তুরস্ক-সিরিয়া সীমান্তবর্তী অঞ্চলে ৭.৮ মাত্রার ভূমিকম্পে দুই দেশেই প্রাণহানি বাড়ছে। বাংলাদেশ সময় শনিবার (১১ ফেব্রয়ারি) সকাল পর্যন্ত দুই দেশে নিহতের সংখ্যা অন্তত ২৩ হাজার ৭১৩ বলে নিশ্চিত হওয়া গেছে। মার্কিন সংবাদমাধ্যম সিএনএন এক প্রতিবেদনে এ তথ্য জানিয়েছে।
এখন পর্যন্ত তুরস্কে ২০,২১৩ জন ও সিরিয়ায় ৩,৫০০ জনের মরদেহ উদ্ধার করা হয়েছে।
সময় যত গড়াচ্ছে, আটকা পড়া মানুষকে জীবিত পাওয়ার আশা ছেড়ে দিচ্ছে উদ্ধারকারী দল। তারপরও সন্ধান চালিয়ে যাচ্ছেন তারা।
সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষ জানিয়েছে, ভূমিকম্পের আঘাতে বহু আবাসিক ভবন গুঁড়িয়ে যাওয়ায় ধ্বংসস্তূপে চাপা আছেন এখনও অনেকে। পরিস্থিতি এতটাই জটিল যে বের করে আনাটাই কঠিন হয়ে দাঁড়িয়েছে। সংকট রয়েছে দক্ষ জনবল এবং উন্নতপ্রযুক্তির সরঞ্জামের। ভোগান্তি বাড়িয়েছে বৃষ্টি ও তুষারপাত।
তুরস্ক আহত হয়েছেন ৮০ হাজার ৫২ জন।সিরিয়ায় আহত বেড়ে হয়েছে ২ হাজার ৯৫০।
মার্কিন ভূতাত্ত্বিক জরিপ সংস্থার তথ্যমতে, স্থানীয় সময় সোমবার (৬ ফেব্রুয়ারি) ৪টা ১৭ মিনিটে সিরিয়া সংলগ্ন তুরস্কের গাজিয়ানতেপ শহরের কাছেই কম্পন ঘটে। এর গভীরতা ছিল ১৭.৯ কিলোমিটার। তবে সিএনএনের প্রতিবেদনে বলা হচ্ছে, ২৪.১ কিলোমিটার।
প্রতিবেশি তুরস্কের দক্ষিণাঞ্চলে আঘাত হানা এই ভূমিকম্পে সিরিয়ার বহুভবন ধসে পড়ে। সিরিয়ায় নিহতদের বেশিরভাগই বিদ্রোহী নিয়ন্ত্রিত অঞ্চলে।
বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা বলেছে, ভূমিকম্পে উভয় দেশে ক্ষতিগ্রস্ত মানুষের সংখ্যা ২৩ মিলিয়ন ছাড়িয়ে যেতে পারে। এছাড়া সংস্থাটির পূর্বাভাসে সতর্ক করে বলা হয়েছে, নিহতের সংখ্যা ২০ হাজার ছাড়ানোর আশঙ্কা রয়েছে। ভূমিকম্পে উদ্ধার কাজে সহযোগিতার জন্য তুরস্ক ও সিরিয়ার পাশে দাঁড়িয়েছে বিশ্বের বিভিন্ন দেশ ও সংস্থা।