয়েছিলেন বিপুলসংখ্যক শিক্ষক, ট্রেনচালক, উড়োজাহাজের কর্মী, সমুদ্রবন্দরের শ্রমিক ও সীমান্ত বাহিনীর কর্মীরা।